বিষয় : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
আছিয়া কামাল
সিনিয়র শিক্ষক (সামাজিক বিজ্ঞান)
ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ
অধ্যায় : বাঙালির সংস্কৃতি ও শিল্পকলা
বন্যার বিভিন্ন শখের মধ্যে গানশেনা খুবই প্রিয়। গানের ক্ষেত্রে প্রায় সবধরনের গানই তার পছন্দ। ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, পালাগান থেকে শুরু বরে রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল সংগীত এবং আধুনিক গান সবই তার পছন্দের তালিকায় স্থান পেয়েছে। বন্যার ধারণা, সংগীত মানুষের মনের খোরাক জোগায়।
ক) এক সময় শহরাঞ্চলে কী ধরনের গানের আসর বসত?
খ) কীর্তন, বাউল ও ভাটিয়ালি গান কোন সমাজে হতো বুঝিয়ে লেখ?
গ) উদ্দীপকের বন্যার মতো বাংলার কোন গান তোমার পছন্দ দেখাও।
ঘ) উদ্দীপকে বর্ণিত বাংলাদেশের সংগীত শিল্পের পরিচয় পাঠ্যবইয়ের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
ক) উত্তর :
এক সময় শহরাঞ্চলে পাঁচালি, খেউর, খেমটা প্রভৃতি গানের আসর বসত।
খ) উত্তর : কীর্তন গান প্রধানত হিন্দুসমাজে হতো, এখনো হয়। তবে বাউল ও ভাটিয়ালি গান গ্রামের হিন্দু মুসলমান সকলেই গেয়ে থাকে।
গ) উত্তর :
বন্যা সংগীতের প্রায় সকল ক্ষেত্রই পছন্দ করে। বন্যার মতো আমিও সংগীত বেশ পছন্দ করি।
যখন যে গান আমি শুনতে পাই, তা আমাকে মুগ্ধ করে এবং আমার কাছে বেশ শ্রুতিমধুর মনে হয়। আমার ধারণা বাংলার প্রায় সকল মানুষই সংগীত পছন্দ করে। সংগীতের মাঝে এমন কিছু রয়েছে যা মানুষকে ভাবাবেগে তন্ময় করে। কখনো মানুষকে বিষণœ করে, কখনো আনন্দে উদ্বেলিত করে, আবার কখনো অনুপ্রেরণা বা উৎসাহ যোগায়। যখনই একটু অবসর মেলে আমি গান শুনি। আমার খারাপ লাগা, ভালো লাগা সব মুহূর্তেই গান আমার একান্ত সঙ্গি।
তাই বলা যায় যে, গান শুধু গানই আমার প্রথম পছন্দ যে ধরনের গানই হোক না কেন তা যদি শ্রুতিমধুর হয় বরং আমার হৃদয়কে আন্দোলিত করে তবে সে সংগীতটিও আমার কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে।
ঘ) উত্তর:
বাংলা চিরকালই সংগীতের দেশ।
মুর্শিদি, পালাগান, বারামাস্যা, ভাওয়াইয়া, গম্ভীরা ইত্যাদি বহু ধরনের আঞ্চলিক লোকগান ছড়িয়ে আছে সারা বাংলায়।
শহরা এক সময় পাঁচালি, খউর, খেমটা প্রভৃতি গানের আসর বসত। তবে উত্তর ভারতের সংস্পর্শে এসে হিন্দুস্থানী উচ্চাঙ্গ সংগীতের সাথে বালি সংগীত সাধকের পরিচয় ঘটে। তার প্রভাবে এখানে নাগরিক সংগীতের বিকাশ ঘটে। নিধুবাবু, কালী মির্জা প্রমুখ হয়ে রবীন্দ্রনাথের হাতে বাংলার নাগরিকগণ উৎকর্ষের শীর্ষে পৌঁছায়। রবীন্দ্রনাথের পথ ধরে আরো অনেকেই বাংলার নাগরিক গানকে সমৃদ্ধ করেছেন। এদের মধ্যে কাজী নজরুল ইসলাম আপন স্বাতন্ত্র্যে ও বৈচিত্র্যে বিশেষ স্থান অধিকার করে আছেন। মাত্র কুড়ি বছরের সৃষ্টিশীল জীবনে তিনি প্রায় ছয় হাজারের মতো গান লিখেছেন। অতুল প্রসাদসেন, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রজনীকান্ত সেন আধুনিক বাংলা গানের সমৃদ্ধিতে তাদের অবদানও কম নয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন