শিশির রঞ্জন দাস বাবু
বাংলাদেশ প্রায়ই খরা, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার। প্রকৃতির এসব বিরুদ্ধতার মুখে এদেশের মানুষের টিকে থাকা ও ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি সহিষ্ণুতার খবর বহির্বিশ্বের মানুষ কমই জানে। গত সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ সম্মান পাওয়ার মধ্যদিয়ে বিশ্ববাসীর জানার সুযোগ হলো যে, বাংলাদেশের জনগণ প্রকৃতির প্রতিকূলতার মুখে শুধু টিকে থাকতেই জানে না। বরং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ঝুঁকিগুলো দক্ষভাবে মোকাবিলা করার সুদূরপ্রসারী কর্মকৌশলও নিতে পারে। বৈরী জলবায়ুর সবচেয়ে বড় শিকার বাংলাদেশের কৃষিখাত। বদলে যাচ্ছে জলবায়ু। ক্ষতি হচ্ছে কৃষক ও কৃষির। আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে কৃষির অবদান অপরিসীম। গ্রামীণ জনজীবন কৃষিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে। এদেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান এবং জীবনযাত্রার সামগ্রিক মানোন্নয়নে কৃষি এবং এর উপখাতগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
বৈশ্বিক জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা আমাদের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদেশের কৃষক সমাজ তাদের সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের জীবনমান উন্নয়নে অবিরাম সংগ্রাম করে চলেছে, পাশাপাশি প্রায় ১৫ কোটি মানুষের ক্ষুধার অন্ন সংস্থানের নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘটতে থাকা প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের কৃষি ব্যবস্থার ওপর নিরন্তর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। গত ২০০ বছরের ইতিহাসে প্রথম ৫০ বছরে বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়েছে ৩টি। শেষ ৫০ বছরে হয়েছে ৫১টি। বৈশ্বিক উষ্ণতাসহ বিভিন্ন কারণে পৃথিবী হুমকির মুখে। বাংলাদেশও তার বাইরে নয়। সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা বৃদ্ধি, ভূমিক্ষয় ও পানির লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে আশঙ্কাজনক হারে। লবণাক্ততার কারণে বাংলাদেশের বাইরে কৃষি জমির ক্ষতির পরিমাণ ৪,১০৯ কোটি টাকা। সুন্দরবন থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৭১০ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলীয় অঞ্চলের ৪৭,২০১ বর্গকিলোমিটার। দেশের ১৮টি জেলা, ১৩৭টি উপজেলা উপকূলীয় অঞ্চলের আওতাধীন। ৩৮টি উপজেলা সরাসরি সাগরের মুখোমুখি অবস্থানে উপকূলীয় অঞ্চলে ২.৮ মিলিয়ন হেক্টর কৃষি জমি রয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলে ৪ কোটি ৬০ লাখ জনগণের বাসভূমি। বিশ্ব ঐতিহ্য ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের অবস্থানও এ অঞ্চলে।
গত ২৩ বছরে জোয়ার-ভাটার তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে হিরণ পয়েন্ট, চরচেঙ্গা ও কক্সবাজারের সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা প্রতি বছর ৪.৬ ও ৭.৮ মিলিমিটার হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমুদ্র পৃষ্ঠের ১ মিটার বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের ১৭.৫ শতাংশ ভূমি প্লাবিত হবে। উপকূলীয় অঞ্চলের ১৩ শতাংশ ভূমিতে অতিমাত্রায় লবণাক্ততা রয়েছে। সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা ১ মিটার বৃদ্ধির কারণে অতিমাত্রায় লবণাক্ততায় ক্ষতিগ্রস্থ ভূমির পরিমাণ হবে শতকরা ১১ ভাগ। ১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত সময়ে যশোর, মাগুরা, নড়াইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ ও ঝালকাঠির ভূমির মাটি লবণাক্ততা বেড়েছে। শুধু বরিশাল ও খুলনা বিভাগে ১৫,৫০,০০০ হেক্টর জমি লবণাক্ত পানির মাধ্যমে প্রভাবিত। ভাঙনে ভূমি ক্ষয় ও নতুন চর জেগে ওঠা বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী কর্তৃক অঙ্কিত ১৯৫৫ সালের মানচিত্র এবং ২০০৬ সালের ভূ-উপগ্রহ চিত্র পর্যালোচনায় এই ভাঙাগড়ার খেলা স্পষ্টভাবে চোখে পড়ে। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝর, সিডর বা আইলার মতো শক্তিশালী জলোচ্ছ্বাস বা সাইক্লোন সারা উপকূলকে তছনছ করে যায়।
এ ছাড়া বন উজাড়, নগরায়ণ উপকূলীয় ভূমির জন্য বিশেষ হুমকি। অদক্ষ জনগোষ্ঠী, প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশের ভূমির বিপন্নতার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। সময়োপযোগী ভূমি ব্যবস্থাপনার অভাবে উপকূলীয় ভূমির বিপন্নতা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপকূলীয় ভূমি ব্যবস্থাপনা সরকারের দুটি পরিকল্পনার কথা জানা যায়। প্রথমটি ২০০২ সালে প্রণয়ন করা হয়েছে। মূলত জমি থেকে সবচেয়ে বেশি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে ভূমিক্ষয়, যেমন : নদী ভাঙনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই নীতিতে স্থান পায়নি। অন্যটি হচ্ছে ২০০৫ সালের প্রণীত উপকূলীয় অঞ্চলনীতি। উপকূলীয় অঞ্চলের উত্তম ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে প্রণীত হলেও সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এতে অনুপস্থিত। এটি স্পষ্ট বাংলাদেশের ভূমি নানামুখী সমস্যার সম্মুখীন। বাংলাদেশের সংবিধানে ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো পরিবেশ, প্রাকৃতিক সম্পদ ও ইকোসিস্টেমের সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব জনগণ ও সরকারের বলে সংযোজন করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের জন্য উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বলে জাতিসংঘ স্বীকৃতি দিয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত উপকূলের বন উজাড় ও জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী। স্থানীয়ভাবে ভূমি বিপন্নতা নির্দেশিকা প্রণয়ন এবং দুর্যোগের সঙ্গে খাপখাইয়ে চলার জন্য পন্থা খুঁজে বের করা উপকূলীয় ভূমির সময়োপযোগী ব্যবস্থাপনার জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি। কৃষির জন্য প্রয়োজন ভূমি। সেই ভূমি যদি না থাকে তাহলে বেশি ক্ষতি হবে কৃষির। বাংলাদেশের কৃষি শ্রমিকের একটি বড় অংশ নারী। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কৃষিকাজ বিঘিœত হবে। হাঁসমুরগি ও পশু পালন হুমকির মুখে পড়বে। ফলে নারীরা দরিদ্র থেকে আরো দরিদ্র হবে। ঢাকায় মানুষ ১ কোটি ৫০ লাখ। প্রতি বর্গকিলোমিটারে বাস করে ২৮ হাজার মানুষ। এ জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশই জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার। নদীতে নিজের চাষ করা জমি হারিয়েছে। হারিয়ে গেছে নিজের বসতিটুকুও। সচ্ছল কৃষক পরিণত হয়েছেন বেকারে। কাজ নেই। খাদ্য কেনার পয়সাও নেই। কোথাও নোনা পানির কারণে চাষাবাদ করা যায় না।
মৎস্যজীবীদের কেউ কেউ এখন পেশা ছেড়ে ঢাকায় রিকশা চালান। বস্তিবাসী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এরা অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু। বাংলাদেশ কোপেন হেগেন সম্মেলনে এদেও উনিভার্সাল ন্যাচারাল পার্সন হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়েছে। আন্দারমানিক নদীতে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় নদীর মাছ মরে যাচ্ছে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে এই অঞ্চল বসবাসের অযোগ্য হতে পারে। দক্ষিণাঞ্চলসহ সমগ্র বাংলাদেশের পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে কৃষি খাতের অন্যতম এই দুটি উপখাত হুমকির মুখে পড়েছে। দেশে এখনও শতকরা ৭৬.৪৭ জন গ্রামে বাস করেন। ২৩.৫৩ জন বাস করেন শহরে। কাজেই কৃষি ব্যবস্থার এবং গ্রামীণ জনগণের উন্নয়ন মানেই দেশকে সমৃদ্ধ করা। ১৫ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ৩ কোটি কৃষি পরিবার রয়েছে। যাদের মানোন্নয়নের তথা সুন্দরভাবে বেঁচে থাকা, আয়, উন্নতি, সুখ-শান্তি নির্ভর করে গোটা দেশের সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক অগ্রগতির ওপর।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘটতে থাকা প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের কৃষি ব্যবস্থার ওপর নিরন্তর প্রভাব ফেলছে। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কৃষি উৎপাদন শতকরা ১৫ ভাগ বৃদ্ধি পেলেও দরিদ্র সীমা শতকরা ০.০৬ থেকে ১.২ হ্রাস পায় এবং গ্রামীণ অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হয় ইতিবাচক। গত ৩৮ বছর কৃষি উৎপাদন দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। একই সঙ্গে মাথাপিছু জমি ০.১২ থেকে ০.০৬ হেক্টর নেমে এসেছে। অথচ এ সময়ে জনপ্রতি চালের প্রাপ্যতা ১৪৬ কেজি থেকে ১৯৬ কেজিতে উন্নীত হয়েছে। রাসায়নিক সারের ব্যবহার ২.৫ লাখ টন থেকে বেড়ে প্রায় ৪০ লাখ টন হয়েছে। সেচের আওতায় জমির পরিমাণ ১৫ থেকে বর্তমানে প্রায় ৬০ ভাগ বেড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলবর্তী অঞ্চলের কৃষি উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে চাষযোগ্য কৃষি জমি সঙ্কুচিত হওয়ার পাশাপাশি অনুকূল পরিবেশের অভাবে এ অঞ্চলে কৃষি উৎপাদনে ধস নেমেছে। এতে কৃষি শ্রমিকরা যেমন বেকার হচ্ছে, তেমনি প্রান্তিক চাষিরা জমি হারিয়ে ভূমিহীনে পরিণত হচ্ছে। অব্যাহত নদীভাঙা এবং কৃষি জমিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি, অনাবৃষ্টি ও সেচব্যবস্থার অপ্রতুলতাসহ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত নানা কারণে গত দুই দশকে সুন্দরবন উপকূলবর্তী উপজেলা শ্যামনগরে প্রায় ১২ হাজার হেক্টর কৃষি জমি কমে গেছে। ফলে কৃষি উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ এবং স্থানীয় কৃষকরা কৃষি ক্ষেত্রে এমন বিরূপ অবস্থার নেপথ্য কারণ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেন। তারা চূড়ান্ত ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে কার্যকর সমবেত উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গত কয়েক দশকে কৃষি উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমে গেছে। বঙ্গোপসাগরে সমতল ভূমিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চাষযোগ্য কৃষি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। শ্যামনগর উপজেলার আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ৩৮,৫৭০ হেক্টর। ১৯৯০-১৯৯১ সালে শ্যামনগর উপজেলায় ৩০,৭৭৭ হেক্টর চাষযোগ্য জমি থাকলেও এক দশকের ব্যবধানে তা ২২,৭৫০ হেক্টরে নেমে এসেছে। বর্তমানে কৃষি জমির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮,১৫০ হেক্টর। খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের পক্ষে এখনো বহুমুখী প্রতিবন্ধকতা রয়ে গেছে। পরিবর্তিত জলবায়ু নেতিবাচক প্রভাবে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় তীব্র খরা, হঠাৎ কোল্ড ওয়েভ জমির উর্বরতা শক্তি আশঙ্কাজনকভাবে কমিয়ে দিচ্ছে। দিনের পর দিন চাষযোগ্য জমি কমতে থাকা। কৃষি উপকরণের চড়া মূল্য ও মানসম্মত বীজের অভাবে খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের পথে বড় বাধা হিসেবে দেখা দিয়েছে। প্রায় অর্থবছরে ৩০ লাখ টন খাদ্যশস্য বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়ে থাকে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পরিবেশের বৈরী আচরণে কৃষি ও পরিবেশ খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যা এ অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকাকে কার্যত প্রভাবিত করছে। বাড়াচ্ছে ভূমিহীন চাষি, প্রান্তিক চাষির সংখ্যা। ফলে কৃষক পরিবারের অনেকেই কৃষিকাজে আগ্রহ হারিয়ে পেশা পরিবর্তনে বাধ্য হচ্ছেন। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বৈরী জলবায়ুর সবচেয়ে বড় শিকার কৃষি ও কৃষক সমাজ। এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতি ৭ জন মানুষের একজন বাস্তুহারা হবেন। সমুদ্রতলের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামীর যে কোনো দুর্যোগের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে। খাল-বিল, জলাভূমি এবং বাস্তুতন্ত্রকে সুরক্ষা দিতে হবে। বনভূমি, জীববৈচিত্র্য এবং বন্যপ্রাণী ধ্বংস হতে দেওয়া যাবে না। এ বিষয়ে সরকারকে আরও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।
ষ লেখক : কলামিস্ট ও সদস্য, বাংলা একাডেমি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন