শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

লাইফস্টাইল

রক্তে শর্করার উচ্চমাত্রার সম্ভাব্য ১৬টি লক্ষণ

| প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

টপবাজ : রক্তপ্রবাহে গøুকোজ তৈরির ফলে রক্তে শর্করা বৃদ্ধি ঘটে। মস্ত্স্কি, মাংসপেশি ও বিভিন্ন অঙ্গের সুষ্ঠু কার্যকারিতার জন্য জ¦ালানি হিসেবে এটা শরীরের দরকার। আমরা যে সব খাদ্য গ্রহণ করি তার অধিকাংশই ভেঙ্গে গøুকোজে পরিণত হয়। তবে এটা শরীরের কোষে প্রবেশ না করা পর্যন্ত জ¦ালানি হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে না। ইনসুলিন এটার শরীরে প্রবেশে সাহায্য করে। ইনসুলিন হচ্ছে অগ্ন্যাশয় (প্যানক্রিয়াস) থেকে নির্গত হরমোন।
গøুকোজ রক্তপ্রবাহের চারপাশে ভাসতে থাকে এবং শরীরে ইনসুলিনের অভাব হলে সময়ের সাথে তা পুঞ্জীভূত হয়। রক্তপ্রবাহে এটা যখন তৈরি হয়, তখন রক্তে গøুকোজ বা শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। উচ্চ রক্ত শর্করার মাত্রার অর্থ অবশ্যই ডায়াবেটিস নয় যদি কোনো ব্যক্তি তার আগাম লক্ষণ চিহ্নিত ও তার প্রকোপ রোধের লক্ষে চিকিৎসা করে।
এখনকার দিনে অসংখ্য মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে, আর তা প্রধানত আমাদের আধুনিক জীবনযাত্রার কারণেÑ যে জীবনে আমরা অব্যাহত চাপের মধ্যে থাকি আর খাচ্ছি মারাত্মক রাসায়নিক পূর্ণ অস্বাস্থ্যকর, প্রক্রিয়াকৃত খাবার।
উচ্চ রক্ত শর্করা বা হাইপার গøাইসেমিয়া প্রধানত দু’ধরনের হতে পারে ঃ ১) না খাওয়া অবস্থায় হাইপারগøাইসেমিয়াÑ কমপক্ষে ৮ ঘন্টা খাওয়া বা পান থেকে বিরত থাকার পর যখন রক্তে শর্করা ১৩০ মিগ্রা/ডিএল (মিলিগ্রিাম পার ডেসিলিটার) থাকে। ২) পোস্টপ্রান্ডিয়াল বা আহার পরবর্তী হাইপারগøাইসেমিয়া Ñযখন খাবার গ্রহণের ২ ঘন্টা পর রক্তে শর্করা ১৮০ মিগ্রা/ডিএল থাকে।
চিকিৎসা না করা হলে উচ্চ রক্তচাপ ¯œায়ুর মারাত্মক ক্ষতি, সাথে সাথে রক্ত নালি ও অঙ্গের ক্ষতি করতে পারে এবং নানারকম গুরুতর পরিস্থিতি ও স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে।
বিভিন্ন কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে ঃ অসুস্থতা, সংক্রমণ, চাপ, কেউ যদি ইনসুলিন বা মৌখিক গøকোজ কমানো ওষুধ গ্রহণ বাদ দেয়, কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার, শারীরিক অক্ষমতা, শ্রমসাধ্য শারীরিক কাজ, বিশেষ করে যখন রক্তে শর্করার মাত্রা উচ্চে এবং ইনসুলিন মাত্রা নি¤œ পর্যায়ে থাকে।
রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির আগাম লক্ষণ চিহ্নিত করতে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নিচের ১৬টি লক্ষণ আপনার রক্তে শর্করার উচ্চমাত্রা নির্দেশ করেঃ
পেটের অতিরিক্ত ওজন/চর্বিঃ গ্রহণকৃত খাদ্য শরীরের কোষকে পরিপুষ্ট করতে ভিতরে প্রবেশ করতে পারে না, তাই আপনি সব সময় ক্ষুধার্ত বোধ করেন, আপনার ওজন বাড়তে শুরু করে, বিশেষত উদর এলাকায়।
¯œায়ু সমস্যাঃ উচ্চ রক্তচাপ মাত্রার কারণে শরীরের ¯œায়ুতে পুষ্টি ও অক্সিজেন পরিবহনকারী রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অত্যধিক প্র¯্রাব/ রাতে প্র¯্রাব ঃ উচ্চ রক্তচাপ মূত্রনালির সংক্রমণের কারণ হতে পারে যা প্রস্রাবের মাত্রা ও পরিমাণ বাড়াতে পারে।
ঝাপসা দৃষ্টিঃ উচ্চ রক্তচাপ চোখের লেন্সের স্ফীতি ঘটাতে পারে যা চোখের ঝাপসা দৃষ্টির কারণ হতে পারে।
পেটের সমস্যাঃ রক্তে শর্করার উচ্চ মাত্রার কারণে পেট খালি হওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে যা থেকে ব্যথা, বমিভাব, স্ফীতি সৃষ্টি হতে পারে। রক্ত সঞ্চালনের স্বল্পতা চুলকানি সৃষ্টি করে, বিশেষ করে পায়ের নিচের অংশে।
মনসংযোগে সমস্যাঃ ইনসুলিনের অভাব রক্তপ্রবাহ থেকে কোষে গøুকোজের অপসারণ বাধাগ্রস্ত করে যাতে বহু শারীরিক কার্যক্রম হ্রাস পায়। যার ফলে ক্লান্তি ও মনসংযোগে অক্ষমতা দেখা দেয়।
শুষ্ক মুখঃ গøুকোজ মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে মুখে শুষ্কতা দেখা দিতে পারে।
পুনঃ পুনঃ সংক্রমণঃ কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুনরায় সংক্রমণ রক্তে শর্করার উচ্চ মাত্রার আভাস দেয়।
থায়রয়েড, অ্যাড্রেনাল ও পিটুইটারি গø্যান্ডের অকার্যকারিতাঃ প্যানক্রিয়াস বিষয়সহ এসব বিষয় রক্তে গøকোজের
উচ্চ মাত্রার লক্ষণ নির্দেশ করে।
পিপাসাঃ প্র¯্রাবের মাধ্যমে তরল নির্মূলের লক্ষ্যে অতিরিক্ত চিনি পরিশোধন ও শোষণের লক্ষ্যে কিডনির অত্যধিক কাজ পিপাসার সৃষ্টি করে।
ক্ষত নিরাময়ে ধীর গতিঃ কাটা বা ক্ষত নিরাময়ের ক্ষেত্রে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় লাগলে বুঝতে হবে আপনি উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন।
সর্বক্ষণ ক্ষুধাঃ হরমোন ইনক্রেটিনের মাত্রা হ্রাস, যা খাওয়ার পর লিভার থেকে শর্করার প্রবাহ হ্রাস করে, তা সার্বক্ষণিক ক্ষুধা সৃষ্টি করে। রক্তে শর্করার মাত্রা পুনরায় বৃদ্ধির পন্থা হিসেবে খাওয়ার পর পরই আবার ক্ষুধা পেতে পারে।
সারাক্ষণ ক্লান্ত বা চরম ক্লান্তিঃ আপনার থাইরয়েড মাত্রা যদি কম হয় তাহলে আপনি ক্লান্তি, ঘুম ভাব ও বিপর্যস্ত বোধ করবেন। সংক্রমণের সাথে লড়াই করার জন্য তা শক্তি গ্রহণ করে যার ফলে দেখা দেয় সারাক্ষণ ক্লান্তি ও রক্তে উচ্চ শর্করার মাত্রা।
ত্বকে পরিবর্তনঃ ত্বক বিবর্ণ হওয়া, বৃদ্ধি, হাত ও ঘাড়ের চামড়া কালো হওয়া বা মোটা হয়ে যাওয়া এরই লক্ষণ।
অস্বস্তিবোধ ও অবশতাঃ ¯œায়ুর ক্ষতি বা ¯œায়ু রোগ যা রক্তে শর্করা বৃদ্ধির কারণে ঘটে তা শরীরের কোনো কোনো অংশে অস্বস্তি বা অবশতার সৃষ্টি করতে পারে।
পুরুষত্বহীনতাঃ চিকিৎসা না করা হলে এ সমস্যা রক্তনালি ও স্নায়ুর ক্ষতি করতে পারে যা পুরুষত্বহীনতা ঘটায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন