দীর্ঘদিন ধরেই রাজশাহীর এক হাজার পঞ্চান্নটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনশত পাঁচটিতেই প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। কাজ চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। আর এর ফলে ব্যহত হচ্ছে শিক্ষাসহ দাপ্তরিক নানা কাজকর্ম। ধীর্ঘদিন থেকে এই পদগুলো শূন্য হলেও তা পূরনে নেই তৎপরতা। প্রধান শিক্ষক না থাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন কার্যক্রমে নানান জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। প্রধান শিক্ষকের শূন্য আসনে স্কুলের সিনিয়র শিক্ষকেরা জোড়াতালি দিয়ে স্কুল চালাচ্ছেন। পদগুলো পূরণ করার জন্য অনেকদিন থেকে দাবি উঠলেও সংশ্লিষ্টদের টনক নড়ছে না। বেশ কিছুদিন থেকে শোনা যাচ্ছে স্কুলের সিনিয়র শিক্ষকদের পদোন্নতি দিয়ে এসব শূন্যপদ পূরন করা হবে। দেশের অন্যান্য জেলাতে এভাবে প্রধান শিক্ষকের পদ পূরণ করা হলেও রাজশাহীতে এখনো এই কর্মকান্ড শুরু হয়নি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় ১৬৫টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ২৯টি, চারঘাটে ৭৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ৩১টি, তানোরে ১২৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ৫৪টি, দূর্গাপুরে ৮৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ১৯টি, প্রঠিয়ায় ৯০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ৩০টি, পবার ৮৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ২১টি, বাগমারায় ২১৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ৭০টি, বাঘায় ৭৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ২২টি, বোয়ালিয়ায় ৬০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ৫টি এবং মোহনপুরে ৮০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ২৪টি। এতগুলো প্রধান শিক্ষকের পদ শূণ্য থাকার পরও কেন তা বিধি মোতাবেক পূরন করা হচ্ছেনা এমনটি জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রধান শিক্ষক নিয়োগে ইতোমধ্যে সরকার প্রজ্ঞাপন জারী করেছে। এটি মন্ত্রনালয় হতে অনুমোদন পেলে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে কবে নাগাদ তা হবে তা নিশ্চিত করে কেউই বলতে পারেনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন