মো. গোলাম ফারুক, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে
দুপচাঁচিয়া উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে দেশী মাছের বড় আকাল দেখা দিয়েছে। তথ্যানুসারে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন খাল-বিল, নদী-নালা থেকে দেশী প্রজাতির বিভিন্ন মাছ হারিয়ে গেছে। এগুলো হলো- বাইম, মাগুর, কই, শৈল, বোয়াল, বেলে, চান্দা, পকতা, পুঁটি, টেংরা, আইড়, কাল বাউস, বাঁশ পাতা, পাতাশী, চেলা, টাকীসহ অসংখ্য মাছ। আগে বিভিন্ন হাট বাজারে জেলেরা এই সব মাছের পসরা সাজিয়ে বিক্রির জন্য অপেক্ষা করত। এখন এই দৃশ্য প্রায় বিরল। অনুকূল পরিবেশের অভাব নদ-নদী, জলাশয়গুলো শুকিয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন প্রজাতির দেশী মাছ হারিয়েই যাচ্ছে। ফলে প্রতি বছর দুপচাঁচিয়া উপজেলায় চাহিদা প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ মাছের ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। এলাকাগুলোতে অধিক পরিমাণে অভয়াশ্রম তৈরি করা গেলে বিলুপ্ত প্রায় দেশী প্রজাতির মাছের বংশ বিস্তারের পাশাপাশি ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হবে। এ ব্যাপারে মৎসজীবী আকরাম হোসেন, আলম হোসেন ‘দৈনিক ইনকিলাব’-কে জানান, উপজেলার নাগর নদ শুকিয়ে যাওয়ায় এখন ঐ নদে আমন ধান চাষ করা হচ্ছে। উপজেলার অনেক ডোবা পুকুর ভরাট করে পাকা এমারত নির্মাণ করা হয়েছে। আরো নির্মাণ কাজ চলছে ফলে মৎস্য চাষের প্রজন্ম ক্ষেত্র সংকুচিত হয়ে আসছে। ফলে অনুকূল পরিবেশের অভাবে দেশী প্রজাতির মাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। এ ব্যাপারে উপজেরা মৎস্য কর্মকর্তা মাকসুদুর রহমান জানান, দেশী মাছ রক্ষার জন্য মৎস্য চাষিদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন