শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

আ.লীগের গ্রুপিংয়ে ভোটের আগে ভোট করেও হচ্ছে না সমাধান

প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শফিকুল ইসলাম বেবু, কুড়িগ্রাম থেকে

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ প্রার্থী মনোনয়নে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক ভোটের আগে ভোট করেও স্বস্তি মিলছে না। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৃণমূলের ৬৫জন কাউন্সিলারের মধ্যে ৫৩জন ভোটদেয় বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আব্দুল গফুরের পক্ষে। আর ১২জন পক্ষ নেয় দলের অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহ জামালের। এ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের সমন্বিত সিদ্ধান্ত পাঠানো হয় ঢাকায় চূড়ান্ত মনোনয়নের জন্য। কিšুÍ দলের ভিতর গ্রুপিং চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। তারা এখন দলবল নিয়ে ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। চলছে টাকার লোবিং। নেতাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা। এই কাদা ছোড়াছুড়ি, লোবিং পাল্টা লবিং অব্বাহত থাকায় গ্রুপিংয়ের শেকড় কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে ছড়িয়ে পড়ছে। তৃণমূলের নেয়া সিদ্ধান্ত রদবদল হতে পারে এমন আশঙ্কায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম মঞ্জু মন্ডলের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার ঢাকায় পোঁছেন। কুড়িগ্রাম জেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে এ রদবদলের আশঙ্কায় ভুগছেন নেতারা। যাত্রাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আব্দুল গফুর ও সাবেক মেম্বার শাহ জামাল ছিলেন প্রার্থী। গত শুক্রবার যাত্রাপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাখোয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভায় প্রার্থী নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি শাহ জামালের একগুঁয়েমীর কারণে। তার দাবি তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অতএব তাকেই চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষণা করতে হবে। কিন্তু মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেয় বর্তমান চেয়ারম্যানের পক্ষে। এক পর্যায়ে ভোটের সিদ্ধান্ত হলে শাহ জামালের সমর্থকরা হামলা করে তা প- করে দেয়। পরে বৃহস্পতিবার বর্ধিতসভা আহ্বান করা হয় সাধারণ পাঠাগারে। সহ-সভাপতি নজু মৃধার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম মঞ্জু মন্ডল, সহ-সভাপতি চাষি করিম, নুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি জাফর আলীসহ জেলা ও উপজেলার নেতারা। শাহ জামাল এ কাউন্সিল বয়কট করে। এরপর ৬৫জনের মধ্যে ৫৩জন কাউন্সিলার কণ্ঠভোটে আলহাজ¦ আব্দুল গফুরকে চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন করে। যাত্রাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা হোসেন আলী জানান, দল করলে দলের গণতন্ত্র ও শৃঙ্খলা মানতে হবে। আব্দুল গফুর যে ৫৩টি ভোট পেয়েছে। এর মধ্যে ৯টি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক রয়েছে। গত ইউপি নির্বাচনে শাহ জামাল আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে চতুর্থ হয়েছে। এরপরও তৃণমূলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করা হলে ফলাফল ভাল হবে না। কাউন্সির শাহাদৎ মাস্টার, কাশেম আলী, জলিল সরকার, আব্দুল হামিদ, শামসুল হক, মানিক মেম্বার, ফজলু মাস্টার, আব্দুর রহমান, মজিবর রহমান, আমজাদ আলী. আজগার হোসেন জানান, তৃণমূলের নেতাদের স্বাধীন মতামতের ভিত্তিতে আব্দুল গফুরকে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়েছে। কিন্তু পরাজিত প্রার্থী শাহ জামাল এখন ঢাকায় বসে মিথ্যা কুৎসা রটিয়ে কেন্দ্রীয় নেতারে কানভারি করছে। চলছে মোটা অংকের টাকার লেনদেন। দলের সুপ্ত গ্রুপিংকে কাজে লাগিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। তৃণমূল থেকে নির্বাচিত দলের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল গফুর বলেন, গত ৫ বছরে যাত্রাপুর ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। সরকারের সকল উন্নয়ন ও সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে। ফলে আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের সমর্থন বেড়েছে। মানুষের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করায় আমার প্রতি সবার সহানুভূতি রয়েছে। চূড়ান্ত মনোনয়ন পেলে নৌকার বিজয় হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন