অভ্যন্তরীণ ডেস্ক : রাজন বয়স ১২ বছর। পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্র। পিতা মোঃ কাজল মিয়া, গ্রাম জালুয়াপাড়া (কালিয়াচাপড়া) জেলা ও উপজেলা কিশোরগঞ্জ। সে এখন মৃত্যুর মুখোমুখি। তার বাম হাতটি গত ২৫ এপ্রিল কেটে ফেলা হয়েছে। তার দু’টি কিডনিও ঝুকিপূর্ন অবস্থায়। গত কয়েকদিন আগে প্রতিবেশি রায়হান মিয়ার ছেলে রিয়ানের সাথে ক্রিকেট খেলা নিয়ে ঝগড়া হয়। পরে রায়হান মিয়ার মেঝো ছেলে রুমান (১৭) তার পিতার নির্দেশে রাজনকে ধরে নিয়ে গিয়ে মাথার উপর তুলে কয়েকটি আছার মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। এতে রাজনে বামহাতটি ভেঙে ছুড়মাড় হয়ে যায়। প্রথমে স্থানীয়, পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়ে ডাক্তার বলেন এই হাত কেটে ফেলা ছাড়া উপায় নেই। পরে নিয়ে আসা হয় ঢাকা পুঙ্গু হাসপাতালে। সেখানেও একই কথা। তারপর ডাঃ এ এস এম মনিরুল আলমের অধিনে (অর্থোপেডিক অধ্যাপক) ঢাকা কমিউনিটি মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালে (মগবাজার ওয়ারলেস রেলগেইট) ভর্তি করা হয়েছে। মহিলা ওয়ার্ড, ৮ম তলায় ৯১২ নং বেডে রাজন শুয়ে কেঁদে কেঁদে সময় পার করছে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন আছে। ডাক্তারের ভাষ্য মতে রাজন এখনও বিপদ মুক্ত নয়। কিশোর রাজনের ভবিষৎ এখন অন্ধকারে। তার পিতা দিনমুজুর। আতœীয়স্বজনের সহায়তায় তার চিকিৎসা চলছে। এব্যপারে রাজনের বাবা বাদি হয়ে কিশোরগঞ্জ থানায় ৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে। উল্লেখ্য-রাজনের দু’টি কিডনিও নষ্ট হয়ে গেছে। তার দিনমজুর পিতা চিকিৎসা খরচ চালাতে পারছে না। চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। সমাজের দানশীল, দয়াবান, ধনবান ব্যাক্তিদের কাজে ছেলেকে বাঁচাতে বাবা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার সবিনয় অনুরোধ জানিয়েছেন।
মোঃ কাজল মিয়া
বিকাশ ০১৭৫৩৩২৯৫৬৯
মোবালাই ০১৯০৮৮৫৬৩৮২
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন