কালাই (জয়পুরহাট) উপজেলা সংবাদদাতা
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পুনট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের (হাসপাতাল) অদূরে হাঁস-মুরগির বর্জ্য স্তুপাকারে রাখা হয়েছে। সেখানে প্রতিনিয়ত মশা-মাছি ভনভন করে। এসব মশা-মাছির মাধ্যমে এলাকায় ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, টাইফয়েড, ডায়েরিয়া ও চর্মরোগ ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে এলাকাবাসীর জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে। বর্জ্যরে উৎকট গন্ধে ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগী, পথচারী ও স্থানীয় লোকজনের শ্বাস-প্রশ্বাসে দম বন্ধের উপক্রম হয়। হতদরিদ্র গ্রামীণ জনগোষ্ঠির স্বাস্থ্য সেবার উদ্দেশ্যে স্থাপিত ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দেখেও স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ নীরব ভূমিকা পালন করায় ভুক্তভোগী এলাকাবাসী চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত এর প্রতিকার দাবি করেছেন। সরেজমিন দেখা গেছে, জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়কের উপজেলার পুনট বাস স্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত ওই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সামনে দুর্গন্ধযুক্ত হাঁস-মুরগির বর্জ্য (লিটার) ভর্তি বস্তা স্তুপ করে রাখা হয়েছে। ওই বর্জ্যরে পচা গন্ধ এলাকাবাসীর জনস্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। ফলে এলাকাবাসী শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় প্রশাসনসহ স্বাস্থ্য বিভাগের আশু কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। পুনট পাঁচপাইকা গ্রামের আরিফুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পুনট স্বাস্থ্য কেন্দ্র এলাকাজুড়ে রাস্তার দু’পাশে রাখা হাঁস-মুরগির বিষ্ঠার পচা গন্ধে নাকে হাত দিয়ে চলাচল করতে হয়। ফলে বমিবমি ভাবসহ অনেক সময় দম বন্ধের উপক্রম হয়। আমরা এর প্রতিকার চাই। পুনট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ইনচার্জ ডা. মোস্তাফিজুর রহমান মুন্টু স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অদূরে হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা রাখার কথা স্বীকার করলেও এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সোহেল রানা বলেন, হাঁস-মুরগির বিষ্ঠাসহ যে কোন বর্জ্যরে স্তুপে মশা-মাছি বসে। সেই মশা-মাছির মাধ্যমে মানুষের শরীরে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, টাইফয়েড, চর্ম ও ডায়েরিয়াসহ নানা রোগ ছড়ায়। এ ব্যাপারে কালাই উপজেলা পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা লায়লা আর্জুমান্দ বানু বলেন, পুনট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সীমানার মধ্যে কোন প্রকার বর্জ্য নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন