রাজধানীর মিরপুরের পীরেরবাগ এলাকায় ডিবি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আর এই যুবক হাসানই (২৫) গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক জালাল হত্যা মামলার প্রধান সন্দেহভাজন আসামি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জালাল হত্যার আসামি হাসানের ছবির সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত যুবকের চেহারার মিল পাওয়া গেছে। তবু আরো নিশ্চিত হতে হাসানের পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়া হয়েছে। তারা শনাক্ত করলেই বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ওই কর্মকর্তা আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে দুই সার্জেন্টের চুরি যাওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। যে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করতে গিয়েই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন পরিদর্শক জালাল।
অন্যদিকে, মিরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মঞ্জুর রাহী জানান, নিহত যুবক হাসান ও তার সহযোগীরা ভাঙা ব্রিজ এলাকায় অবস্থান করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। ডিবি পুলিশের দলটি সেখানে গেলে তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে হাসান গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে যায় এবং অন্যরা পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে হাসানকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গত ১১ জানুয়ারি মিরপুরের মধ্য পীরেরবাগের একটি বাসার চতুর্থ তলার ফ্ল্যাট থেকে দুই সার্জেন্ট–মামুনুর রশীদ ও সোহেল রানার সরকারি দুটি অস্ত্র চুরি হয়। ওই ঘটনার প্রায় আড়াই মাস পর চুরি হওয়া পিস্তল দুটি উদ্ধার করতে গত ১৯ মার্চ রাতে পীরেরবাগের ১০৫১/এ নম্বর বাড়ির দোতালার ছাদের টিনশেড বাসায় অভিযান চালায় ডিবি পুলিশের পল্লবী জোনাল টিম।
এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। পুলিশও পালটা গুলি চালায়। গোলাগুলির এক পর্যায়ে ডিবির পরিদর্শক জালাল উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মধ্যরাতে তিনি মারা যান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন