রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

দুপুর গড়ালেই রোজাদারেরা ছুটেন ইরানি জিলাপির টানে

| প্রকাশের সময় : ২০ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম


কুমিল্লা থেকে সাদিক মামুন : রোজার ইফতারির আয়োজনে যতো আইটেমই থাকুক তার মাঝে জিলাপি থাকা চাই। জিলাপি যেন ইফতারির পূর্ণতা এনে দেয়। আর তাই রোজার প্রথমদিন থেকেই কুমিল্লা নগরীতে শুরু হয় নানা রকমের জিলাপি ভাজার প্রতিযোগিতা। ইরানের জাফরান ও ভেষজ মসলার তৈরি স্বাদ, গন্ধ, আকার-আয়তনে ব্যতিক্রমি কুমিল্লার বাঙলা রেস্তোরার ইরানী জিলাপি টানা দশ বছর রোজাদারদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে।
কুমিল্লা নগরীর জিলাস্কুল রোডে বাঙলা রেস্তোরার ইরানী জিলাপি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কুমিল্লার নগর, গ্রাম-গঞ্জের মানুষের কাছে। রমজান মাস এলেই রোজাদারসহ ঘরের শিশুরাও উন্মুখ হয়ে থাকে ইফতারের মেন্যুতে কখন যোগ হবে বাঙলার ইরানী জিলাপি। দুপুর গড়ালেই ইরানী জিলাপির টানে রোজাদাররা ছুটে আসেন বাঙলা রেস্তোরায়। ক্রেতাদের সামনেই তৈরি হয়ে থাকে ইরানী জিলাপি। লাইনে দাঁড়িয়ে ইরানি জিলাপি কেনার ব্যতিক্রমী দৃশ্য নগরীতে আর কোথাও দেখা মেলেনা।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার সুবল চন্দ্র ঘোষের ছেলে সুমন চন্দ্র ঘোষ (৩৫) দশ বছর ধরে রোজার মাসে বাঙলা রেস্তোরায় ইরানী জিলাপী ভাজার কাজে নিয়োজিত। তিনি বংশ পরম্পরায় জিলাপির কারিগর। ইরানী জিলাপী তৈরির জন্য প্রধান কারিগর সুমনের ৫ জনের টিম রয়েছে। তারা খামির বানানো, জিলাপি ভাজা, শিরায় ভেজানোসহ আনুষঙ্গিক কাজ করে থাকে। ইরানি জিলাপি তৈরিতে অনেকগুলো উপাদান ব্যবহার করা হয়। তারমধ্যে ইরানের জাফরান ও ভেষজ মসলা, মাষকলাইয়ের ময়দা, চিনিগুড়া পোলাই চালের গুড়া, সাদা তিল, ঘি, ডালডা, চিনি, মালটোবা ও মালটার রসসহ আরোও কিছু উপাদান রয়েছে। বাঙলা রেস্তোরা কর্তৃপক্ষ জানান, ইরানী জিলাপী কেবল নামেই নয় এর আকার ও স্বাদের ভিন্নতা মানুষ দশ বছর ধরে উপভোগ করে আসছে। ইরান থেকে আনা উচ্চমূল্যের জাফরান, ভেষজ মসলা এই জিলাপি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এজন্য এটাকে ইরানী জিলাপি বলা হয়ে থাকে। সম্পূর্ণ ক্যামিকেলমুক্ত ইরানী জিলাপী প্রতিকেজি ৪শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। রোজাদারদের কাছে টানা দশ বছর ধরে এই জিলাপির ব্যাপক চাহিদা বিদ্যমান থাকায় রেস্তোরা কর্তৃপক্ষ আল্লাহর শোকরিয়া কামনা করেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন