শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

অবশেষে ভাতা পেলেন বীরাঙ্গনা মালেকা

প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা
স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর ১৯৭১ সালে পাক সেনা ও তাদের দোসর রাজাকারদের দ্বারা নির্যাতিত ও সম্ভ্রম হারানো বীরাঙ্গনা মালেকা বেগম মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা পেয়ে ৬ মাসের ভাতার চেক পেয়ে আনন্দে আত্মহারা। গত রোববার বিকালে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ইরতিজা আহসান বীরাঙ্গনা মালেকা বেগমকে মাসিক ৮ হাজার টাকা হিসাবে ৬ মাসের ৪৮ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার দাস, উপজেলার মনাকষা ইউনিটের ডেপুটি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার প্রভাত সিংহসহ উপজেলা কার্যালয়ের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ইরতিজা আহসান বলেন, সরকার ’৭১ সালের পাকবাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকারদের দ্বারা নির্যাতিত বীরাঙ্গনাদের মধ্যে গত অক্টোবর মাসে সারা দেশে ৪১ জনের নাম গেজেট আকারে প্রকাশ করে। গেজেট প্রকাশের পর এই প্রথম সম্মানী ভাতা পেলেন মালেকা বেগম। প্রথম কিস্তিতে অক্টোবর মাসে থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ৬ মাসে ৪৮ হাজার টাকা পেলেন এবং এখন থেকে প্রতি মাসে মুক্তিযোদ্ধাদের সমান সম্মানী ভাতা পাবেন। পরে তিনি বীরাঙ্গনা মালেকা বেগমকে নিজস্ব তহবিল থেকে ৫ হাজার টাকা প্রদান করেন। এ বিষয়ে বীরঙ্গনা মালেকা বেগম জানান, রাজাকার ও পাকবাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়ে দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার ও তাদের দোসরদের কাছে বিভিন্ন ধরনের ভর্ৎসনা শুনে ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে মানবেতর জীবনযাপন করেছি। আজ আমি অনেক আনন্দিত। উল্লে­খ্য, গেল বছরের জানুয়ারি মাসে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর সরকারের সুদৃষ্টির মাধ্যমে গত অক্টোবর মাসে গেজেটভুক্ত হন তিনি। এর ধারাবাহিকতায় গত রোববার বিকালে ৬ মাসের ৮ হাজার মাসিক হারে ৪৮ হাজার চেক প্রদান করা হয় বীরাঙ্গনা মালেকা বেগমকে। বীরাঙ্গনা মালেকা বেগমের বাড়ি মনাকষা ইউনিয়নের টোকনা গ্রামে। তার স্বামীর নাম মৃত রুস্তম আলি। বীরাঙ্গনা মালেকা বেগম স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবধি পরের জমিতে পলিথিনের ছোট একটি ঘরে বসবাস করে আসছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন