শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

স্বাস্থ্য

রোজায় ডায়াবেটিস রোগীর ওষুধ সেবন

| প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

যারা দিনে ১ বার ডায়াবেটিসের ওষুধ (যে সমস্ত ওষুধ ইনসুলিন এর পরিমান বাড়ায়) খান। তারা ইফতারের শুরুতে (রোজা ভাঙ্গার সময়) ঐ ওষুধ একটু কম করে খেতে পারেন। যারা দিনে একাধিকবার ডায়াবেটিসের ওষুধ খান তারা সকালের মাত্রাটি ইফতারের শুরুতে এবং রাতের মাত্রাটি অর্ধেক পরিমাণে সেহরীর আধা ঘন্টা আগে খেতে পারেন।
যে সকল রোগী ইনসুলিন গ্রহণ করেন, তাদের রমজানের পূর্বেই ইনসুলিনের ধরন ও মাত্রা ঠিক করে নেয়া উচিত। সাধারনত রমজানে দীর্ঘ মেয়াদী ইনসুলিন ইফতারের সময় বেশী এবং প্রয়োজনে শেষ রাতে অল্প মাত্রায় দেয়া উচিত। দীর্ঘ মেয়াদী এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ ইনসুলিন ( যা দিনে এক বার নিতে হয় যেমন, ইনসুলিন Lantus Solo STAR কিংবা দিনে এক বার কিংবা দুবার যেমন, ইনসুলিন Detemir )। এগুলোতে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কম। রমজানের কমপক্ষে তিন মাস পূর্বে ডায়াবেটিক রোগীর অবস্থা অনুসারে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মুখে খাওয়ার ওষুধ এবং ইনসুলিন ঠিক করা উচিত। রমজানের প্রথম এবং শেষ দিনে ওষুধকে বিশেষ করে সমন্বয় করে নিতে হবে। এই দুইদিন খাবার এবং জীবন যাত্রায় বিশেষ পরিবর্তন হয়ে থাকে।
রোজায় ডায়াবেটিস এর ওষুধ ব্যবহারে পরিবর্তন

বিশেষভাবে জানা প্রয়োজন
ডায়াবেটিক রোগীরা রোজা রাখতে পারবেন। তবে ৩ মাস আগে থেকে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রস্তুতি নিতে হবে।
রোজার সময় নিজে ডায়াবেটিসের ওষুধ সমন্বয় করবেন না, এতে মারাত্মক পরিণতি হতে পারে।
সেহরীর খাবার সেহরীর শেষ সময়ের কিছু আগে খাওয়া উচিত। ইফতারের সময় বেশি চিনিযুক্ত খাবার খাবেন না।
রোজার সময় দিনের বেলা অতিরিক্ত ব্যায়াম করা উচিত নয়। এতে হাইপোগøাইসেমিয়া হতে পারে।
রোজার সময় রাতের বেলা পর্যাপ্ত পরিমানে পানি (সম্ভব হলে ডাবের পানি), কম মিষ্টি রসালো ফল এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত।

-ডা. শাহজাদা সেলিম
কমফোর্ট ডক্টর’স চেম্বার
১৬৫-১৬৬, গ্রীনরোড, ঢাকা
মোবাঃ ০১৭৩১৯৫৬০৩৩, ০১৫৫২৪৬৮৩৭৭, ০১৯১৯০০০০২২
Email: selimshahjada@gmail.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন