মাদারগঞ্জ (জামালপুর) উপজেলা সংবাদদাতা
সংস্কারের অভাবে জামালপুরের মাদারগঞ্জের বালিজুড়ী আর এ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এর মধ্যেই চলছে পাঠদান। যে কোনো সময় এটি ধসে পড়ার আতঙ্কে আছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। মাদারগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়টি মাদারগঞ্জের বালিজুড়ী বাজার আবাসিক এলাকায় ১৯৬৮ সালে ৫০ শতাংশ জমির ওপর স্থাপিত হয়। তখন ছয় কক্ষের টিনের চালার একটি আধা পাকা ঘর নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণের পর ৪৬ বছর পেরিয়ে গেলেও ঘরটির কোনো সংস্কার করা হয়নি। বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, টিনের ঘরটি পুরোনো হয়ে যাওয়ায় ২০০৩-০৪ অর্থবছরে শিক্ষা অধিদপ্তরের অর্থায়নে ৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা ব্যয়ে দুই কক্ষবিশিষ্ট একতলা একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। কিন্তু বছর না ঘুরতেই নতুন ওই ভবনটির দক্ষিণ পাশ দেবে যায়। মেঝে, দেয়াল, ছাদ আর প্রতিটি বিমে ফাটলও ধরে। তখন থেকেই ওই ভবনে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়। এখন আগের আধা পাকা ঘরটিতেই পাঠদান চলছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২১৪ জন। সরেজমিনে জানা যায়, ঘরটির টিনের চালার অনেক জায়গা ফুটো হয়ে গেছে। দরজা-জানালার অধিকাংশই ভাঙা। পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ফাতেমা জানায়, বৃষ্টি হলে শ্রেণিকক্ষে পানি ঢোকে। একটু বাতাস হলেই মনে হয় চালটি ভেঙে পড়বে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহীনুর বেগম বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে হচ্ছে। বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের সংকটসহ আরও সমস্যা আছে। অভিভাবক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান, বিদ্যালয়ের ঘর ও ভবন দুটিই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়লেও তা সংস্কারের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। ফলে ভবন ধসের আশঙ্কায় তার ছেলেকে অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি করে দিয়েছেন। মাদারগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, পুরোনো ভবন দুটি ভেঙে নতুন ভবন করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন