চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে গোয়ালঘরের ছালার বাঁশের মাথা ৬ ইঞ্চি লম্বা থাকার জের ধরে সৃষ্ট ঘটনায় পিটিয়ে গুরুতর আহত করা ওই ঘরের সদস্য এক সিএনজি চালক অবশেষে ৫ দিনের মাথায় মৃত্যুবরণ করেছে। ওই এলাকার মাদক সম্রাজ্ঞী ‘ছকিনা’র নেতৃত্বে প্রকাশ্যে গত ২০ মে দুপুরে এ পিটানোর ঘটনা ঘটে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। গতকাল সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ফটিকছড়ির সুন্দরপুর ইউপির বড় ছিলোনিয়া গ্রামের নিয়াজ বাড়ীর মাদক সম্রাজ্ঞি ছকিনা ও কৃষক শাহজাহান পরিবারের মধ্যে জমি-জমা ও ভিটির সীমানা নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের রেশ ধরে ইতোপূর্বে দু’পরিবারের দু’জন সদস্য মারামারিতে নিহত হয়। মূলত: মাদক সম্রাঞ্জী ছকিনা ও তার পুত্র ইয়াবা ব্যবসায়ী নয়নের বেপরোয়া কর্মকান্ডে পুরো বাড়ী জিম্মি হয়ে আছে। বিলম্বে প্রাপ্ত খবরে প্রকাশ, গত ২০ মে রবিবার সকালে ওই বাড়ীর কৃষক শাহজাহান পরিবার বাড়ীর উত্তর সীমানায় পূর্বাংশে গোয়ালঘর মেরামত করছিল। এতে বাধা দেয় মাদক সম্রাজ্ঞি ছকিনা। ফলে কৃষক শাহজাহান স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিউল আলম রহিমসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে ডেকে প্রতিকার চায়। গোয়ালঘরের ছালার মাত্র ৬ ইঞ্চি বাঁশের মাথা ছকিনাদের সীমানায় পড়েছে বলে তাদের দাবী হলেও পরিমাপে তা সঠিক নয়। ইউপি মেম্বারের এমন কথা ছকিনা পরিবার কোনভাবেই মানে না। এ সময় কৃষক শাহজাহানের ভাই সিএনজি চালক মোহাম্মদ ইউসুফও ঘটনাস্থলে পৌঁছে। ছকিনা পরিবার ইউপি সদস্যকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি দিয়ে শাহজাহান পরিবারের হামলা শুরু করলে রণক্ষেত্র তৈরী হয়। তাদের নিবারণ করার চেষ্টাকালে মাদক সম্রাজ্ঞি ছকিনাপুত্র মাদক বিক্রেতা নয়ন কাঠের পাটাতন দিয়ে শাহজাহানের ভাই সিএনজি চালক মোহাম্মদ ইউসুফের মাথায় সজোরে আঘাত করলে সে মাটিতে লুটে পড়ে। আশংকাজক অবস্থায় তাকে চমেক হাসপাতালে নেয়া হয় এবং ৪ দিন জীবন-মৃত্যুর সাথে লড়ে অবশেষে ২৫ মে বেলা ৪টায় নিরীহ সিএনজি চালক ইউসুফ মুত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন