শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

কোল্ড ইনজুরিতে বিবর্ণ বীজতলা কৃষকের সর্বনাশ

প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মো. গোলাম ফারুক, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে : দুপচাঁচিয়া উপজেলায় চলতি ইরি বোরো মৌসুমের শুরুতেই তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় বীজতলায় কোল্ড ইনজুরির (শীতজনিত রোগ) কারণে বীজতলা নিয়ে কৃষকরা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে। বগুড়া জেলার শস্য ভা-ার হিসেবে পরিচিত দুপচাঁচিয়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে অত্র উপজেলায় ১৩ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো আবাদের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে ৭৪২ হেক্টর জমিতে ইতিমধ্যে বীজ তলা তৈরি করাও হয়েছে। কৃষকরা চলতি এই ইরি বোরো মৌসুমের জন্য ডিসেম্বর মাস থেকেই বীজতলা তৈরির কাজ শুরু করেছে। ইতিমধ্যে অনেক বীজতলার গাছ গজায়ে সবুজ বর্ণ ধারণ করেছে। কিন্তু হঠাৎ করে গত কয়েকদিন যাবত দেশের বিভিন্ন স্থানের মত দুপচাঁচিয়া উপজেলায় তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার প্রভাব পড়ে বীজতলাগুলোর উপর। এই কোল্ড ইনজুরির কারণে বীজ তলার গজানো গাছগুলোর পাতার রঙ বিবর্ণ হয়ে হলুদ রঙ ধারণ করে। এছাড়াও অনেক অঙ্কুরকৃত চারা মরে যাচ্ছে। এতে কৃষকরা দিশাহারা হয়ে পড়েছে। উপজেলার জিয়ানগর ইউনিয়নের খলিশ্বর মাঠ এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এই মাঠের অনেক বীজ তলা এই কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়েছে। এ ব্যাপারে খলিশ্বর গ্রামের আলহাজ্ব আবু বক্কর ছিদ্দিক, রেজাউল ইসলাম রেজু জানান, তাদের করা আগাম বীজ তলা এবার খুব ভাল হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েক দিনের তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় চারাগুলোর ক্ষতি হয়েছে। অনেক চারা গাছ মরে যাচ্ছে। আবার অনেক ক্ষেতে চারাগুলো বিভিন্ন রঙ ধারণ করেছে। এলাকার সরকারিভাবে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কর্মরত থাকলেও থাকে দেখা পাওয়া যায় না। ফলে স্থানীয়ভাবে নিজেরাই বিভিন্ন ওষুধ ছিটিয়ে চারাগুলো রক্ষা করার চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি “দৈনিক ইনকিলাব” কে জানান, শীতজনিত কারণে বোরো ধানের বীজ তলা কিছু ক্ষতি সাধন হচ্ছে। এই মুহূর্তে প্রচ- শীতে বীজ তলার চারা বাড়তি কমে যেতে পারে সেই সাথে ছত্রাক দ্বারা আক্রান্ত হয়ে চারার গোড়া ও পাতা পচা রোগ হয়ে চারা মারাও যেতে পারে। এ বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করার লক্ষ্যে অত্র অফিস থেকে লিফলেড বিতরণ সহ মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের নিয়ে মাঠ দিবস পালনের কর্মসূচি চলছে। এতে রোগ পরিত্রাণের জন্য এবং বীজ তলা রক্ষার্থে কৃষকদের সার্বক্ষণিক বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। একই সাথে তিনি জানান, শৈত্য প্রবাহ ও ঠা-া কমে গেলে বীজ তলার এই কোল্ড ইনজুরি বহুকাংশে কমে যাবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন