বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী জিয়ার পরিবারে নেই ঈদ আনন্দ

প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মো. গোলাম ফারুক, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে
দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের পার্শ্ববর্তী জোগারপাড়ার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী জিয়াউর রহমানের পরিবারে এবার ঈদের আনন্দ নেই। সাবালিকা মেয়ের বিয়ে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। তার বিয়ের আর্থিক সাহায্যের জন্য সমাজের বিত্তবানদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে আর্থিক সহযোগিতা চান। দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের সীমান্তবর্তী এলাকা কাহালুর জোগাড়পাড়ার সেকেন্দার সরদারের পুত্র দৃষ্টি প্রতিবন্ধী জিয়াউর রহমান জিয়া গত ১ জুলাই শুক্রবার দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের কাঁচাবাজার এলাকায় একান্ত এক সাক্ষাৎকারে জানান, জন্ম থেকেই তিনি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। স্ত্রীসহ ৪ সন্তান নিয়ে তার পরিবার। সংসারের ঘানি টানতে সে মানুষের দ্বারে দ্বারে না ঘুরে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করেছেন। এজন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যবসা করেছেন। ভ্রাম্যমাণ দোকান নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের কাছে বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করেছেন। এক সময় দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের কাঁচাবাজার এলাকায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে মাইক ভাড়ার ব্যবসাসহ বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করে সংসার চালিয়েছেন। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী জিয়াউর এতকিছুর পরও ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করে শিক্ষিত করার চেষ্টা চালিয়েছেন। বর্তমানে তার বড় মেয়ে জাহানারা খাতুন দুপচাঁচিয়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছে। মেয়েটি বড় হয়ে সাবালিকা হয়েছে। এখন বিয়ে দেয়া প্রয়োজন। এজন্য অনেক টাকার দরকার। মেয়ের বিয়ে নিয়ে বড় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি। যেখানে ছেলেমেয়েদের ভরণ-পোষণ করা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী জিয়ার পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে সেখানে মেয়ের বিয়ের খরচ কোথা থেকে আসবে। সামনে ঈদ, তাই ঈদের আনন্দ থেকে সরে এসে মেয়ের বিয়ের জন্য সমাজের বিত্তবানদের কাছে যাকাত-ফিতরার টাকা থেকে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করছেন। এ লক্ষ্যে তিনি সমাজের বিত্তবান মানুষের কাছে তাদের যাকাত-ফিতরা থেকে তার ব্যক্তিগত বিকাশ নং (০১৭১৭-২৫১০১৩)-তে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন