বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে সোমবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাড়ে তিন লাখের বেশি শিক্ষক। প্রধান শিক্ষকদের জাতীয় বেতন স্কেলের দশম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন দেওয়ার দাবিতে সোমবার সারাদেশের প্রায় ৬৬ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেন।
এ অবস্থায় কর্মবিরতিতে যাওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরিবিধি স্মরণ করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কর্মবিরতি পালনকারী শিক্ষকদের চিহ্নিত করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষার বিভাগীয় উপপরিচালকদেরকে নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ নামক একটি সংগঠনের ব্যানারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে। এ পর্যায়ে কোনো ধরনের দাবি আদায়ের কর্মসূচি পালিত হলে তা সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। অধিকন্তু সরকারি কর্মচারীগণ কর্তৃক এ ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা বা অংশগ্রহণ করা সরকারি শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা-২০১৮ এর সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
চিঠিতে আরও বলা হয়, বর্ণিতাবস্থায় এ ধরনের কর্মসূচির সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকগণকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার তিন ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করবেন তারা। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বন্ধ রাখবেন ক্লাস ও পরীক্ষা। ১৬ অক্টোবর এসব বিদ্যালয়ে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকরা। পরদিন ১৭ অক্টোবর পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করবেন তারা। এর পরও দাবি আদায় না হলে ২৩ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশ করে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার কর্মসূচি পালন শুরু করবেন তারা।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকদের মোট ১৪টি সংগঠনের সম্মিলিত মোর্চা 'বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ' গত ৬ অক্টোবর এ কর্মসূচি ঘোষণা করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন