মাদক ও জঙ্গীবাদের বিষয়ে কোন ছাড় নয়। মাদক ব্যবসায়ী ও জঙ্গীবাদের সাথে জড়িতদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আইনের আওতায় আনতে হবে। মাদক ও জঙ্গী নিয়ন্ত্রনে সাধারন মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। গত বুধবার মাসিক অপরাধ সভায় এসব কথা বলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন পিপিএম। ঢাকা রেঞ্জের ১৩টি জেলার পুলিশ সুপার ওই সভায় অংশ গ্রহন করেন। সভায় ঢাকা রেঞ্জের সার্বিক আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। একই সাথে পুলিশ সুপারদের দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়। সভায় বিপুল পরিমান মাদক ও টাকাসহ নারায়নগঞ্জ জেলার এক এএসআই গ্রেফতারের ঘটনায় প্রশাংসা করা হয়। একই সাথে মাদক ব্যবসায় কোন পুলিশ কর্মকর্তা বা সদস্য জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্যও নির্দেশ দেন রেঞ্জ ডিআইজি। ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন পিপিএম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, শুধু মাদক ব্যবসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করলেই মাদক নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব নয়। দেশের জঙ্গীবাদ নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়েছে সাধারন মানুষের সম্পৃক্ততার কারনে। একইভাবে মাদক নিয়ন্ত্রনে আনতে সাধারন মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। পুলিশকে সাহায্য করতে হবে সমাজের সকলকে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের কোন সদস্য বা কর্মকর্তা মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেলে তদন্ত পূর্বক আইনের আওতায় আনা হবে। অপরাধী কে তার বিচার করার কোন সুযোগ নেই। বিচার হবে অপরাধীর। অপরাধ করলেও পুলিশ বাহিনীর সদস্যও ছাড় পাবে না বলে উল্লেখ করেন ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন পিপিএম।
ঢাকা রেঞ্জ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাসিক অপরাধ সভায় সার্বিক আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। এতে দেখা যায় গত ফের্রুয়ারী মাসে ঢাকা রেঞ্জের ১৩টি জেলায় অভিযান চালিয়ে ২হাজার ২শ’ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয় প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকার মাদক দ্রব্য। অবৈধ অস্ত্র ও বিস্ফোরক মামলায় গ্রেফতার করা হয় ৬৩জনকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন