সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

কুমিল্লায় ট্রেজারিতে স্ট্যাম্প রেখেই দলিল সম্পাদন করেছে জালিয়াতচক্র

| প্রকাশের সময় : ১৩ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

কুমিল্লা থেকে সাদিক মামুন : স্ট্যাম্প সরকারি ট্রেজারিতে জমা। আর ট্রেজারিতে জমা থাকা অবস্থায় ওই স্ট্যাম্প ব্যবহার দেখিয়ে দলিল সম্পাদনের কাজ সেরেছে জালিয়াতচক্র। আবার দলিল রেজিস্ট্রির দুই সপ্তাহ আগে জমা-খারিজের আবেদনও করা হয়। পাঁচ শতক সম্পত্তি নিয়ে দলিল সম্পাদন ও পরবর্তী অসামাঞ্জস্য ঘটনাগুলো ঘটেছে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা ভূমি অফিসে। এসব বিষয়ে জেলা প্রশাসন অবগত হওয়ার পরও পদক্ষেপ নিতে পারছেন না।
কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বড়ধুশিয়া মৌজায় সাবেক ১৪৩৯, হালে ৩৯৩০ দাগের ৩৮ শতক অন্দরে ৫ শতক ভূমির ৯৯৮/১১ নং দলিলটি জালিয়াতির মাধ্যমে সম্পাদন করা হয়। এটি সম্পাদনে একটি জালিয়াতচক্র কাজ করেছে। দলিল লেখক শহিদুল ইসলাম সরকার ও স্ট্যাম্পভেন্ডার কবির আহমেদের সহযোগিতায় একই মৌজার শাহজালাল মামুন ওই দলিল সম্পাদনে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, দলিলে ব্যবহৃত স্ট্যাম্পের মধ্যে ৪০টাকা মূল্যমানের ছ-৭৬২৬৯৭৮ নম্বর স্ট্যাম্পটি ২০১১ সালের ২৭ জানুয়ারি এবং ৫০টাকা মূল্যমানের ষ-৭০১৩৭৮৪ নম্বর স্ট্যাম্পটি ২০১১ সালের ৯ ফেব্রæয়ারি ট্রেজারি থেকে উত্তোলন করেন ভেন্ডার। আর স্ট্যাম্প দুইটি উত্তোলনের আগেই ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি দলিল সম্পাদনের কাজে ব্যবহার করা হয়। এ ব্যাপারে ভেন্ডার ও দলিল লিখক সঠিক জবাব দিতে পারেননি। এদিকে ২০১১ সালের ১৩ মার্চ দলিলটি রেজিস্ট্রি করা হয়। অথচ রেজিস্ট্রির দুই সপ্তাহ আগেই জমা-খারিজের জন্য আবেদন করেন শাহজালাল মামুন।
কুমিল্লা আর্ট স্কুলের শিক্ষক শাহ মো. রেয়াজুল হক (কাজল) গতকাল কুমিল্লা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের জানান, ‘ওই ভূমি আমার পৈতৃক সম্পত্তি। কিন্তু শাহজালাল মামুন যেভাবে দলিলটি সম্পাদন করেছেন তাতে ব্যবহৃত স্ট্যাম্প থেকে শুরু করে প্রতিটি পদক্ষেপে জালিয়াতি রয়েছে। বিতর্কিত দলিলটি রেজিস্ট্রির একদিন পর জমা-খারিজ নিষ্পত্তির আদেশ দিয়ে বিরল ঘটনা সৃষ্টি করেছেন ব্রাহ্মণপাড়ার তৎকালীন ইউএনও এসএম শাহ হাবিবুর রহমান হাকিম। দলিল জালিয়াতির বিষয়টি আমাদের নজরে দেরিতে এলেও এ ব্যাপারে সাবেক জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর আলমের কাছে গেলে তিনি মামলা করার পরামর্শ দেন। বর্তমানে জেলা প্রশাসনের এডিসি রেভিনিউ আসাদুজ্জামানের কাছে ওই ভূমির জমা-খারিজ চেয়ে আবেদন করেছি। আজ প্রায় ১১ মাস ধরে তিনি বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছেন। এডিসি রেভিনিউর কাছে গেলে আমাকে বলেন উপরের চাপ আছে, এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়া যাবে না।’

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন