‘মাওলানা ক্বারী শাহ আহমাদুল্লাহ আশরাফ রহ. জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় উপস্থিত জাতীয় নেতৃবৃন্দ, শীর্ষ উলামায়ে কেরাম ও বুদ্ধিজীবিবৃন্দ বলেছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সাবেক আমীর মাওলানা শাহ আহমাদুল্লাহ আশরাফ ছিলেন একজন নির্ভীক, সাহসী ও আদর্শ রাজনীতিবিদ। জুলুম, অত্যাচার, অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সদা সোচ্চার। জাতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট যে কোন বিষয়ে তিনি ছিলেন উচ্চকণ্ঠ। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিরোধী চক্রান্ত, বিদেশী আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে তিনি সবসময় বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। ইসলামের বিরুদ্ধবাদিতা, আল্লাহ ও রাসূলের বিরুদ্ধে কটুক্তিকারী, নাস্তিক্যবাদ, পশ্চিমা গণতন্ত্রের ধোঁকাবাজি, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রাম করেছেন। ইরাক, আফগানিস্তান সহ দেশে দেশে পশ্চিমা বিশ্ব ও তার দোসরদের আগ্রাসন, গণহত্যার বিরুদ্ধে তিনি সম্ভাব্য সকল পন্থায় প্রতিবাদ, ঘৃণা ও নিন্দা জানিয়েছেন। একাত্তরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর জুলুম-অত্যাচার, নির্যাতনের সরাসরি প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তিনি। মজলুমের পক্ষে তার অবস্থান ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বাতিলের বিরুদ্ধে তিনি সবার আগে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়তেন।
খেলাফত আন্দোলন প্রধান আমীরে শরীয়ত মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হুজুরের সভাপতিত্বে এবং মাওলানা সূলতান মহিউদ্দিন ও মাওলানা আকরাম হুসাইনের সঞ্চালনায় গতকাল সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমীর ড. মাওলানা মুহাম্মাদ ঈসা শাহেদী, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব আলহাজ কাজী আবুল খায়ের, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সাবেক পেশ ইমাম মাওলানা রফিক আহমাদ, ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দীন, নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারী, অধ্যাপক হাসান আব্দুল কাইয়ূম, মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা আব্দুল আউয়াল, আলহাজ্ব আনিসুর রহমান জিন্নাহ, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মৌলভী আব্দুর রকিব, শাহ সুফী আব্দুল হান্নান আল হাদী, মাওলানা ইলিয়াস মাদারীপুরী, মুফতী ফখরুল ইসলাম, মাওলানা মাসুদুর রহমান বিক্রমপূরী, প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা আতাউল্লাহ বলেন, মাওলানা আহমাদুল্লাহ আশরাফ হাফেজ্জী হুজুরের নীতি ও আদর্শের উপর আজীবন অটল ছিলেন। আমাদেরকে সেই নীতি ও আদর্শের উপর অটল থেকে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যেতে হবে।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, আহমাদুল্লাহ আশরাফের মধ্যে কোন ঈমানী দুর্বলতা ছিল না। তিনি আজীবন সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলামী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন। তিনি অবশ্য বলেন, যতদিন দেশে নারী নেতৃত্ব থাকবে ততদিন আল্লাহর রহমত আসবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন