রোজা আসতে প্রায় দুই সপ্তাহ বাকি থাকলেও এরই মধ্যে অনেক নিত্য পন্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। ইতমধ্যে রাজধানীর বাজারগুলোতে বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। বেগুনের দাম কেজি একশ টাকা ছুঁই ছুঁই করছে। শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪২ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা দরে। বাজারের একজন ব্যবসায়ি জানান ‘এই সপ্তাহের শুরুতে দেশি পেঁয়াজের দাম ৩৫-৪০ টাকা ছিল। তিন-চার দিন হলো বেড়েছে।’ আসন্ন রোজার কারণেই দাম বাড়তে শুরু করেছে বলে মনে করছেন কোনো কোনো ব্যবসায়ী।
কারওয়ান বাজারে সদাই কিনতে আসা একজন ক্রেতা জানান ‘রোজা আসতে না আসতেই জিনিসের দাম পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করে। এর কোনো প্রতিকার হয় না, এবারও তাই হচ্ছে। তাই পারলে আজই প্রয়োজনীয় সব কিনে নেব। দু-দিন পরে এলে সবকিছু বাড়তি দামে কিনতে হবে।’
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটেও প্রায় একই অবস্থা। দেশি পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ৪২-৪৫ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে। আমজাদ হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, তিন-চার দিন আগে দেশি পেঁয়াজ ছিল ৩৮ টাকা। আর ভারতীয়টার দাম ৩০ টাকা। এ বাজারের ব্যবসায়ীরা পাল্লা (৫ কেজি) বিক্রি করেন ১৬০ থেকে ২০০ টাকায়।
তবে আদা-রসুনের দাম সব বাজারে প্রায় একই। এ দুটি পণ্য বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০ টাকা থেকে শুরু করে ১২০ টাকা পর্যন্ত। ছোলা, ডাল ও চিনির দাম বাজার ভেদে একেক রকম। মোহাম্মদপুরের বাজারগুলোয় ছোলা প্রতি কেজি ৮০-৮৫ টাকা, মসুর ডাল ৬০-৭০ টাকা এবং চিনি ৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে জিগাতলা বাজারসহ ধানমন্ডির বিভিন্ন দোকানে ছোলার দাম উঠেছে ১১০ টাকা পর্যন্ত। মসুর ডালের দাম প্রতি কেজি ৬৫-৮০ টাকা। চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা থেকে ৬০ টাকায়। কাওরান বাজারে এক কেজি ছোলা ৭০-৯০, মসুর ডাল ৬০-৭০, চিনি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত বুধবার বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছিলেন, ভোগ্যপণ্য পর্যাপ্ত মজুত আছে। দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। শুক্রবার রাজধানীর চারটি বাজার ঘুরে ঘুরে দেখা যায়, পেঁয়াজের দাম কিছুটা বাড়তি। এছাড়াও বেড়েছে বেগুনসহ অন্যান্য সবজির দাম। তবে আদা, রসুন, ডাল, ছোলা, চিনির দাম আগের মতোই আছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন