কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ, কৃষি নির্ভর বাংলাদেশ। আমাদের জন্য কথাটি পরম সত্য। কৃষির উৎকর্ষতা সাধনে প্রাচীন কাল থেকে ধাপে ধাপে কৃষি ক্ষেত্রের চাষ পদ্ধতি কখনো অধিক ফসল কখনোবা এক জমিতে একাধিক ফসল উৎপাদন করে কৃষক যুগিয়ে দেশের মানুষের অন্ন। কোন কোন ক্ষেত্রে উৎপাদিত কৃষি সামগ্রী বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে দেশ আয় করেছে বৈদেশিক মুদ্রা। ঠিক তেমনি একজন সফল কৃষক উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের নরহরকাটী গ্রামের ফেরদৌস মোড়ল। ফেরদৌস মোড়ল তার ১২ বিঘা জমিতে আমসহ একাধিক ফসল ফলিয়ে কৃষি উন্নয়নের এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। ২০১৬ সালে ১২ বিঘা জমিতে কালিগঞ্জ উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগীতায় ও দিক নির্দেশনায় ৪৭০টি আমের চারা রোপন করেন। চলতি ২০১৮ সালে ইতোমধ্যে উক্ত বাগান থেকে তিনি ১ হাজার কেজি আম সংগ্রহ করে প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে মোট ৮০ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। বাগান থেকে এখন আনুমানিক ৯ হাজার কেজি আম বিক্রি করা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। উনার রোপিত সকল আম সীতা ভোগ জাতের। শুধু আমই নয়, উক্ত জমিতে বছরে আরও ৩টি ফসল ফলান বলে তিনি এই দৈনিক ইনকিলাবকে জানান। উক্ত কৃষক ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সোবহানের ভাষ্য মতে খরিপ-২ মৌসুমে রোপা আমন ৪৯ ধান চাষ করে ৭.২ মেট্রিক ধান উৎপাদন করেন, যার বাজার মুল্য ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ব্যয় ৭২ হাজার টাকা। শীত মৌসুমে সরিষা চাষ করে পেয়েছেন ২ মেট্রিক টন সরিষা, যার আনুমানিক বাজার মুল্য ১ লক্ষ টাকা, ব্যয় ২০ হাজার টাকা। বোরো মৌসুমে ব্রি ২৮ ধান চাষ করে পেয়েছেন ৯.৬ মেট্রিক টন ফসল যার বাজার মুল্য আনুমানিক ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ব্যয় ৯৬ হাজার টাকা। সর্ব মোট কৃষক ফেরদৌস মোড়ল তার উপরোক্ত ১২ বিঘা জায়গায় আম, দুই প্রকার ধান ও সরিষা ফলিয়ে ২০১৭-২০১৮ সালে ৪ লক্ষাধিক টাকা আয় করেছেন। আম বাগানে এখনও যে আম অবশিষ্ট আছে তার আনুমানিক মুল্য ৪-৫ লাখ টাকা বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন