শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

সরকারি বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আমতলী (বরগুনা) উপজেলা সংববাদদাতা
বরগুনা জেলার আমতলী ও তালতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদ্বয় মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে অর্ধশতাধিক অব্যাহতিপ্রাপ্ত শিক্ষককের বেতন প্রদান অব্যাহত রেখেছেন। বর্তমান আ.লীগ সরকার ২০১৩ সালে দেশের সকল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে ৩ ধাপে পর্যায়ক্রমে সরকারিকরণ করেছেন। ঐ সময় বাংলাদেশ গেজেট, তারিখ: ৮ আশ্বিন ১৪২০ বঙ্গাব্দ/২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ, ৮। চাকুরীর অবসান, ইত্যাদি।-(১) কোন শিক্ষক বিধি ৪ এর উপ-বিধি(১) এর দফা (খ) এ বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হইলে নিয়োগের ৩ (তিন) বৎসর পূর্তির তারিখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাহার চাকুরী অবসান হইবে গেজেটে বলা হয়েছে। সরকারিকরণকৃত সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়সমূহের শিক্ষকদের মধ্যে যারা ঝঝঈ ও ঐঝঈ পরীক্ষায় ৩য় বিভাগ প্রাপ্ত তাদেরকে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে (৩ বছর) যে কোন ১টি পরীক্ষায় ২য় বিভাগ অর্জন করতে হবে। নতুবা ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাহার চাকুরী অবসান হইবে। উক্ত বিধি মতে বৃহত্তর আমতলী ও তালতলী উপজেলার ১শ ১টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬৩ জনেরও অধিক শিক্ষক ঝঝঈ পাস এবং ঝঝঈ ও ঐঝঈ ২টি পরীক্ষাই ৩য় বিভাগ প্রাপ্ত। সরকারি বিধি মোতাবেক বেধে দেওয়া ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখের মধ্যে কেউই নতুন করে পরীক্ষা দিয়ে ২য় বিভাগ অর্জন করতে সক্ষম হননি। বিধিমালা অনুযায়ী ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তারা চাকুরীচ্যুত হিসেবে গণ্য। কিন্তু আমতলী ও তালতলী উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে অর্ধশতাধিক অব্যাহতিপ্রাপ্ত শিক্ষকের ২০১৬ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন প্রদান করেছেন এবং মার্চ মাসেরও বেতন প্রদানের প্রক্রিয়া চলছে। আমতলী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাঃ শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম মোবাইলে (০১৭১৬৭৩৭৫৮৫) জানান, এ ব্যাপারটি আমার জানা নেই, আপনি অফিসে চা’র দাওয়াত তখন কথা হবে। এবং তালতলী উপজেলা প্রাঃ শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী মনিরুজ্জামান রিপন মোবাইলে (০১৭১১০১৯০৬৩) জানান, আমি যোগদানের আগে পূর্বের শিক্ষা কর্মকর্তা বেতন দিয়েছেন। আমি আপনার কাছে একথা জানতে পরে ঝঝঈ ও ঐঝঈ ২টি বিভাগে পাশ শিক্ষকদের তালিকা তৈরী করছি বর্তমানে বেতন বন্ধ রেখেছি। উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন, মোবাইলে (০১৭১৬০৪৩১৪৬) জানান, আমি বেতন বিল বন্ধ করেছিলাম কিন্তু আমতলী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম আমাকে বেতন দেওয়ার জন্য চিঠি দিলে তারপর শিক্ষকদের বেতন দিই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন