জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় সম্প্রতি বয়ে যাওয়া স্মারনকালের ভয়াবহ ঘুর্ণিঝড়ে নওদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাংশ সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে করে শ্রেণি কক্ষ সংকটের কারণে ব্যহত হচ্ছে বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম। আসন্ন স্কুল পরীক্ষা অনুষ্ঠানের বিষয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। সেই সাথে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ।
গত ২ এপ্রিল তারিখে দুপুরে আকস্মিক ভয়াবহ এক ঘুর্ণিঝড়ে উপজেলার বাগুয়ান, নওদা, গোপালপুর ও দানেজপুর এলাকায় আঘাত হানে।এ জড়ে উক্ত গ্রামগুলোর প্রায় সহ¯্রাধিক বাড়িঘর, গাছপালাসহ নওদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাংশ সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের উপস্থিত বুদ্ধির কারণে বেঁচে যায় ভবনটিতে অধ্যয়নরত ৩০/৪০ শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিনা বানু জানান, এলাকার প্রায় দুই শত শিক্ষার্থী বিদ্যালয়টিতে অধ্যয়ন করে। এদের জন্য টিন সেডের সেমি পাকা ৩টি ও ফ্যাসিলেটিজ বিভাগের দেয়া ছোট একটি কক্ষসহ ৩টি কক্ষ বিশিষ্ট বিদ্যালয়টি।
কক্ষগুলির মধ্যে ১টি অফিস কক্ষ আর একটি কক্ষ খুবই ছোট। এসব প্রতিকুলার মাঝেই বিদ্যালয়টিতে পাঠদান করা হতো। কিন্তু ঝড়ে সেমিপাকা ভবনটি সম্পূর্ণ রূপে বিধ্বস্ত হওয়াতে পাকা ভবনটির মাত্র ২টি কক্ষে পাঠদান অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এছাড়া আগামী ২৩এপ্রিল থেকে বিদ্যালয়ে স্কুল পরীক্ষা অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। শ্রেণি কক্ষ সংকোটের কারণে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের বিষয়ের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
প্রধান শিক্ষক জানান, ঝড়ে বিধ্বস্ত ববনে ছাত্রদের জন্য রাখা বই খাতা ব্যাগসহ অন্যান্য শিক্ষা উপকরন সম্পূর্ণ রূপে বিনষ্ট হয়ে গেছে। অন্যদিকে ঝড়ে ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়িঘর উড়ে যাওয়ায় তাদের বইখাতারও সংকোট দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, জরুরী ভিত্তিতে বইখাতা দেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন