শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

উপ সম্পাদকীয়

দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ রাজনীতিবিদদেরই আজকের দিনে বেশি প্রয়োজন

প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আফতাব চৌধুরী
রাজনীতি ও রাজনীতিবিদ শব্দ দুটি বহুল ব্যবহৃত। কথায় কথায় বলতে শোনা যায় রাজনীতি করছ, রাজনীতি করছেন, রাজনীতি হচ্ছে ইত্যাদি। বহু অরাজনৈতিক বিষয়-আশায়ও এখন খুবই প্রচলিত। সেই সঙ্গে আছে রাজনীতিবিদ শব্দ। কোনো দলের হয়ে কেউ মানুষের সুখ-দুঃখের দু-চারটি কথা বললেই হয়ে যাচ্ছেন রাজনীতিবিদ। আর নির্বাচনে প্রার্থী হলে তো পুরো রাজনীতিবিদ হয়েই গেলেন। এই রাজনীতি এবং রাজনীতিবিদ শব্দ যে সাধারণ বিষয় নয়, সে কথা বুঝার বা জানার প্রয়োজন অনেকে মনে করেন না। জনগণ এ নিয়ে খুব একটা মাথাও ঘামায় না।
যাই হোক, দেশের বর্তমান রাজনীতি বুঝার আগে প্রাচীনকালে রাষ্ট্রীয় শাসন প্রণালীর স্বরূপ কি ছিল তা নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক। প্রাচীন ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এ অঞ্চলের ঐতিহ্যে রাজতন্ত্রের পিছনে গণতন্ত্রের সর্বোত্তম বিধি-বিধান ছিল। অর্থাৎ সে যুগে দেশের রাজাদের পেছনে যে মন্ত্রীম-লী নির্বাচিত হতেন, তাঁরা ছিলেন ত্যাগী, নিঃস্বার্থবাদী এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ। সেই জ্ঞানী, গুণী মন্ত্রীম-লীর রচিত বিধিবিধান ও অনুশাসনেই পরিচালিত হত রাজতন্ত্র। দেখা গেছে, ওই বিধি-বিধানে রাজতন্ত্র ও গণতন্ত্রের সুন্দর সমন্বয় সাধিত হত। যার ফলে রাজতন্ত্রে স্বৈরতন্ত্র প্রবেশ করতে পারত না। স্বৈরতন্ত্র তখনই প্রবেশ করেছে যখন রাজা গুণী মন্ত্রীম-লীর প্রয়োজন অগ্রাহ্য করেছেন। রাজা যখনই রাজ্য চালাতে নিজেই নিয়ম-নীতি, আইন-কানুন সাব্যস্ত করলেন এবং নিজস্ব চিন্তাচেতনাকে রাজ্য রক্ষার ক্ষেত্রে সুবিধাজনক বলে প্রয়োগ করলেন তখনই প্রজাতন্ত্র বিঘিœত হল। একনায়কতন্ত্রের সূচনা হল। প্রজাতন্ত্রের স্বরূপ রক্ষা না হলেই গণতন্ত্র বিনষ্ট হয় এবং বিদ্রোহ যে দেখা দেয় তা রাজতন্ত্রের যুগেও দেখা গেছে।
অবশ্য, বর্তমান যুগ গণতন্ত্রের। তাই গণতন্ত্রের মূল কথাটি নিয়ে একটু আলোচনা করে দেখা যাক। গণতন্ত্র মুখে যত সহজে বলা যায় কার্যক্ষেত্রে ওই তন্ত্র কিন্তু তত সহজ নয়। ‘গণ’ শব্দের বহু অর্থ আছে। ‘গণ’ অর্থে জনগণ আবার ‘গণ’ মানে সমষ্টিও বুঝায়। ‘গণ’ শব্দের অন্য অর্থ সেনা। আবার আধ্যাত্মিক দৃষ্টিতে ‘গণ’ শব্দটির অর্থ হচ্ছে ইন্দ্রিয়। সে কারণেই গণতন্ত্রে যারা নেতা বা নায়ক হবেন তাদের রিপু ও ইন্দ্রিয় অসংযত ও উচ্ছৃঙ্খল হলে গণতন্ত্র রক্ষা করা অসম্ভব। তাছাড়া গণতন্ত্রে আরো একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, জনগণ গণ-প্রতিনিধি বলে যাকে সাব্যস্ত করবেন, সেই ব্যক্তি শুধু অনুমোদন দেবেন। অনুমোদনের বাইরে তাঁর দিক থেকে বিশেষ কোনো বক্তব্য রাখা চলবে না। তিনি যদি দেশ ও জাতির সেবায় আত্মোৎসর্গ করতে প্রস্তুত থাকেন তাহলেই তিনি গণতন্ত্রের বাহক। সে কারণেই গণ-প্রতিনিধিদের সামাজিক নেতা বলা হয়ে থাকে। যিনি নিজের জন্য কিছু ভাবছেন না, ত্যাগ যাঁর জীবনের ব্রত, জনগণের সুখ-দুঃখে যিনি উতলা হয়ে ওঠেন, তিনিই গণ-প্রতিনিধি। গণতন্ত্রের দ- তাঁর হাতেই শোভা পায়।
এখন আসা যাক রাজনীতি ও রাজনীতিবিদ প্রসঙ্গে। আগের আলোচনা থেকে আমাদের কিছুটা হলেও বোধগম্য হল রাজনীতি ও রাজনীতিবিদ দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রাজ শব্দে আছে স্বরাজ। অর্থাৎ গণ শব্দের সমষ্টিগত রূপ। ওই স্বরাজ সমষ্টির চরিত্রগত আদর্শ ও কল্যাণকর নিয়ম-শৃঙ্খলা কী হওয়া দরকার এবং সেসব নিয়মনীতি মেনে চলার বিধিনিষেধ কি হওয়া প্রয়োজন সেটা রাজনীতি। আর সেই সব জ্ঞানপুষ্ট ব্যক্তিই রাজনীতিবিদ। তবে রাজনীতিবিদ মাত্রেই সবাই যে গণ-প্রতিনিধি হবেন তা নয়। গণ-প্রতিনিধি জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি। কিন্তু রাজনীতিবিদ রাষ্ট্রের কল্যাণ কামনায় রত স্বাধীন সত্ত্বাভুক্ত সুনীতিদাতা। আমরা যদি অতীত ইতিহাস পর্যালোচনা করি তাহলে দেখি, আগেকার দিনে নেতাদের মধ্যে দেশপ্রেম ছিল আর ছিল মানুষের সেবা করার মন ও মানসিকতা।
চেতনা যখন কোনো দেশের ব্যষ্টি ও সমষ্টি জীবনে উদারতা ও পবিত্রতার মহাভাব জাগ্রত করে তখন সেই ভাবাদর্শ হতে ক্রমশ রাষ্ট্রোদ্ধার, জাতিগঠন ও সমাজ সংস্কারের পুণ্য প্রেরণা ও উদ্যম উৎসাহ জাগ্রত হয়ে ওঠে। তাই রাষ্ট্রচেতনাই প্রকৃত রাজনীতিবিদ তৈরি করে। বর্তমান সময়ে ন্যায়দ- স্বরূপ গণতন্ত্রের ধ্বজা কারা ধরে রেখেছেন? কোথায় সে প-িত মন্ত্রীম-লী বা রাষ্ট্রীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ ব্যক্তিরা? সাময়িক জোড়াতালি দিয়ে কোনো রাষ্ট্রের সংগঠন বা ঐক্য দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না।
বলতে হয়, প্রাক-স্বাধীনতা ও তার আগের সময়ের রাজনীতিবিদদের চিন্তাচেতনা ও দেশপ্রেম বর্তমানে সমাজের প্রকৃত রাজনীতিবিদ তৈরিতে প্রতিবন্ধক হওয়ার কারণ হয়ত এ দেশের বেশিরভাগ অজ্ঞ, অশিক্ষিত ও দাসসুলভ জনগণের কারণেই। যার ফলে প্রকৃত রাজনীতিবিদ সংসদীয় গণতন্ত্রের ম-লীতে খুবই কমসংখ্যক আসছেন। তাই বলে রাজনীতিবিদ যে এই দেশে এখন আর বেশি সংখ্যায় জন্মগ্রহণ করেন না তা বলাটা যুক্তিসঙ্গত নয়। রাজনীতিবিদ আছেন। গণতন্ত্রের মহান আদর্শ অনুধাবন করে যোগ্য ব্যক্তিকে মনোনয়ন করাতে সক্ষম হলেই রাজনীতি ও রাজনীতিবিদদের আত্মপ্রকাশ হবে। সচেতন জনগণ দেখতে পাচ্ছে বর্তমান অসংখ্য দলের দেশপ্রেমের নমুনা। ওই সংগঠনগুলোর বেশিরভাগের পরিচয় রাজনৈতিক হলেও প্রকৃত রাজনীতির সামান্যতম নীতি আছে কি না সন্দেহ। সে কারণেই বহুদল বিশিষ্ট রাজনীতির প্রতি মানুষের বিতৃষ্ণা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ পৃথিবীতে আরো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র আছে। অনেক রাষ্ট্রে শাসক দল ও শাসকবিরোধী দল থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে আছে অসংখ্য রাজনৈতিক দল। অনেকেই তাই মন্তব্য করেছেন ‘উবসড়পৎধপু’ ‘উবসড়হড়পৎধপু’। যদি এ দেশের সুমহান গণতন্ত্রের ধারাকে টিকিয়ে রাখতে হয় তাহলে পরিবর্তন আনতে সংখ্যাতীত দলের পথ অবরোধ করতে হবে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী বহুদলীয় গণতন্ত্রের বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি বহু দল না রেখে দুই বা তিনদলীয় শাসনব্যবস্থার পক্ষপাতী ছিলেন। তার এই চিন্তাচেতনা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। প্রেসিডেন্ট এরূপ মন্তব্য করতে পারেন না বলে স্বঘোষিত রাজনীতিকরা বিরোধিতা করতে ছাড়েননি। আসলে জনমত উপেক্ষা করে ব্যক্তিস্বার্থ যখন বলবৎ হল তখন আর দেশের ঐতিহ্যপূর্ণ রাজনীতি থাকল না। অজস্র স্বঘোষিত রাজনীতিবিদ মাথা তুলে দাঁড়ালেন। অবশ্য এর মূলে ধনতান্ত্রিক ব্যক্তি চেতনাও কাজ করছিল। দেখা গেল নতুন নতুন দল গঠন। দল গঠন করলে কী হবে, বিভিন্ন দলের নেতা ও নায়কদের অভিমত ও মনোভাব হল পরস্পরবিরোধী। আর তাদের বিচ্ছিন্ন ও বিভিন্ন ধরনের চিন্তা, কল্পনা ও কর্মপ্রচেষ্টা বর্তমান যুগে সমস্যা সমাধানের পথে বিশেষ অন্তরায় হয়ে দাঁড়াল, বর্তমান সমস্যাগুলো সমাধান ও প্রতিকারের পথকে বিপদসঙ্কুল করে তুলল। এমনই সমস্যা যে, সমস্যাগুলো পরস্পর এমনভাবে যুক্ত ও সংঘবদ্ধ, এদের একটিকে অপরটি হতে বিচ্ছিন্ন করতে হলে সামগ্রিক দৃষ্টি নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দৃষ্টিপাত করা দরকার। কিন্তু বহুদল বিশিষ্ট রাজনীতি ঐকমত্য পোষণে ব্যর্থ হচ্ছে। এক সময় মনে হয়েছিল বর্তমান যুগ একদলীয় বা দু-তিনদলীয় শাসনতন্ত্রের যুগ নয়। আঞ্চলিক সমস্যা সমাধানে আঞ্চলিক রাজনীতিই কাম্য। কিন্তু সমস্যার পাহাড় উঁচু হওয়ায় এবং মতপার্থক্য প্রবল হওয়ায় জোট রাজনীতিও ভেস্তে গেল। সংসদীয় রাজনীতিতে বিরোধী পক্ষের ভূমিকা একজোট না হওয়ায়, দলীয় রাজনীতি পর্যবসিত হওয়ায় সরকার পক্ষের ভুলত্রুটি এবং একপেশে শাসন ক্ষমতার বিরোধিতা জোরদার হল না। সে কারণেই সচেতন মহল শক্তিশালী সরকারবিরোধী পক্ষের মত পোষণ হচ্ছে না দেখে অসংখ্য রাজনৈতিক দলের প্রয়োজনীয়তার বিরোধিতা করতে শুরু করেছেন।
রাজা না থাকলেও রাজ স্বরূপ সংসদ আছে। সংসদই রাজনীতির ধ্বজা বহন করছে। সংসদেই রাজনীতিবিদরা রাষ্ট্রের সুশাসনের নিমিত্তে সুচিন্তিত মত প্রদান করবে। সরকার পক্ষেরই হোক বা সরকারবিরোধী পক্ষের হোক যারাই জনপ্রতিনিধিত্ব করছেন তারা কিন্তু কেউই ব্যক্তি হিসাবে সংসদে উপস্থিত থাকেন না। তারা নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং তারাই জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন। তাদের চিন্তাচেতনা এবং মুখনিঃসৃত বাক্য ব্যক্তি বা দলকেন্দ্রিক হতে পারে না, যদি তারা সত্যিকার রাজনীতিবিদ হন। যে রাজনীতিবিদদের প্রাচীনকালে মন্ত্রীম-লী ত্যাগী, নিঃস্বার্থবাদী ও ঋষিতুল্য বলে গণ্য করা হত, সেইসব ব্যক্তিরই বিধি-বিধান ও অনুশাসনেই পরিচালিত হত রাজতন্ত্র, যাদের রিপু ও ইন্দ্রিয় সংযত ও সুশৃঙ্খল ছিল। কিন্তু আজ সংসদের চিত্রটা কী? সত্যের মূল কেন্দ্রবিন্দু স্বরূপ সংসদে দাঁড়িয়ে আত্মকেন্দ্রিক স্বাধীনতা কি সমষ্টিগত স্বাধীনতার অমর্যাদা করছে না?
গণতন্ত্রে বিরোধী পক্ষ শক্রপক্ষ নয়। বিরোধী নাম থাকলেও সংসদে তারা মিত্রপক্ষ। কারণ সরকারের ভুলত্রুটির দিকদর্শন করে বিরোধীপক্ষ। সে কারণে গণতন্ত্রকে ধরে রাখে বিরোধীপক্ষ। যখনই বিরোধীপক্ষ শত্রুপক্ষ রূপে আত্মপ্রকাশ করবে তখনই হবে গণতন্ত্রের মূলে কুঠারাঘাত। প্রকৃত রাজনীতিবিদ না হয়ে গণতন্ত্র রক্ষার ভুয়া প্রতিশ্রুতি দিয়ে যারা নিজ থেকে জনপ্রতিনিধি হতে চান এবং বিভেদের রাজনীতি বা কৌশলে জয়ী হয়ে যান তাঁদের দ্বারা রাষ্ট্রের উন্নতি হয় না।
এ কথাও সত্য, বহু রাজনৈতিক দল থাকায় জনগণের পক্ষে প্রার্থী নির্বাচনে অসুবিধাও অনেক। তাছাড়া বর্তমান রাজনীতি হল প্রচারসর্বস্ব দলীয় রাজনীতি। সাধারণ জনগণের পক্ষে বোধগম্য হওয়াও কঠিন। সে কারণেই জনগণ দিকভ্রষ্ট হয়ে পড়ে। নির্বাচন প্রহসন হয়ে দাঁড়ায়। আরো একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, বহুদলীয় রাজনীতির আঁতাত বর্তমানে জনগণকে আরো বিভ্রান্ত করছে। কোনো দলকে যদি জনগণ সমর্থন করে থাকেন এবং ওই দলের কোনো প্রার্থীকে যদি নির্বাচন করে জয়ী করে থাকেন তাহলে ওই দল এবং প্রার্থী কোনো কারণে কোনো দলের সঙ্গে আঁতাত করতে গেলে দল সমর্থিত জনগণের মতামত নেয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ যে দলের সঙ্গে আঁতাত করতে যাবে দল, সেই দলের প্রতি সমর্থিত জনগণের সমর্থন না-ও থাকতে পারে। জনগণের দল সমর্থন পুরো মানসিক ব্যাপার। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, দলের ইচ্ছামতো আঁতাতে জনগণ মানসিক আঘাত পাচ্ছে। জনগণের সমর্থন আছে কি না তা যাচাই না করে দলীয় নেতারা দলের স্বার্থ দেখিয়ে জনমতকে বিভ্রান্ত করছেন। তাই আঁতাতের রাজনীতির স্থায়ী রাজনীতির পক্ষে ভালো ফল করতে পারেনি বলেই অসংখ্য দল গড়ে উঠেছে। এখন প্রয়োজন দেখা দিচ্ছে অতি কমসংখ্যক রাজনৈতিক দলের। এটা সত্য, আমাদের দেশের গণতন্ত্রে একটা বড় পরিবর্তন আসছে। সংসদীয় গণতন্ত্র নিজেই অবস্থান একদিন স্পষ্ট করবেই রাষ্ট্রের খাতিরে, গণতন্ত্রের খাতিরে। বর্তমান স্বার্থপর রাজনীতির দিনকাল বোধ হয় শেষ হয়ে আসছে। রাজনীতিবিদের পোশাক পরে যারা রাজনীতি করছেন, দিন আসছে জনগণই পোশাক খুলে নকল রাজনীতিবিদদের চিহ্নিত করবেন। ঘর-গৃহস্থালি করার উপদেশ দিয়ে বিদায় করবেন।
লেখক: সাংবাদিক-কলামিস্ট

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন