মোহাম্মদ আবদুল গফুর
৫ জানুয়ারির বিতর্কিত ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের নতুন করে ক্ষমতা কব্জা করার পর প্রথমে পৌর নির্বাচন এবং সর্বশেষে এখন চলছে ইউপি নির্বাচন। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, সরকার নির্বাচনী লক্ষ্য নিয়ে তার পরিকল্পনার সামান্যতম রদবদল করেনি। ফলে এক নজিরবিহীন নির্বাচনী প্রহসনের মাধ্যমে শাসক দল আওয়ামী লীগ অকল্পনীয় বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে দেশের সর্বস্তরে দলীয় শাসন ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। এ নিয়ে দেশ-বিদেশে যতই সমালোচনা চলুক, কিছুই সরকারি দলকে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন থেকে নিবৃত্ত করতে পারেনি।
পাঠকদের স্মরণ থাকার কথা যে, জাতীয় সংসদের নির্বাচনে স্মরণকালের ইতিহাসের রেকর্ড ভঙ্গ করে মোট ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩ আসনেই শাসক দলের প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে যে অস্বাভাবিক জয়যাত্রা শুরু হয়, তা এখন সামান্য পরিবর্তিত আকারে অব্যাহত রয়েছে। এই সামান্য পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার জায়গায় একটা নির্বাচনী প্রহসনের মাধ্যমে সরকারদলীয় প্রার্থীদের সিংহভাগের বিজয় নিশ্চিত করা। দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন বয়কট করলেও পরবর্তীকালে পৌর নির্বাচনে অংশ নেয় এবং সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেছে সম্ভবত এই ভেবে যে, এর অন্যথা করে তাদের এ মুহূর্তে কোনো লাভ হবে না। কিন্তু নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় শাসক দলের অন্যায় হস্তক্ষেপ, ভোট কেন্দ্র দখল, মাত্রাছাড়া জোরজবরদস্তিতে অতিষ্ঠ হয়ে মাঝে মাঝে যে তারা নির্বাচন বর্জনের কথা চিন্তা করেননি তা নয়। এমন সম্ভাবনার কথা পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও বাস্তবে এমনটা এখনো ঘটেনি। এই না ঘটার মূলেও ছিল সরকারি দলের নেতানেত্রীদের বিরোধী দল নিয়ে নানা ধরনের টিকা-টিপ্পনী।
এখানে ওইসব টিপ্পনীর মাত্র একটা নমুনা উদ্ধৃত করা হলো : গত রোববার (৩ এপ্রিল) দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত আওয়ামী লীগের যুগ্ম-মহাসচিব মাহবুুল-উল আলম হানিফের একটি মন্তব্য নিয়ে একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল : ‘চরম ভরাডুবি লজ্জায় বিএনপি ইউপি নির্বাচন থেকে সরে যেতে চাচ্ছে।’ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জনাব হানিফ বলেছেন, নির্বাচনে বিএনপি জনগণের কাছে যেতে ব্যর্থ হয়েছে। সে কারণে তাদের চরম ভরাডুবি হয়েছে। তাই লজ্জার হাত থেকে বাঁচতে তারা এখন নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার চিন্তা করছে। এখানে প্রশ্ন ওঠে, জনগণের কাছে যদি শাসক দল এতই জনপ্রিয় ও বিএনপি এত অপ্রিয় থাকবে তাহলে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের এত ভয় ও আপত্তি ছিল কেন? পত্রিকা পাঠকদের এত শীঘ্র ভুলে যাওয়ার কথা নয় যে, একদা যখন একটি অবাধ নির্বাচনে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন তখন প্রধানত তদানীন্তন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার দাবির মুখেই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান সংবিধানে বিধিবদ্ধ হয়।
বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য স্বাধীন বাংলাদেশ আমলে প্রথম সরকারের সময়ই গণতন্ত্রের টুঁটি চেপে ধরে দেশের সব রাজনৈতিক দল নির্ষিদ্ধ ঘোষণা করে একটিমাত্র সরকারি দল রেখে দেশে বাকশালী শাসন কায়েম করা হয়। সে সময় যে দলটি শাসন ক্ষমতায় ছিল, বর্তমানেও সেই দলটিই দেশের শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত রয়েছে। মনে হয়, বহুদলীয় গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে তারা যমের মতো ভয় করে। কারণ বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ভিন্নমত প্রকাশ-প্রচারের নিশ্চয়তা বিধান একেবারেই অপরিহার্য। অথচ এই ভিন্নমত প্রকাশের অধিকার তথা গণতন্ত্রের প্রতি বর্তমান সরকারের সামান্যতম আস্থা বা শ্রদ্ধাবোধ নেই। থাকলে ৫ জানুয়ারির মতো একটি ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে যেমন সরকারের নেতানেত্রীদের লজ্জা লাগত, তেমনি বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা-মামলার মাধ্যমে তাদের নিষ্ক্রিয় করে একটার পর একটা বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচনে জয়েও তাদের লজ্জা বোধ হতো।
বর্তমান সরকারি দলের জন্ম ব্রিটিশ শাসন থেকে দেশ মুক্ত হওয়ার পর। তদানীন্তন পাকিস্তান আমলে দেশের প্রথম বিরোধী দল হওয়ায় ওই দলের নেতানেত্রীদের জানার কথা, সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের জন্য প্রতিযোগী সব দলের একই রূপ ক্ষমতা ও অধিকার থাকা একেবারেই অপরিহার্য। বাংলাদেশের বিশেষ পরিস্থিতিতে একমাত্র নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমেই তা নিশ্চিত হতে পারে। অতীতে একটি অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলের অবসানে প্রধানত তদানীন্তন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার দাবির মুখেই এই ব্যবস্থা সংবিধানে বিধিবদ্ধ হয়। যা সেদিন শেখ হাসিনার দৃষ্টিতে এত ভালো ছিল, তা হাসিনা সরকারের কাছে পরে এত ভয়ের কারণ হয়ে যাওয়ার তো কথা নয়, যদি তিনি সত্যিই গণতন্ত্রে বিশ্বাসী হয়ে থাকেন। তা হলে তো বলতেই হয়, গণতন্ত্র তথা অবাধ নির্বাচনকে তার দলের এত ভয় যে, তারা এখন আর অবাধ নির্বাচনের নিশ্চয়তাদানকারী নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনে যেতেই সাহস পান না।
এটা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী হওয়ার লক্ষণ নয়। বর্তমান সরকারি দল যে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, তা শুধু তাদের অতীত বাকশালী ব্যবস্থা থেকেই প্রমাণ হয় না, তার আরও প্রমাণ রয়েছে। বাংলাদেশ আমলে একপর্যায়ে একটি নির্বাচিত সরকারকে সামরিক ক্যুর মারফত উৎখাত করে তদানীন্তন সেনা প্রধান জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশে সেনা শাসন প্রতিষ্ঠা করলে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা তার প্রতি সমর্থন দান করেন সম্ভবত এই বিবেচনায় যে, উৎখাত হওয়া ওই নির্বাচিত সরকারের নেতৃত্বে ছিল আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি। এর অর্থ এই দাঁড়ায় যে, নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের চেয়ে সামরিক শাসন তাঁর কাছে অধিকতর কাম্য মনে হয়েছিল। এটাও তার গণতন্ত্রে বিশ্বাসের প্রমাণ বহন করে না।
দেশে ৫ জানুয়ারি বিতর্কিত সংসদ নির্বাচন এবং পরবর্তীকালীন পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যেভাবে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে সে সম্পর্কে সরকার সমর্থক কোনো কোনো নেতা বলেছেন, দেশকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়ার মূল দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। এ ব্যাপারে যদি গাফিলতি হয়ে থাকে তার জন্য দায়ী সরকার নয়, নির্বাচন কমিশন। সে নিরিখে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে যদি বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠানের অভিযোগ ওঠে, কমিশনের পক্ষে তার দায়দায়িত্ব অস্বীকার করা কিছুতেই সম্ভব নয়। কিন্তু নির্বাচন কমিশন ক্রমাগত বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠান করেও যেভাবে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছে তাতে মনে হয় বর্তমান মেরুদ-হীন নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে অবাধ নির্বাচন আশা করা কিছুতেই সম্ভব নয়। দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্বে বিশ্বাসী সবাই মনে করেন, অবিলম্বে নির্বাচন কমিশন খোল-নলচে সম্পূর্ণ বদলে ফেলে নতুন নির্বাচন গঠিত না হলে দেশে অদূর ভবিষ্যতে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু ও অবাধ হওয়ার আশা নেই।
কিন্তু কে সেই কাক্সিক্ষত নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেবে? ঘুরেফিরে আবার সেই সরকারের কথাই আসবে। সরকার যদি দেশে গণতন্ত্রের অবাধ বিকাশে আন্তরিক না হয় তা হলে নিয়মতান্ত্রিক পথে গণতন্ত্রে উত্তরণের স্বপ্ন দেখাও যেমন হবে অবাস্তব, তেমনি দেশে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে শান্তির আশা করাটাও হবে অসম্ভব ব্যাপার। অবশ্য দেশে যদি বিরোধী দল শক্তিশালী আন্দোলন সৃষ্টি করতে পারত তা হলেও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী হওয়া সম্ভবপর হতো। কিন্তু প্রধান বিরোধী দল এ লক্ষ্যে যথেষ্ট প্রস্তুত নয় বলেই মনে হয়। বাস্তব অবস্থা হচ্ছে, সরকার যেমন দেশে মামলা-হামলার মাধ্যমে আসল বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের নিষ্ক্রিয় করে রেখে নকল বিরোধী দল দিয়ে সংসদ চালাতে স্বপ্ন দেখছে। এই পরিস্থিতিতে বিএনপিকে নিষ্ক্রিয় করে রাখার সরকারি ষড়যন্ত্রও একদিন তাদের জন্য বুমেরাং হয়ে দাঁড়াতে পারে।
সার্বিক বিবেচনায় দেশে এখন এক ক্রান্তিকাল চলছে যেহেতু দেশ কোনো দল বা গোষ্ঠীর একার নয়, তাই দেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল ও স্থিতিশীল দেখতে হলে সকলকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে আন্তরিক হতে হবে। দেশের উজ্জ্বল ও স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে ক্ষুদ্র দলীয় ও ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে অগ্রসর হতে হবে। এ ব্যাপারে দায়িত্ব যেমন শাসক দলের তেমনি বিরোধী দলের। তেমনি সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের নিজনিজ করণীয় যে কতটা নিঃস্বার্থভাবে সাহসের সাথে পালন করেন সেটাই এখন আমাদের দেখার বিষয়।
সেই নিরিখেই আমরা মনে করি সরকারি দলকে বাকশালী মনমানসিকতা সম্পূর্ণভাবে পরিহার করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাকে তাদের পবিত্র দায়িত্ব বলে বিবেচনা করতে হবে। সরকারি দল যেভাবে ভোটারবিহীন বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে, তাদের অতীত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষে সংগ্রামী ইতিহাসের সঙ্গে সঙ্গতিশীল নয়। আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রথম বিরোধী রাজনৈতিক দল হিসেবে। বিরোধী দল হিসেবে তাদের নেতাকর্মীদের তদানীন্তন শাসক দল মুসলিম লীগ সরকারের হাতে প্রচুর নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করতে হয়েছে। একটি বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা-মামলা চালিয়ে নিষ্ক্রিয় করে রেখে ক্ষমতায় টিকে থাকার মনোভাব মোটেই তাদের গৌরব বৃদ্ধি করছে না।
আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতা বলেছেন, বিএনপি জনগণের কাছে যেতে পারেনি বলে ভরাডুবির লজ্জায় নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার কথা চিন্তা করছে। প্রশ্ন ওঠে, বিএনপি যদি এতই অপ্রিয় আর আওয়ামী লীগ যদি এতই জনপ্রিয় হয়ে থাকে, আওয়ামী লীগ নিজ দলীয় সরকারের অধীনে ছাড়া নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে এত ভয় পায় কেন? দেশে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি তো অতীতে আওয়ামী লীগই তুলেছিল। এখন নিজেদের তোলা সেই দাবির ভিত্তিতে নির্বাচনে যেতে তাদের এত ভয় কেন? দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপিরও দায়িত্ব রয়েছে। বিএনপির রাজনৈতিক ময়দানে একটি সংগ্রামী দল হিসেবে যথেষ্ট সাহসিকতার পরিচয় দিতে পারছে না। বেগম জিয়ার এরশাদবিরোধী আন্দোলনের যে গৌরবজনক ভূমিকা ছিল, তার কারণে রাজনীতিতে নবাগতা হয়েও এরশাদ-পরবর্তী নির্বাচনে অভিজ্ঞ রাজনৈতিক নেত্রী শেখ হাসিনাকে হারিয়ে তিনি নির্বাচনে জয়ী হন। সেই ঐতিহ্য স্মরণ করে বিএনপিতে নতুন নেতৃত্ব গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি। নইলে হাসিনা সরকারের আরও স্বৈরচারী হয়ে ওঠার আশঙ্কা থাকবে।
দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের সদস্যদেরও বিরাট দায়িত্ব রয়েছে। তাদের অবশ্যই সরকারের পদলেহন ও মেরুদ-হীনতার অপবাদ থেকে মুক্ত হয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বার্থে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রশ্নে সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে। বাংলাদেশের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে অতীতে বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ, জনাব এম এ সাইদ প্রমুখ যে ঐতিহ্য সৃষ্টি করেন তা যে কোনো নির্বাচন কমিশনের জন্য আদর্শ বিবেচিত হওয়ার দাবিদার। মোট কথা ক্ষুদ্র গোষ্ঠী বা ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে যারাই নির্বাচন অনুষ্ঠানের বৃহত্তর স্বার্থে নিবেদিত সাহসী ভূমিকা পালন করতে পারবেন, একমাত্র তাদের পক্ষেই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক অবদান রাখা সম্ভব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন