বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বচ্চো ডিগ্রীধারী বেকার যুবক জাকির হোসেন অবশেষে লাউ চাষ করে সাফল্যের মুখ দেখেছে। জাকির হোসেন সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আঃ রউফের পুত্র। ২০১০ সালে এমএ পাশ করে চাকরীর সন্ধানে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়ায়। এক পর্যায়ে ২০১১ সালে জানুয়ারী মাসে কেয়া কসমেটিকসে যোগদান করে। এক বছর পরে ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে ওরিওন ফার্মা নামে ওষুধ কোম্পানীতে যোগদান করে। কিন্তু বেসরকারী এসব প্রতিষ্ঠানের চাকরীতে ব্যপক পরিশ্রম করে আশানুরুপ সাফল্যের মুখ দেখতে পায়না। তাই এক পর্যায়ে স্বাধীন কিছু করার সিদ্ধান্ত নেয়। চিন্তা ভাবনা অনুযায়ী গ্রামে ফিরে পিতাকে কৃষি কাজে সহায়তার পাশাপাশি গ্রামের বাজারে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করে। সেই দোকানে বিকাশ ও ডাচ বাংলার রকেট এরম মাধ্যমে টাকা লেনদেনের ব্যবসা করতে থাকে। কিন্তু তেমন লাভের মুখ দেখতে পায়না। তাই অবশেষে চলতি বছর জানুয়ারী মাসে জাকির .৫০শতক জমিতে লাউ চাষে মনোনিবেশ করে। প্রথমে .১৬শতক জমিতে লাউ বীজ রোপন করে। লাউয়ের চারা বের হওয়ার পরে এই জমিতে লাউয়ের মাচা এবং পাশের আরো .৩৩শতক জমিতে লাউয়ের বীজ রোপন করে। প্রথম দফায় লাগানো গাছে ফেব্রæয়ারী মাসের শেষে ল্উা উঠতে শুরু করে। একের পর এক ফুল ফুটছে আর কয়েক দিন পরে মাচার নীচে লাউ ঝুলে পড়ছে। এসময় লাউয়ের ভাল বাজার দাম পায়। মার্চ মাসের প্রথমার্ধে দ্বিতীয় দফায় লাগানো গাছে লাউ বিক্রি আরাম্ভ হয়। ইতিমধ্যে প্রায় ১ লাখ টাকার লাউ বিক্রি হয়েছে। আরো প্রায় ৫০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি হবে বলে জাকির হোসেন আশা করছে। চাষে এই সাফল্য দেখে জাকির পরবর্তীতে আরো লাভজনক চাষাবাদ করার চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন