গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : গোপালগঞ্জে সরকারি বিনা মূল্যের বই বিতরণে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। কাশিয়ানী উপজেলার ১৮নং রাতইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই বিতরণে শিক্ষার্থী প্রতি ৫০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। বই বিতরণে আগে ও পরে ওই স্কুলের ৩৭০ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৫০ টাকা করে আদায় করা হয়। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বছরের বিভন্ন সময়ে স্কুলের উন্নয়ন ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে আত্মসাৎ করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। গত শনিবার দুপুরে ওই স্কুলের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী তাকুয়া, ৩য় শ্রেণীর ছাত্র অভি, শান্তা জানায়, ২০১৬ শিক্ষা বর্ষে নতুন বই বিতরণের আগে ও পরে আমাদের কাছ থেকে বই বাবদ ৫০ টাকা করে আদায় করা হয়। স্কুলের সব শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা আদায় করা হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, ওই প্রধান শিক্ষক ২০০৫ সালে স্কুলে যোগ দেয়ার পর থেকেই প্রতি বছরই বই বিতরণে টাকা আদায় করেন। এছাড়া স্কুলের উন্নয়নের নাম করে ছেলে-মেয়েদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় উন্নয়ন ফি বাবদ ৩০ থেকে ১শ’ টাকা আদায় করে লোপাট করেন। স্কুলের অন্যান্য ফান্ড থেকেও তিনি টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম টাকা আদায়ের কথা স্বীকার করে বলেন, বই দিয়ে টাকা আদায় করা হয়নি। খেলাধুলার জন্য ৩০ টাকা, প্রগ্রেসিভ রিপোর্টর জন্য ১০ টাকা ও স্কাউটের জন্য ১০ টাকাসহ মোট ৫০ টাকা করে শিক্ষার্থী প্রতি বই বিতরণের আগে ও পরে আদায় করা হয়েছে। তিনি উন্নয়ন ফি বাবদ টাকা আদায়ের কথা অস্বীকার করে বলেন, শিক্ষা উপকরণ ক্রয় বা অন্য কোন খাত থেকে আমি টাকা আত্মসাৎ করিনি। তিনি আরো বলেন, উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ রকম অনেক টাকা আদায় করা হয়। কিন্তু আমরা আদায় করলেই দোষ হয়। ওই ক্লাস্টারের দায়িত্ব প্রাপ্ত কাশিয়ানী উপজেলা সহকারী প্রাথমিক গতকাল শিক্ষা অফিসার সাগর কুমার বিশ্বাস রোববার সকালে বলেন, বই দিয়ে টাকা আদায়ের ব্যাপরে কেউ অভিযোগ করেনি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। এমনকি বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ফি নেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে স্কাউট বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১০ টাকা করে আদায় করার বিধান রয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে খেলাধুলা বাবাদ কোন টাকা আদায় করা যাবে না। এমনকি প্রোগ্রেসিভ রিপোর্টের জন্যও টাকা আদায়ের কোন সুযোগ নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন