রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

বাঙালি নদীর চর কেটে বালু বিক্রি অভিযোগেও মিলছে না প্রতিকার

বগুড়া থেকে মহসিন রাজু | প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বগুড়ার ধুনট উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামে বাঙালি নদীর ঘাট দখল করে নদীর চর কেটে বালু বিক্রি করছে প্রভাবশালীরা। এতে নদীর তীরবর্তী কৃষকের ফসলী জমি ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এবিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না।
জানা যায়, নিমগাছী ইউনিয়নের বুক চিরে বয়ে গেছে বাঙালি নদী। নদীতে বর্তমানে পানি না থাকায় জেগে উঠেছে বালু চর। গত কয়েক দিন যাবত স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ওই ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামে বাঙালি নদীর ঘাট দখল করে অবাদে নদীর চর কেটে বালু বিক্রি করে আসছে। প্রতিট্রাক বালু বিক্রি করা হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়। তবে নদীর চর কেটে বালু বিক্রি করায় ওই এলাকার শতাধিক কৃষকের ফসলী জমি বৃষ্টির পানিতে ধসে গিয়ে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে ওই এলাকার আজিবর রহমান, মজনু মিয়া ও চাঁন মিয়া জানান, গত কয়েকদিন ধরে ফরিদপুর গ্রামের আব্দুল খালেক, আনিছুর রহমান, আপেল মাহমুদ, মাসুদ রানা ও বকুল মিয়া সহ ১০/১২ জন প্রভাবশালী ব্যক্তি ফরিদপুর গ্রামের বাঙালি নদীর ঘাট দখল করে নদীর চর কেটে বালু বিক্রি করে আসছে। প্রতিদিন নদীর চর কেটে ১৫/২০ ট্রাক বালু বিক্রি করেছে। তবে নদীতে গ্রামের অনেক মানুষের জমি থাকলেও ওই প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অবৈধভাবে চর কেটে বালু বিক্রি করছে। এতে নদীর তীরবর্তী ফসলী জমি বৃষ্টির পানিতে ধসে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তবে এভাবে নদীর চর কেটে বালু বিক্রি করলে বর্ষা মৌসুমেই ওই সকল এলাকা সম্পূর্ণ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। তবে এবিষয়ে অভিযোগ করে কোন প্রতিকার না পাওয়ায় স্থানীয় এলাকাবাসী হতাশ হয়ে পড়েছে। ধুনট থানার ওসি খান মোহাম্মদ এরফান বলেন, এবিষয়ে কোন অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন