মানিকগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা
মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার ভররা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টির সেমিপাকা ভবনটি নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করা হয়। ফলে কিছুদিনের মধ্যেই এটির দেয়াল ও মেঝে থেকে আস্তর খুলে পড়তে শুরু করে। তাছাড়া বিভিন্ন সময়ে প্রবল ঝড়ে টিনের চালা দুমড়ে-মুচড়ে যায়। বিভিন্ন সময়ে ছোটখাটো মেরামত কাজ করা হলেও দিনের পর দিন তা জরাজীর্ণ হয়ে পড়ছে। গত বছর সারাদেশে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পে বিদ্যালয়টির পূর্ব পাশের দেয়ালে ব্যাপক ফাটল সৃষ্টি হলে শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগ স্কুল পরিদর্শন করে বিদ্যালয়টি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। দৌলতপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসও বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে পাঠদান পরিচালনা করতে নিষেধ করেন। ফলে শিক্ষার্থীরা খোলা মাঠে ক্লাস করতে বাধ্য হয়। কিন্তু প্রখর রৌদ্র আর ঝড়বৃষ্টির কারণে বর্তমানে চার শতাধিক শিক্ষার্থী ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। ঝড়বৃষ্টির মৌসুম আবার অত্যাসন্ন। যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান জানান, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং নতুন ভবন নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। দৌলতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হোসেন তোজা জানান, বিষয়টি আমি অবগত, শিক্ষা কমিটির সভাপতি হিসেবে বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের বিষয়টি উপজেলায় দ্বিতীয় অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করেছি এবং সে অনুয়ায়ী তালিকা পাঠানো হয়েছে। ভররা গ্রামের প্রাণকেন্দ্রে প্রতিষ্ঠিত একমাত্র বিদ্যালয়টি এলাকার প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তারে অসামান্য ভূমিকা রেখে চলেছে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের স্থান সঙ্কুলান হয় না। দুই শিফটে কোন মতে শিক্ষাদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিসহ এলাকাবাসীর দাবি নতুন ভবন নির্মাণ ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন