৫৬৯. ভবন দিল ধ্বংস করে লাভ করিতে গুপ্ত ধন
লভি সে ধন জাঁকজমকে বানাল ফের সেই ভবন।
৫৭০. ময়লা-পচা পানি সেঁচে ক‚পটা করে পরিষ্কার
স্বচ্ছ বিমল পানি দিয়ে ভরে দিল ক‚প আবার।
৫৭১. তীর বিঁধেছে চামড়া কেটে করলো বাহির বিদ্ধ তীর
গজিয়ে উঠে চর্ম নোতুন দেয় পুরে ক্ষত জায়গাটির।
৫৭২. দূর্গ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে ধ্বংস করে শত্রæদের
প্রাচীর, বুরুজ, সৌধমালার দূর্গ ফের।
৫৭৩. সব ধারণার ঊর্ধ্বে খোদার কর্মকুশল- নযীর নাই
তবু অতি প্রয়োজনে দিলাম বয়ান খানিকটাই।
৫৭৪. আজ এরূপে, কাল সে রূপে- বিচিত্র রূপ তাঁর কাজের
বোধ ও বোধি দিশেহারা বুঝতে সে ভেদ কুদরতের।
৫৭৫. এই বেদিশা, বিহ্বলতা, নয় বিরাগ নিস্পৃহতার
এ আলামত বন্ধু প্রেমে মাস্ত মাতাল লীন হওয়ার।
৫৭৬. এক : মাশুকের মুখের পানে চেয়ে থাকে সর্বক্ষণ
আরেক : পরম প্রেমাস্পদের বদনই যার নিজ বদন।
৫৭৭. তাকিয়ে থাকো, পরখ করো, খিদমতে যাও দুই জনের
হয়তো তুমি বুঝবে তফাত কামিল এবং ভন্ডদের।
৫৭৮. মোহব্বতে বদন পানে করলে নযর নেকলোকের
সওয়াব লিখে আমলনামায় যায় খুলে দ্বার কল্যাণের।
৫৭৯. এই মানুষের মধ্যে আছে অনেকই ইবলিস মানুষ
হাত দিবেনা যাহার তাহার হাতে কভু রাখবে হুশ।
৫৮০. ক‚টশিকারী নকল করে পাখির মতোই দেয় আওয়াজ
ফান্দে ফেলে পক্ষী ধরার জন্য করে এই কু-কাজ।
৫৮১. স্বজাতির ওই আওয়াজ শুনে উড়ে এসে পঙ্খী, হায়
মরণ ফাঁদে আটকে পড়ে, ছুরির তলে প্রাণ-হারায়।
৫৮২. ভন্ডরাও নকল করে কামিলগণের বাক-বচন
সরল মানুষ ফান্দে ফেলে নেয় লুটে তার ঈমান-ধন।
৫৮৩. কামিলগণের কর্মে হৃদে জন্মে উজাল রোশনি তাপ
ভন্ডদিগের কর্মে বাড়ায় প্রতারণা লজ্জা পাপ।
৫৮৪. ভিখের লাগি ব্যাঘ্র বানায় খড়ে সেঁটে বাঘের ছাল
নবী-খেতাব করল ধারণ মুসায়লামা -ভন্ড-জাল।
৫৮৫. লক্ষ্য করো এই উভয়ের পরিণতি খেতাব নাম
‘উলুল আবরার’ মুহাম্মদ ও ‘কায্যাব’ ওই মুসায়লাম।
৫৮৬. নবীর শরাব সিপি আটা খোশবু ভরা কস্তুরির
পচাপূতি গন্ধে ভরা শরাব ভন্ড জাল নবীর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন