পিছিয়ে থাকা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদেরও মাঝে রয়েছে অফুরন্ত প্রতিভা। যারা সুযোগ পেলে নিজেদের অমিত প্রতিভা তুলে ধরতে পারে। কিন্তু পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা ও সচেনতার অভাবে জাতীয় উন্নয়নের মূল স্রোতে এখন পর্যন্ত দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের পুরোপুরি সম্পৃক্ত করা সম্ভব হয়নি। শিক্ষা, সংস্কৃতিতে বরাবর দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা অবদান রাখলেও প্রয়োজনীয় সরকারি- বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা তাদের মেধার পরিপূর্ণ প্রকাশ করতে পারছে না। জাতীয় বিতর্ক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি দৃষ্টি-প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিতব্য বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন উপলক্ষ্যে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আয়োজক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র পরিচালক ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, জাহিদ রহমান, ড. এস এম মোর্শেদ প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশনের মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান খান।
লিখিত বক্তব্যে প্রতিযোগিতার আয়োজক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, দৃষ্টি-প্রতিবন্ধীদের জন্য আমরা এখনও প্রয়োজনীয় শিক্ষার পরিবেশ ও অবকাঠামো নিশ্চিত করতে পারিনি। চাকরির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের জন্যে নন-গেজেটেড ৩ শতাংশ এবং গেজেটেড ১ শতাংশ কোটা রয়েছে যা অপর্যাপ্ত। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের বাজারে প্রতিবন্ধী ভাতা মাত্র ৭০০ টাকা, যা অত্যন্ত অপ্রতুল। এ ছাড়াও দেশের সকল প্রতিবন্ধীকে এই ভাতার আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভিউ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম খান শাহীন, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার শাহ আলম হিমু, জাতীয় বিতার্কিক জান্নাতুল ফেরদাউস, সাইফুল্লাহ ওমর নাসিফ প্রমূখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন