শ্রীপুর (গাজীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা
গাজীপুরের শ্রীপুরে গত পাঁচ দিন যাবত অতি বৃষ্টির কারণে আমন ধানসহ সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষক। অনেক ফসলী ধানের জমি ইতিমধ্যেই বৃষ্টি ও বাতাসে মাটিতে পড়ে গেছে। গত ৫ দিনের থেমে থেমে বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের কারণে কৃষকরা এ ক্ষতির সম্মুখীন হয়। আমন ধানের পাশাপাশি শ্রীপুরের অনেক কৃষক শাক-সবজির চাষ করেন। এ শাক সবজি শ্রীপুরের চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। অতি বৃষ্টিতে শাক সবজির গোড়ায় পানি জমে মরে যাচ্ছে। এতে সাধারণ কৃষকরা লাভের চিন্তা না করে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। অনেকেই সবজি চাষ করতে বিভিন্ন এনজিও ও ব্যাংকের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করেছেন। এখন তাদের মাথায় হাত। শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরামা গ্রামের শারফুল প্রায় ৫ বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন জাতের শাক সবজির চাষ করেছেন। তিনি জানান, গত পাঁচ দিনের বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কারণে ৫ বিঘা জমির শাক সবজির প্রায় সব গাছ মরে গেছে। তিনি জানান, এতে প্রায় কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। একই ইউনিয়নের গাড়ারন গ্রামের ফজলুল হক জানান, তার প্রায় ৪ বিঘা ধানের জমি খুব ভাল ভাবেই হয়েছিল। ৪ বিঘা জমিতে প্রায় ১২০ মণ ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু অতি বৃষ্টি ও ঝড়ের ফলে ধানের চারা গাছ পড়ে যাওয়ায় প্রায় অর্ধেকের চেয়ে কম উৎপাদন হবে বলে আশঙ্কা করছেন। উপজেলার গোসিংগা গ্রামের শারফুল ইসলাম তার পৈত্রিক জমিতে মৌসুমী শাক-সবজিসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফসল চাষ করেছেন। তার জমিতেও অতিরিক্ত বৃষ্টির পানি জমে যাওয়ার ফলে ফসল নষ্ট হয়েছে। উপজেলার গাজীপুর, মাওনা, তেলিহাটি, রাজাবাড়ী, কাওরাইদসহ সর্বত্রই এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। এখানে উল্লেখ্য, শ্রীপুরে বৃটিশ আমলে স্থাপিত বৃষ্টি মাপক যন্ত্রটি স্থানীয় স্বার্থান্বেষী মহল উপড়ে ফেলে দেয়ায় বৃষ্টির মাত্রা জানা যাচ্ছে না। শুধু তাই নয় স্থানীয়ভাবে আবহাওয়ার বার্তা জানার জন্য কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকায় কৃষকরা প্রতিবছরই এমন ক্ষতির সম্মুখীন হয়। কৃষকদের অভিযোগ, সময়মত ও সঠিক সময়ে স্থানীয় কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ ও সহযোগিতা না করায়ও ক্ষতির একটা কারণ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন