কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার দক্ষিণ পশ্চিম এলাকায় সবুজ শ্যামলে ঘেরা অনন্য সুন্দর এক গ্রামের নাম গল্লাই। চান্দিনা উপজেলার সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে গল্লাই গ্রামটির অবস্থান। গ্রামে প্রবেশমুখেই সুবিশাল মসজিদ, সড়কের দু’পাশে রয়েছে সারি সারি বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা, ব্যাংক ভবন, বিলাশবহুল বাড়িগুলো দেখলেই ঢাকার গুলশান বনানী কিংবা বারিধারার দৃশ্যেও ছায়া ভেসে ওঠে। অথচ এক সময় এ গাঁয়ের মানুষ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চৌকাঠ মাড়ানোরও সুযোগ পেত না। ১৫/২০ বছর আগেও সারা গাঁয়ে দু’একজন এমএ পাস লোক খুঁজে পাওয়া যেত না। আজ জ্ঞানের পরিধি গল্লাই গাঁয়ের মানুষকে আলোকিত করেছে। গাঁয়ে গাঁয়ে ছড়িয়ে পড়েছে জ্ঞানের আলো। গল্লাই গ্রামবাসীর মধ্যে জ্ঞানের আলোর বিস্তার ঘটাবে চিন্তা করেই গড়ে তোলা হয়েছে ১টি মসজিদ, একটি নিন্মমাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি বালিকা ও একটি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, একটি কিন্ডার গার্টেন, একটি কারিগরী কলেজ, একটি আলিয়া ও একটি দাখিল মাদ্রাসা, একটি কাওমি, একটি হেফজখানা, একটি এতিমখানা, একটি নূরানী মাদ্রাসা, একটি সুবিশাল মা ও শিশু হাসপাতাল। যে হাসপাতালটিতে কম খরচে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিনামূল্যে এলাকাবাসীর এখান থেকে চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকে। এছাড়াও স্থানীয় শিশু-কিশোরদের খেলাধুলা করার জন্য আছে সুবিশাল মাঠ। গল্লাই কমপেক্স নামে এলাকাটি পরিচিত সবার কাছে। গল্লাই কমপেক্সেটি পৃষ্ঠপোষকতায় আছেন গল্লাই গ্রামের কৃতি সস্তান বাংলাদেশ সরকারের সাবেক শিক্ষা সচিব ইরশাদুল হক। তিনি গল্লাই গ্রামে বসবাস না করলেও মাসে একবার হলেও পরিবার পরিজনদের নিয়ে ঢাকা থেকে গল্লাই নিজ কমপেক্সে এসে ঘুরে জান।
স্থানীয়রা জানান, গল্লাই কমপেক্স এর কারণে এ এলাকার মানুষের ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেছে। বিশেষ করে গল্লাই কমপেক্স এর ভেতরে সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় কম খরচে তাদের ছেলে মেয়েরা লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুধু গল্লাই গ্রামের ছেলেমেয়েরা নয়, এখন বহু দূর দূরান্ত থেকে ছেলেমেয়েরা গল্লাই এসে থেকে লেখাপড়া করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন