স্টাফ রিপোর্টার
আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চট্টগ্রামে এক প্রবাস ফেরত ব্যক্তির জমিদখল করে সেখানে ভবন তৈরির কাজে হাত দিয়েছেন চট্টগ্রামের প্রভাবশালী এক নেতার পুত্র। জমির আসল মালিককে ভাড়াটে সন্ত্রাসীবাহিনী দিয়ে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে। জমির মালিক আবু বকর বলছেন, ২০১০ সালে এক সন্ত্রাসীকে ১০ লাখ টাকা দিয়েছে আমাকে মেরে ফেলার জন্য। তারা আমাকে প্রতিনিয়ত হুমকি দেয় ‘নেতার সাথে ফয়সালা না করে নিলে’ আমাকে জানে মেরে ফেলবে। আর একই সাথে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ৩৫ কাঠা জমি দখল করে সেখানে নির্মাণ করেছেন ভবন। চট্টগ্রামের চাঁন্দগাও এলাকায় ১৯৯৩ সালে ৯০ বিঘার এই জমিটি কিনে তাতে বাড়ি তৈরির পাশাপাশি একটি মৎস খামার গড়ে তোলেন প্রবাস-ফেরত আবু বক্কর। আর এরপর থেকেই চক্ষুষূল হয়ে ওঠেন তিনি। একে একে বক্কর গড়ে তোলেন কমিউনিটি সেন্টার, একটি মসজিদ। বাকি জমির ওপর আরও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন আবু বক্কর। তবে এই নেতা এবং তার পুত্রের নজর পড়ায় সেই সুযোগ হয়নি। এরপর থেকেই হামলা মামলার মধ্যে জীবন শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন এই ব্যবসায়ী। আবু বক্কর বলেন, ইচ্ছা একটা পূর্নাঙ্গ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো। তাতে যদি এলাকাবাসীর কিছু খেদমত হয়। ৪৫ বছর দুবাইতে কাজ করে কষ্টের উপার্জন এভাবে কাজে লাগাবো ভেবে ছিলাম। কিন্তু এখন প্রাণ বাঁচানোই কঠিন হয়ে গেছে। অভিযোগকারী বক্কর বলেন, ২০০২ সালে তার জমির ওপর নজর পড়ে এক প্রভাবশালী রাজনীতিকের। ওই সময় তিনি আবু বক্করের জমিটি কেনার প্রস্তাব দেন। বক্কর জমিটি বিক্রি করতে রাজি না হলে একটার পর একটা মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করতে শুরু করেন ওই নেতা। আবু বক্করের অভিযোগ ২০১০ সালে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে এবং গোলাগুলি করে, তার জমির প্রায় ৩৫ কাঠা দখল করে নিয়েছে সেই রাজনীতিকের ছেলে। ওই ঘটনায় সবশেষ ২০১৩ সালে এই জায়গার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে উচ্চ আদালত। অথচ,আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তারা ওই জমিতে ভবন নির্মানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এই বিষয়ে প্রভাবশালী সেই রাজনীতিকের পুত্রের কোম্পানীতে কথা বলতে গেলে প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান তাদের মালিকপক্ষ বিদেশে গেছেন। এই মূহুর্তে কোনো কথা বলা যাবে না। বেআইনী ভাবে অন্যের জমিতে ভবন নির্মানের কথাও অস্বীকার করেন ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তা। তিনি বলেন, এখানে কোন নির্মান কাজ আমরা চালাচ্ছি না। বয়সের ভারে ন্যুহ আবু বক্কর কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার নামে খতিয়ান এবং ২০২০ সাল পর্যন্ত আমার খাজনা দেওয়া আছে। আজ আমার জীবন হুমকিতে। আমাকে মারতে ভাড়াটে বাহিনী পিছনে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে। আমি কী করবো জানি না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন