ময়মনসিংহের ভালুকায় বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ দীপ্ত সরকারও (২৩) না ফেরার দেশে চলে গেলেন। আজ শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় হাফিজুরের পর দীপ্তকে নিয়ে দগ্ধ চার বন্ধুই মারা গেলেন।
বার্ন ইউনিটের কর্তব্যরত চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিকেলের পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া দীপ্তের মৃত্যুর তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দগ্ধ হাফিজুর রহমানের (২৪) মৃত্যু হয়। এসআই বাচ্চু মিয়া ও হাফিজের সহপাঠী তুষার মাহমুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শাহীন মিয়া।
হাফিজ নওগাঁর বাসিন্দা বিল্লাল হোসেনের ছেলে। ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিট সূত্র জানায়, হাফিজের শ্বাসনালীসহ শরীরের ৫৪ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
গত শনিবার রাতে ভালুকার মাস্টারবাড়ি এলাকায় একটি ছয়তলা ভবনের তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে তৌহিদুল ইসলাম নামের একজন মারা যান। গুরুতর দগ্ধ হন দীপ্ত সরকার, শাহীন মিয়া ও হাফিজুর রহমান। তারা সবাই খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) বস্ত্র প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী।
শিক্ষাজীবন শেষে কর্মজীবনে ঢোকার আগে হাতে-কলমে শিক্ষা নিতে এই চার শিক্ষার্থী ভালুকার স্কয়ার ফ্যাশন লিমিটেড নামের কারখানায় শিক্ষানবিশ (ইন্টার্ন) প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। কারখানার পাশে মাস্টারবাড়ি এলাকায় তারা ফ্ল্যাট ভাড়া নেন।
হতাহত এই চার শিক্ষার্থীর সবাই বিভাগে মেধাতালিকায় প্রথম দিকে ছিলেন। তাদের সহপাঠী তুষার মাহমুদ জানান, সম্মিলিত ফলাফলে দীপ্ত দ্বিতীয়, তৌহিদ তৃতীয় ও শাহীনের অবস্থান ছিল চতুর্থ।
স্কয়ার ফ্যাশন লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম জানান, ওই চার শিক্ষার্থী ১১ মার্চ থেকে ইন্টার্নি শুরু করেন, যা ৫ এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা ছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন