শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

কুমিল্লায় রেস্টুরেন্টগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ

খোলা জায়গায় পরোটা কাবাব চিকেনচপ

প্রকাশের সময় : ২৭ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:১১ এএম, ২৭ মার্চ, ২০১৮

সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : কুমিল্লার বেশিরভাগ খাবার হোটেল বা রেষ্টুরেন্টগুলোর বাইরের সামনের দৃশ্য ও ভেতরের সবকিছুতে চাকচিক্য থাকলেও যেখানে খাবার তৈরি হচ্ছে সেই পরিবেশ দেখলে যেকোন সুস্থ সচেতন মানুষ আঁতকে উঠবেন। কেবল তাই নয়, দোকানের সামনে খোলা জায়গায় সরঞ্জাম বসিয়ে পরোটা, কাবাব, চিকেনচাপ তৈরি হচ্ছে। এসব খাবারে পড়ছে ধূলাবালি, মাছি। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি খাবার পরিবেশন হচ্ছে আবার চাকচিক্য পরিবেশে। হোটেল রেষ্টুরেন্টে প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান বন্ধ থাকায় এসব প্রতিষ্ঠানের খাবার তৈরির নোংরা পরিবেশ দিন দিন বিপজ্জনক হয়ে ওঠছে।
নোংরা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, বাবুর্চি ও রান্নার কাজে সহযোগীদের গা থেকে ঘাম ঝরে পড়ছে খাবারে, কাটাকুটি চলছে স্যাঁতস্যাঁতে মেঝেতে। উপরে ঝুলছে হোটেল স্টাফদের কাপড়চোপড়। তেলাপোকা, মাছি ঘুরছে গোটা রান্নাঘরে। কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন খাবার হোটেলের রান্নাঘরে এরকম ভয়ানক অবস্থা বিরাজ করছে। কুমিল্লা নগরীতে নামী দামী অসংখ্য খাবার হোটেল গড়ে উঠেছে। এসব হোটেলের মধ্যে ৮/১০টি ছাড়া বাকিগুলোর রানাঘরের অবস্থা দুর্গন্ধযুক্ত, নোংরা, অস্বাস্থ্যকর। রানা করার অংশে সাধারণত গ্রাহকদের প্রবেশের কোন সুযোগ নেই। হোটেলের সামনের সাজসজ্জা করা অংশে খাবার খেয়ে বিল পরিশোধ করে বেরিয়ে পড়েন গ্রাহকরা। কিন্তু কোন গ্রাহক যদি এসব হোটেলের রান্নাঘরের পরিবেশ দেখতেন তাহলে কেউই খাবার মুখে তুলতেন না। অথচ কুমিল্লা নগরীর এধরণের হোটেল মালিকরা ভোক্তাদের একদিকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন, অন্যদিকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি খাবার দিয়ে তাদেরকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছেন।
কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা, রেলষ্টেশন, বাদুরতলা, কান্দিরপাড়, রাজগঞ্জ, চকবাজার, টমসমব্রীজ, পদুয়ারবাজার এলাকার বেশকিছু খাবার হোটেল ঘুরে দেখা গেছে রান্নাঘর ও সামনের পরিবেশ এতোটাই অপরিচ্ছন্ন যেখানকার তৈরি খাবার মানুষের পেটে যাচ্ছে। বেশিরভাগ খাবার হোটেল মালিক পরিবেশনের জায়গা পরিচ্ছন্ন রাখলেও রান্নাঘরের অবস্থার দিকে নজর দেননা। রান্নাঘরের পরিবেশ নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর। আবার হোটেলের সামনের জায়গায় চুলো বসিয়ে সকাল সন্ধ্যায় পরোটা-বিকেলে পুড়ি, কাবাব, চিকেনচাপ তৈরি করছে। এসব খাবার রাখা হচ্ছে খোলা। তাতে পড়ছে ধুলাবালি আর ভন ভন করছে মাছি। কড়াইগুলোতে পুরনো তেলেই চলছে ভাজাপোড়ার কাজ। দিনের পর দিন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি খাবার ভোক্তাদের খাইয়ে অর্থ কামিয়ে নিচ্ছেন। নোংরা পরিবেশে তৈরি খাবার খাইয়ে মানুষের পকেটের টাকা নিয়ে তাদেরকেই অসুস্থ বানানোর কাজটি করে যাচ্ছেন খাবার হোটেল মালিকরা।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন কুমিল্লা অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম বলেন, কুমিল্লার বেশিরভাগ খাবার হোটেলের রান্নাঘরের পরিবেশ স্বাস্থ্যসম্মত নয়। আবার বিশূদ্ধ খাবার পানি সরবরাহেরও ব্যবস্থা নেই। গ্রাহকসেবার মান একেবারেই নি¤œমানের। খাবার হোটেলগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছেনা। অধিকাংশ হোটেলের ফুড প্রসেসিং লাইসেন্স নেই। বিশেষ করে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান ঝিমিয়ে পড়ায় কুমিল্লায় খাবার হোটেলগুলোতে এঅবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
kyser ahmed ২৭ মার্চ, ২০১৮, ৫:৪৭ পিএম says : 0
ata akdom tik kotha,ami nijeu deksi.....ki bolbo? kar kase bolbo.....??
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন