বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

নান্দাইলে পল্লী বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণের ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম


নান্দাইল (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নান্দাইল আঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতাধীন নান্দাইল উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের কচুরী জলইগাতী, কচুরী কন্ডপপুর গ্রামে গ্রামীণ বিদ্যুৎতায়নের জন্য নান্দাইলের সংসদ সদস্য ডি.ও লেটার প্রদান পূর্বক বিদ্যুৎ লাইন মঞ্জুরী পায়। এ সুযোগটাকে ব্যবহার করে কিশোরগঞ্জ উপজেলার হোসেনপুর এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ এর পরিচালক হাফিজুল হক (মোফাজ্জল) উক্ত গ্রামের ২২৭ আবাসিক গ্রাহক ও ডিপটিউবওয়েলের লাইন সংযোগের নামে এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তি আব্দুল হেকিম, পিতামৃত জাবেদ আলী মুন্সী, মোঃ মাসুম মিয়া, পিতা হাজী আক্কাছ আলী ভূইয়া মোঃ শামছুল আলম শামীম মেম্বার ও মোছাঃ রেনুয়ারা আক্তার খাতুনের উপস্থিতিতে প্রথম পর্য্যায় ২০১৫ সনের জানুয়ারি মাসের ০২ তারিখে নগদ ২ লক্ষ টাকা। বাকি টাকা টেন্ডারের পরে লাগবে বলে জানায়। অতপরঃ একই বছর ১৯ ফেব্রæয়ারি ৫০ হাজার, ২৪ মাচর্ ৫০ হাজার টাকা, ০২ জুন ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা, ০৬ আগষ্ট ৭০ হাজার টাকা, ১৫ আগষ্ট ২ হাজার টাকা, ০৪ সেপ্টেম্বর ৭০ হাজার টাকা, ২৮ ডিসেম্বর ৩৯ হাজার টাকা, ২০১৬ সনের ০৩ ফেব্রæয়ারি ৬০ হাজার টাকা, ১৩ ফেব্রæয়ারি ১ লক্ষ টাকা ০২ এপ্রিল ৫৮ হাজার টাকা ও ২৩ এপ্রিল ১ লক্ষ পচিশ হাজার টাকা সর্বমোট ৯ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা দেয়ার পর বিদ্যুৎ লাইন নির্মিত হয়। লাইন নির্মিত হওয়ার পর উক্ত পরিচালককে ওয়ারিংসহ বাকি কার্যক্রম সম্পন্ন করার কথা বললে বিভিন্ন সময় ও তারিখ দিয়ে প্রায় ১ বছর পর বলেন, লাইন নির্মানের কাজ শেষ হয়েছে বাকি আরো ৮৫০০ টাকা করে প্রতি গ্রাহককে দিতে বলেন, যার পরিমান ১৯ লক্ষ ২৯ হাজার ৫ শত টাকা। এ টাকা পরিশোধ না করলে ওয়ারিং করতে পারবে না বলে জানান। বাদী তার অভিযোগে জানান, এত টাকা পরিশোধ করতে না পেরে গ্রাহকরা নিজ নিজ উদ্যোগে ওয়ারিংসহ জামানতের টাকা জমা প্রদান করেন। অভিযোগকারীদের পক্ষে হাজী আক্কাছ আলী ভূইয়া ক্ষোভের সঙ্গে জানান, হোসেনপুরের এলাকা পরিচালক তার চাচাত বোন জামাই হওয়া সত্তে¡ও তার দুনীতির হাত থেকে রেহাই পেলাম না। এ ব্যাপারে ১০৯ জন গ্রাহক বাদী হয়ে পল্লী বিদ্যুৎতায়নের চেয়ারম্যানসহ সরকারের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর গত ২২ মার্চ একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের বিষয়টি হোসেনপুরের পরিচালকে মোবাইল ফোনে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি টাকা নেইনি আমার প্রতিবেশী চাচা রিপন, পিতা মোসলেম উদ্দিন সাকিন পুমদি তার নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা নিয়েছে বলে শুনেছি।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন