মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

রাঙ্গুনিয়ায় প্রকাশ্যে বিক্রি হয় মাদকদ্রব্য, ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ

| প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম


রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার উত্তরে রাজানগর, ইসলামপুর, পারুয়া ও দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নে প্রতিদিন চলছে মাদক ব্যবসা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিস্থানে উঠতি বয়সের যুবকদের হাতে মাদক আনাগোনা করতে দেখা যায়।
জানা গেছে, কক্সবাজার টেকনাফ ও বান্দরবন সীমান্ত দিয়ে সিমান্ত এলাকার প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মাদক ব্যবসায়ীরা অন্যান্য উপজেলার মতো রাঙ্গুনিয়া উপজেলায়ও ভারতীয় ফেনসিডিল, বার্মা থেকে ইয়াবা, হেরোইন, মদ ও গাঁজাসহ নেশা জাতীয় দ্রব্যদি প্রবেশ করছে। আর এসব ভয়াল মাদকের ছোবলে বিষাক্ত হয়ে উঠেছে গোটা রাঙ্গুনিয়া উপজেলার যুবসমাজ।
পরিবেশবাদী মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলাকে মাদক নির্মূল করার জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালিত করার জন্য নির্দেশ থাকার পরেও এসব অঞ্চলে মাদকের ব্যবসা অজ্ঞাত কারণে বেড়েই চলেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু দূর্ণীতি পরায়ণ কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক দলের কয়েকজন অসৎ নেতাদের, মাদক চোরাচালান সিন্ডিকেট, ব্যবসায়ীর প্রধান আজিজুল হক জলিক্কার মতো মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে হাত রেখে অবৈধভাবে টাকা উপার্জন করছে। ফলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তৎপরতায় ঝিমিয়ে পড়ছে মাদক নির্মূলের বিশেষ অভিযান।
রাণীর হাটের জিপের ড্রাইবার মো: আব্দুর রহিম জানান, মাঝে মধ্যে দুই একটা অভিযান পরিচালনা হলে মাদক বিক্রেতা বরাবরই থেকে যাচ্ছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। যার প্রভাবে এলাকার যুব সমাজের উপর পড়ছে মাদকের ভয়াল আগ্রাসী থাবা। অনুসন্ধানে জানা যায়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কিছু দূর্ণীতি পরায়ণ কর্মকর্তাদের সাথে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সম্রাটদের সাপ্তাহিক/মাসিক চুক্তি থাকার কারনে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। আর এই সুযোগে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সম্রাটরা নির্ভয়ে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের মাদকের রমরমা ব্যবসা। কত তারার অকালে জীবন প্রদ্বীপ নিভে গেছে মাদকের নীল ছোবলে।
মাদক সম্রাট আজিজুল হক জলিক্কা সাথে মোবাইলে ফোনে মাদক বিষয়ে কথা বললে, তিনি উত্তেজিত ভাষায় বলেন, কত সাংবাদিক আসল গেল কই আমার কি করছে? বুলবুল নামের একজন ব্যাক্তি বলেন, প্রশাসনের জন্য অবৈধ অর্থ উত্তোলনের জন্য থানা অঘোষিত ক্যাশিয়ার নিয়োগ দেওয়া হয় ছোটন নামের জনৈক আনসার সদস্যকে এর আদলে উপজেলার তিনি মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধী স্থান থেকে অবৈধ টাকা কালেকশন করে আসছে । এই ব্যাপারে ছোটন স¦ীকার করে বলেন, আমাকে ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব প্রদান করলেও আসলে বদলীকৃত ক্যাশিয়ার নজরুল এর ইশারায় এসব কাজ এখনো পরিচালিত হয়ে আসছে এবং এই সময় দুইজন ইয়াবা বিক্রেতা সাথে বিক্রেতার টাকা নিয়ে কপোকথন চলছে।
ইসলামপুরের এক নেতা বলেন, ভাই মাদক সম্রাট জলক্কের পুত্র মো: ইকবাল হচ্ছে তার সবকিছু যোগানদাতা ও সকলের মাঝে যোগাযোগ মেন্ট্রিন করে থাকেন। তিনি আরো বলেন, এই ছেলেটা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর, এসব মাদককে ঘিরে কোন ব্যাক্তি, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন প্রশাসনের লোক, রাজনৈতিক নেতা বিভিন্নজন প্রতিবাদী হয়ে রোধ করার চেষ্টা করলে তাদেরকে প্রকাশ্যে দিবালোকে না হয় কেীশলে বাড়ীতে ডেকে নিয়ে একাধিকবার শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে রাঙ্গামাটি জেলার ও এই উপজেলার জাতীয় দৈনিক পত্রিকার একাধিক সংবাদকর্মী মাদকের উপরে অনুসন্ধানী সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে কেীশলে তাদেরকে ধরে নিয়ে গিয়ে শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে। সাথে থাকা মো: বেলাল উদ্দিন নামে এক ব্যাক্তি বলেন, আমরা কোন দেশে বসবাস করছি এরা সমাজে অপরাধ ধরনের কাজ করে প্রতিবাদী বিভিন্ন পেশার লোকজনের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে।
একধিক ব্যাক্তি অভিযোগ করে বলেন, উত্তর রাঙ্গুনিয়া ১নং রাজানগর, ১৩নং ইসলামপুর ১৪নং দক্ষীন রাজানগর ইউনিয়নের জংসন এলাকাগুলো মাদকের জোঁয়ারে ভাসছে। বার্মা ও ভারত সীমান্ত দিয়ে ফেনসিডিল, অবাধে আসছে ইয়াবা, ড্রাগসহ বিষাক্ত ঔষধ। তৎসামন্য অর্থের বিনিময়ে সহযোগীতা করে আসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু কর্মকর্তা। মাদক ব্যবসায়ী চক্রটি সংঘবদ্ধ হয়ে নতুন ভাবে কৌশল পরিবর্তন করে মাদকের বাণিজ্য চালিয়ে আসায় জনগণ আস্থা হারিয়ে ফেলছে প্রশাসন ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপর থেকে।
এ ব্যাপারে রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমতিয়াজ ভূইয়া জানান, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সম্রাট যেই হোক না কেন কাউকে কোন ছাড় নাই। এ ছাড়া এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ভ‚মিদস্যুতা ও মাদক ব্যবসায়ীদের রাঙ্গুনিয়া বুকে কোন ঠায় হবেনা।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন