কাপ্তাই (রাঙামাটি) থেকে কবির হোসেন : দেশের পরিকল্পিত বৃহৎ হ্রদ রাঙামাটির কাপ্তাই লেক। হ্রদটি দীর্ঘদিন খনন না করায় ভ‚-গর্ভস্থ পানিরস্থর নিচে নেমে গেছে। ফলে মৎস্য প্রজনন, পর্যটন, জল বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। বর্তমানে হ্রদটি শুকিয়ে জেগে উঠা চরে শিশু কিশোরা ফুটবল, ক্রিকেটসহ বিভিন্ন খেলায় মেতে উঠে। অভিজ্ঞমহল মত প্রকাশ করেন, এ হ্রদে সৃষ্টি করা হয়েছে মৎস্য প্রজনন, পর্যটন ভ্রমণ, ব্যবসায়ী ও জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে। ১৯৬৬ সনের হ্রদ সৃষ্টি হওয়ার পর হতে কোনো ধরনের খনন না করায় ফলে পাহাড়ের ময়লা আর্বজনা, পাহাড় ধসসহ বিভিন্ন আবর্জনা লেকে পড়ে ভু-গভস্থ ভরাট হয়ে গেছে। যার ফলে পানি ধারন ক্ষমতা একেবারে হ্রাস পেয়েছে। প্রতি বছর মার্চ হতে পানি স্তর কমতে থাকে। এর ফলে জেলার দশটি উপজেলার সাথে নৌযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এবং মৎস্য, পর্যটন ও জল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ধস নামতে থাকে। পাশাপাশি এ হ্রদের ওপর নির্ভর বিভিন্ন কাজে জড়িত হাজার হাজার মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে।
এলাকার বাঁশ ব্যবসায়ী আবুল কাশেম বলেন, যুগ যুগ ধরে সংস্কার বা খনন না করায় আমাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে নদী পথে আমরা পানিতে ভেসে বাঁশ পরিবহন করতে পারি না। এতে আমাদের বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। মাছ ব্যবসায়ীরা বলেন, পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে মাছের সঙ্কট দেখা দেয়। অন্য দিকে দেশের একমাত্র জল বিদ্যুৎকেন্দ্র পানির অভাবে উৎপাদনে প্রতি বছর ধস নামে। সর্বস্তরের লোকের দাবি সরকার এ হ্রদটি বিভিন্নভাবে খনন করে পানি ধারন করে রাখতে পাড়লে প্রতি বছর বিভিন্নক্ষাত হতে কোটি কোটি টাকা অর্জন করাসহ পর্যটনক্ষাতে সফলতা অর্জন করা সন্বাভ বলে মত প্রকাশ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন