চাঁদদপুরের কচুয়া উপজেলায় ইরি-বোরো ধান ‘নেকব্লাস্ট’ রোগে আক্রান্ত হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক। চলতি মৌসুমে কচুয়ায় সাড়ে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ করা হয়। এ বছর বাম্পার ফলন হয়েছে বলে কৃষকরা অভিমত প্রকাশ করেন। কিন্তু সকল মাঠের ইরি ফসলই কম বেশি ‘নেকব্লাস্ট’ রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
এখন প্রতিদিনই বৃষ্টিসহ ঝড়-তুফান হচ্ছে। এতে এ রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। গত বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে (অতিবৃষ্টি) বোরো আমন ফসল ঘরে তুলতে পারেনি এ উপজেলার কৃষক। এতে কৃষকের অপূরনীয় ক্ষতি সাধিত হয়। চলতি বোরো মৌসুমেই শুরুতে ক্ষতি পুষিয়ে ওঠতে আগে বাগেই কোমর বেঁধে নামে কৃষক। কিন্তু বিধিবাম! চলতি মৌসুমেও কাংখিত ফসল হারাতে বসেছে কৃষক।
অনেক কৃষকই চাষাবাদে বিনিয়োগ করা মুলধনের অর্ধেক ফসল ঘরে তুলতে পারবেন কিনা সন্দেহ পোষণ করছে। ধান গাছের শীষ বের হওয়ার অংশে প্রথমত কালো দাগ সৃষ্টি হয়। এ দাগ সৃষ্টির অল্প কয়েকদিনের মধ্যে ধানের ছড়া দ্রæত শুকিয়ে সাদা বর্ণ (চিটা) হয়ে যায়।
কৃষিবিদদের মতে রাতে ঠান্ডা, ভোরে ঘন কুয়াশা এবং দিনে গরমের কারনে এ ‘নেকব্লাস্ট’ রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। এ রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার প্রধান কারন হচ্ছে, ঝড় ও বৃষ্টি। ঝড়ে ‘নেকব্লাস্ট’ রোগের ছত্রাক এক মাঠ থেকে আরেক মাঠে এবং বৃষ্টি জনিত কারনে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে প্রবাহিত পানি দ্বারা ছত্রাক এক জমি থেকে আরেক জমিতে ছড়িয়ে পড়ছে।
কচুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবিব ‘নেকব্লাস্ট’ রোগে ইরি-বোরো ধান আক্রান্ত হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ‘এ রোগ প্রতিরোধে টুপার, নিটাভো ও ফিলিয়া নামক কীটনাশক ঔষধ পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। প্রথমবার স্প্রে করার ৮-৯ দিন পর দ্বিতীয় বার স্প্রে করতে হবে। নিয়মিত যাতে কৃষকরা ওই কীটনাশক ব্যবহার করে সেজন্য উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে উপজেলা সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করছেন।’
এদিকে এ ভয়াবহ রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পরামর্শ পেতে উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাদেরকে ঠিক মত মাঠে ময়দানে পাওয়া যাচ্ছেনা বলে কৃষকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন