শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

পাট বীজের সঙ্কট দেখিয়ে চড়া মূল্যে বিক্রির অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কেশবপুর (যশোর) উপজেলা সংবাদদাতা
যশোরের কেশবপুরে সরকারি বিএডিসি বীজ বিক্রয় কেন্দ্রে চলতি বছর পাট বীজের বরাদ্দ দেয়া হয়নি। ফলে ভারতীয় নি¤œমানের পাট বীজে সয়লাব হয়ে গেছে বাজার। আর এ সুযোগে অসাধু বীজ ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছে বীজ চড়া মূল্যে বিক্রি করছে। নি¤œমানের এ বীজ কিনে কৃষকরা ক্ষেতে বপণ করে প্রতারিত হচ্ছে। ফলে বীজ সঙ্কটে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এ উপজেলায় পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার হেক্টর। যা গত বছরের চেয়ে ২শ’ হেক্টর বেশি। এর জন্যে বীজের প্রয়োজন রয়েছে ৩ দশমিক ১০০ মেট্রিক টন। সরকার প্রতি কেজি পাট বীজের মূল্য নির্ধারণ করেছে ১২৫ টাকা। এ বছর উপজেলা বিএডিসি বীজ বিক্রয় কেন্দ্রে সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ দেয়া হয়নি। ফলে কৃষকরা বিএডিসির বীজ না পেয়ে ভারতীয় বীজের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। এ সুযোগে কেশবপুরের বীজ ব্যবসায়ীরা সঙ্কট দেখিয়ে সরকার নির্ধারিত মূল্যেও চেয়ে ৩০০ টাকা বেশি দরে কৃষকের কাছে এ বীজ বিক্রি করছেন। অবিলম্বে পাট বীজ সরবরাহ করার জন্যে চাষিরা কৃষি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করেছেন। মজিদপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল হামিদ জানান, তিনি এ বছর ৪ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করবেন। ইতোমধ্যে ১ বিঘা জমিতে বীজবপণ করা হয়েছে। তিনি প্রতি কেজি ভারতীয় বীজ ৩৮০ টাকা দরে ক্রয় করেছেন। তবে গত ৩১ মার্চ ঝড় বৃষ্টি হওয়ায় বীজের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় যা গত ১ সপ্তাহ আগে ৩৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল বর্তমান তা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা দরে। অনেক কৃষক ভেজাল বীজ ক্রয় করে প্রতারিত হচ্ছে। জানা গেছে, এ উপজেলায় দই পর্বে কৃষকরা পাট বীজবপণ করে থাকেন। সাধারণত উঁচু জমিতে ১৫ চৈত্র থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত পাট বীজবপণ করা হয়ে থাকে। নিচু জমিতে বোরো ধান কাটার পর অর্থাৎ ১০ বৈশাখ থেকে ২০ বৈশাখ পর্যন্ত পাট বীজবপণ করা হয়ে থাকে। এ বছর আগাম বৃষ্টিপাত হওয়ায় বীজের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ডিলাররা সঙ্কট সৃষ্টি করে চড়া মূল্যে বিক্রি করছে। এ ব্যাপারে পাট অধিদপ্তরের উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মাসুদুজ্জামান বলেন, এ উপজেলায় সরকারিভাবে ১ মেট্রিক টন বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। সংগত কারণে এ বীজ চেয়ারম্যান মেম্বারদের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, গত ৩ এপ্রিল পর্যন্ত এ উপজেলায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে তোষা জাতের পাটের বীজবপন করা হয়েছে। সরকারি বীজ বিক্রয় কেন্দ্রে বীজ না থাকায় কৃষকরা ভারতীয় বীজের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন