শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

মেলার নামে অশ্লীল নৃত্য-জুয়ার আসর হাতি দিয়ে চলে চাঁদাবাজি

প্রকাশের সময় : ৪ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

লামা (বান্দরবান) উপজেলা সংবাদদাতা

বান্দরবানের লামায় পৌর এলাকার ৯নং ওয়ার্ডে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মেলার নামে চলছে নগ্ন নৃত্য, জুয়া, মাদক গ্রহণ ও সার্কাসের হাতি নিয়ে পাড়া মহল্লায় চাঁদাবাজি। লামা মুক্তি অনাথ আশ্রমের আর্থিক সুবিধা প্রাপ্তির নামে বান্দরবান জেলা প্রশাসন থেকে ১৩ শর্তে ১০-২৯ মার্চ পর্যন্ত ২০ দিনব্যাপী অনুমতি দিলেও মানা হচ্ছে না কোন শর্ত। বিশেষ করে যেসব ইভেন্ট পরিচালনা করতে নিষেধ করা হয়েছে তা হচ্ছে বেশি। আয়োজকরা সবাই স্থানীয় ও প্রভাবশালী লোকজন হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে এই উলঙ্গ নৃত্য ও অবৈধ জুয়ার আসর চালানোর সাহস দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ সচেতন এলাকাবাসীর। স্থানীয়রা জানায়, মেলার নামে এ সকল অশ্লীল কর্মকা-ের কারণে এলাকার যুব সমাজ ও স্কুল কলেজ পড়–য়া ছাত্ররা নৈতিক অবক্ষয়সহ মাদক দ্রব্য গ্রহণের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ওই মেলাকে কেন্দ্র করে শিশু কিশোররা টাকার লোভে জুয়ার দিকে আসক্ত হচ্ছে। অভিভাবক হতে বিভিন্ন পন্থায় টাকা আদায় করতে না পেরে চুরির মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। আরো অনেকে অভিযোগ করেন, মেলাকে কেন্দ্র করে হরিণঝিরি এলাকা এখন মাদকের অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। মেলাতে ও মেলার আশপাশে মদ, গাঁজা ও ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য বিক্রি করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আগামী ৩ এপ্রিল হতে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু। আমাদের ছেলেমেয়েরা মেলার মাইকের উচ্চস্বরের কারণে সন্ধ্যার পর লেখাপড়া করতে পারচ্ছে না। জানা গেছে, অনাথ আশ্রমের উন্নয়নের জন্য মেলা অনুমতি প্রাপ্ত হলেও এর অবৈধ সুবিধা নিচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের নেতা কর্মীসহ স্থানীয় একটি মহল। অনুমতি পত্র মতে, মেলার সকল কার্যক্রম রাত ১২টার মধ্যে সমাপ্ত করার কথা থাকলেও চলছে সারারাত। মেলায় অশ্লীল নৃত্যে ও জুয়ায় অধিকাংশ দর্শক হচ্ছে স্কুল কলেজের উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা। তবে স্থানীয়রা বলছেন দ্রুত এ মেলা বন্ধ না করলে অচিরেই এলাকার সামাজিক পরিবেশ নষ্ট হয়ে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদ মাহমুদ জানান, পুলিশের রির্পোটেরভিত্তিতে মেলা অনুমতি প্রাপ্ত হয়। তবে মেলার নামে অশ্লীল কর্মকা- হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য, বর্তমান এই মেলা পরিচালনা কমিটির অসামাজিক কাজে অতিষ্ট হয়ে ২০১৪ সালে লামা পৌর শহরের ৭নং ওয়ার্ডে একটি মেলা আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয় এলাকার মুসলিম উম্মাহ। এই ধরনের কোন অপ্রীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি না হতেই মেলাটি বন্ধ করে দিতে অনুরোধ করেছে এলাকার সচেতন মহল ও অভিভাবক বৃন্দ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন