দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে মোঃ গোলাম ফারুক : দুপচাঁচিয়া উপজেলার বিভিন্ন হোটেল রেষ্টুরেন্টগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নি¤œ মানের খাবার রিবেশন করা হচ্ছে। বৈশাখের এই প্রচন্ড দাবদাহে সাধারন মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে এ সব খাবার খেয়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্তও হচ্ছে।
উপজেলার ২ টি পৌরসভা সহ ৬ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রয়োজনের তাগিতেই বিভিন্ন হাট-বাজার সহ জনবহুল স্থানে হোটেল রেস্তোরা গড়ে উঠেছে। এদের মধ্যে জিয়ানগর বাজার, চামরুলের বেড়াগ্রাম বাসষ্ট্যান্ড, তালুচ হাট, মোস্তফাপুর বাসষ্ট্যান্ড, চৌমুহনী বাসষ্ট্যান্ড, সাহারপুকুর বাসষ্ট্যান্ড, আলতাফনগর, তালোড়ার রেলঘুমটি, তালোড়া বাজার, উপজেলা সদর সহ ধাপসুলতানগঞ্জ হাট সংলগ্ন এলাকায় এই সব হোটেল রেষ্টুরেন্ট স্থাপিত হয়েছে। বিভিন্ন নামে স্থাপিত এই সব হোটেলগুলোর সাইনবোর্ডে মনোরম পরিবেশে সুস্বাদু খাবার পরিবেশনের কথা লেখা থাকলেও ভিতরে প্রবেশ করে দেখা যায় উল্টো চিত্র। নোংরা স্যাঁতসেতে মেজে, অপরিছন্ন পরিবেশে খাবার তৈরি হচ্ছে। রান্না কাজে ব্যবহৃত তেল সহ বিভিন্ন মসলাদি নি¤œ মানের। রান্নার কাজে নিয়োজিত অনেকেরই নেই কোন নিরাপত্তার ব্যবস্থা। গাঁয়ে নেই কোন ভালো কাপড়। খালি গাঁয়ে রান্না করায় গরমে গা থেকে ঘাম ঝড়ছে। সেই ঘামের সাথেই খাবার সামগ্রী মেশিয়ে তৈরি হচ্ছে খাবার। আবার এই সব খাবার সামগ্রীগুলো ঢেকে রাখার নেই তেমন কোন ব্যবস্থা। উন্মুক্ত এই সব খাবারগুলোর উপর মাছি ভনভনানি সহ পিঁপড়া, পোকা-মাকড় এমনকি তেলাপোকার বিচরণ করতে দেখা গেছে। এই সব হোটেল রেষ্টুরেন্টগুলোর প্লেট, গøাস, কাপ, বসার টেবিল চেয়ারগুলোও অপরিছন্ন-অপরিষ্কার। এই সব খাবারগুলোই হোটেরের টেবিলে পরিবেশন করা হচ্ছে। খাবার পরিবেশনকারী বয়গুলোর অনেকেই অপরিছন্ন। একই সাথে ৫ থেকে ৭ টি গøাস পানি ভরে টেবিলে সরবরাহ করতে গিয়ে অনেকেরই হাতে ঘাঁ এর সৃষ্টি হয়েছে। অর্থলিপ্সু হোটেল ও রেষ্টুরেন্ট মালিকরা তাদের কোন চিকিৎসার ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। সরকারি নিয়মানুসারে হোটেল রেস্তোরায় চর্মরোগ সহ সংক্রামক রোগে আক্রান্ত কোন ব্যক্তি খাবার তৈরি, পরিবেশন এমনকি স্পর্শ করতে পারবে না। অনেক ক্ষেত্রেই সরকারি এই আইন মানা হচ্ছে না। অপর দিকে প্রশাসনের নাকের ডগায় এক শ্রেণীর অসাধু হোটেল ব্যবসায়ী অবাধে পঁচা ও বাঁসি খাবার বিক্রি করছে। সরকারি ভাবে উপজেলা পর্যায়ে এ বিষয়ে একজন কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকলেও অজ্ঞাত কারনে তাকে এই সব অসাধু হোটেল রেস্তোরা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায় না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন