শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

শেরপুর-৩ আসনের এমপি ফজলুল হক চানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা!

| প্রকাশের সময় : ২৬ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম


শেরপুর জেলা সংবাদদাতা : শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের এমপি প্রকৌশলী ফজলুল হক চাঁনকে দূর্নীতিবাজ এবং আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ এনে তার নিজ ইউনিয়ন খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়নে অবাঞ্চিত ঘোষনা করলো ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ।
শনিবার শেরপুরের শ্রীবরদীর খড়িয়াকাজিরচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে লঙ্গরপাড়া বাজারে আয়োজিত বর্ধিত সভা ও সমাবেশের স্থলে স্থানীয় আওয়ামী যুবলীগও কর্মীসমাবেশ ডাকলে আইন শৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় গতকাল রোববার রাত ১২টা পর্যন্ত লঙ্গরপাড়া বাজারে ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। পুলিশ এসে উভয় সমাবেশের মঞ্চভেঙ্গে দেয়। ফলে আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের সমাবেশ পÐ হয়ে যায়।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। প্রতিবাদে শতশত নেতাকর্মী বিক্ষোভ প্রদর্শন করে লঙ্গরপাড়া হাইস্কুল মাঠে এসে জড়ো হয়। এখানে শ্রীবরদী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী মোতাহারুল ইসলাম লিটন অভিযোগ করেন, স্থানীয় এমপি ফজলুল হক এমপি, একজন দূর্নীতিবাজ। তিনি চাকুরীর নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। টাকার বিনিময়ে চাকুরী দিয়েছেন বিএনপি-জামাতের লোকজনদের। তিনি এখন জনবিচ্ছিন হয়েছেন। দলের নেতাকর্মীরা তার সাথে নেই। এ জন্য আজকের সমাবেশে তার বিরুদ্ধে এসব আলোচনা হবে এ আশঙ্কায় এমপি সাহেব আমাদের পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ বাঞ্চাল করার জন্য যুবলীগের কর্মীসমাবেশর নামে একটি মিটিং ডেকে স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবহার করে ১৪৪ধারা জারি করিয়েছেন।
এসময় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন বলেন, এমপি সাহেব খড়িয়া কাজিরচর ইউনয়নের লোক হলেও তিনি বিগত স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে দলের প্রার্থীর বিপক্ষে বিএনপির প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করেছেন। এ জন্য তার সাথে কোন নেতাকর্মী ও লোকজন নেই। তিনি দলকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছেন। এজন্য এ ইউনিয়নে এমপিসাহেবকে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হলো।
অপরদিকে যুবলীগ নেতৃবৃন্দ পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতারা ক্রস আওয়ামীলীগার। তারা কখনই আওয়ামীলীগের পক্ষে কাজ করেননি। বর্তমানে এমপি সাহেবের জনপ্রিয়তা অনেকগুন বেড়েছে।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল খালেক ডিলার বলেন, আমরা এমপি সাহেবের একাধিক কর্মসূচীর তারিখ বাদ রেখেই এ কর্মসূচী দিয়েছি। কিন্তু এমপি সাহেব দলের একর্মসূচী বাঞ্চাল করতেই তার অনুসারীদেও দিয়ে এ কাজ করিয়েছেন।
এদিকে স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্য চাওয়া হলে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি ছাড়া তারা ক্যামেরার সামনে কথা বলতে পারবেননা বলে জানান। তবে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: রেজাউল করিম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন