২০১৮-১৯ অর্থবছরে পৌনে দুই লাখ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) নিতে যাচ্ছে সরকার। নির্বাচনী বছরে এডিপি নেয়ার রেকর্ড এটি। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে একাধিক নতুন প্রকল্প প্রস্তাব আসায় বাড়ছে বরাদ্দ। নির্বাচনী অর্থবছরে ২০০ থেকে ২৫০টি নতুন প্রকল্প নেয়া হবে। এগুলো সরকারী অথবা বিদেশি সহায়তায় বাস্তবায়িত হবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ প্রায় দুই হাজার বরাদ্দবিহীন প্রকল্পের প্রস্তাব করেছে। এসবের মধ্যে এক হাজার বরাদ্দবিহীন প্রকল্পের নাম তালিকার একটা খসড়া করেছে পরিকল্পনা কমিশন।
মে মাসের মাঝামাঝিতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের নতুন এডিপি চূড়ান্ত করবে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সভা। সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এডিপি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে পরিকল্পনা কমিশন। কমিশন গত বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক করেছে। কারন হিসেবে জানা গেছে- হাতে সময় কম। তাই মে মাসেই চূড়ান্ত হচ্ছে নতুন এডিপি। চলতি অর্থবছরের মূল এডিপির আকার ছিল ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা। এডিপিতে মূল প্রকল্পসংখ্যা ১ হাজার ৬৫৮টি, উপ-প্রকল্প ৫১টি এবং উন্নয়ন সহায়তা থেকে ৯টি প্রকল্প চলমান আছে। মূল প্রকল্পগুলোর সঙ্গে আরও ২৫০ প্রকল্প যুক্ত হবে নির্বাচনী বছরে।
নতুন এডিপি প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের যুগ্ম প্রধান প্রশান্ত কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ থেকে নতুন এডিপি ইস্যু জারি হয়। বলা চলে এখান থেকেই এডিবি প্রণয়নের কাজ শুরু। হাতে সময় নাই। মে মাসের মাঝামাঝিতে নতুন এডিপি চূড়ান্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, বরাদ্দবিহীন কয়েক হাজার প্রকল্পের প্রস্তাব বিভন্ন মন্ত্রণালয় আমাদের কাছে পাঠিয়েছে। এসবের মধ্য থেকে এক হাজার প্রকল্প রাখা হবে। তবে নতুন প্রকল্প হবে ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ২৫০টি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন