শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

ছোট যমুনা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি বিলীনের আশঙ্কা

প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মোশারফ হোসেন মজনু, পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) থেকে
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে বালু দস্যুতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বালুদস্যুরা অবৈধভাবে ছোট যমুনা নদী থেকে ড্রেজিং করে বালু উত্তোলন করায় নদীর দু’ধারের জমি, ঘর-বাড়ি ও গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নদীতে বিলিনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে দু’পাড় ভেঙে ছোট যমুনা নদীর মূল মানচিত্র পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। বালুখেকোরা প্রতিদিন শত শত ঘন ফুট বালু উত্তোলন করছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এই সব বালু চলে যাচ্ছে কালাই, ক্ষেতলাল, আক্কেলপুর, ধামইর হাট, ঘোড়াঘাট, হাকিমপুর ও বিরামপুরসহ বিভিন্ন এলাকায়। এ সব বালু পরিবহনের ফলে স্থানীয় রাস্তা ঘাটগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বালি বোঝাই গাড়ি যাতায়াতের কারণে ছোট যমুনা নদীর উপর ঝুঁকিপূর্র্ণ ব্রিজটি কেঁপে ওঠে। অদক্ষ চালকরা বালু বোঝাই গাড়ি চালানোর ফলে রাস্তায় প্রায় দুঘর্টনা ঘটে। প্রতি সেফটি বালু নদীর ঘাট থেকে ৭০ টাকা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। সেই হিসেবে বালুখেকোরা প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সরেজমিন বাগুয়ান ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, বালু পরিবহনের জন্য প্রায় ১ কিঃ মিঃ নদীর পার খুরে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রশাসন অভিযান চালালে কিছু দিনের জন্য বালু উত্তোলন বন্ধ থাকে। পরে একইভাবে বালু উত্তোলন করেন বালুখেকোরা। বালু উত্তোলনকারী গদাইপুর গ্রামের মাজেদুর রহমান ওরফে বালু খোকন জানান, জমির মালিক মন্টু সরদারকে টাকা দিয়ে বাগুয়ান ঘাট থেকে বালু উত্তোলন করছি। তিনি আরো বলেন, বাগজানা, আটাপাড়া, ছোট মানিক,
কৃষ্টপুর, সমস্যাবাদ ঘাটসহ আরো অনেক জায়গায় বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর উদ্দিন আল ফারুক জানান, অচিরেই এসব অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন