আবদুল আউয়াল ঠাকুর : গত কয়েক দিনে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের নানা খবর স্থান করে নিয়েছে দৈনিকগুলোতে। এসবের সত্যতা অসত্যতা নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ প্রশ্ন তোলেনি। ঘটনার দৃশ্যমান এবং আপাত অদৃশ্যমান হয়তো অনেক কিছুই রয়েছে। থাকাটাই স্বাভাবিক। চলমান রাজনৈতিক বিশ্লেষণে একটি দৈনিকে বলেছে, বাংলাদেশের রাজনীতিকে ঘিরে শোনা যাচ্ছে একেবারে বিপরিতমুখী দু’ধরনের গুঞ্জন। বলা হয়েছে পর্দার আড়ালে আওয়ামী লীগ বিএনপির যোগাযোগ বাড়ছে। আগাম নির্বাচনের প্রশ্নে সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল। অন্য খবরে বলা হয়েছে, আবারো হার্ডলাইনে যাবে সরকার। রিপোর্টে ২০ দলীয় জোটের ব্যাপারে সরকারের আরো কঠোর হওয়ার নানা তথ্য তুলে ধরে বলা হয়েছে, বিএনপির উপর আরো খড়গ নেমে আসতে পারে। এদিকে ঘরোয়া দ্বন্দ্বের সূত্র ধরে আলোচিত জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একটি দৈনিকের সাথে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে আমি জানি, তার সাথে কাজ করেছি। তিনি বর্তমান আবস্থাকে স্বস্তিকর মনে করছেন না। আমার বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রী একটি গ্রহণযোগ্য মধ্যবর্তী নির্বাচনের দিকে যেতে পারেন। জাতীয় পার্টি প্রধান সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, তার দল আগামী নির্বাচনে বিএনপির বিকল্প হতে চাচ্ছে। বাস্তব অবস্থা হচ্ছে, নির্বাচনের আভাস-ইঙ্গিতের সাথে সাথেই প্রথম নাড়া পড়েছে সরকারের রাজনৈতিক মিত্র জাতীয় পার্টিতে। এনিয়ে ইতোমধ্যেই নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। পার্টি প্রধান তার সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল রুহুল আমিন হাওলাদারকেই আবার বেছে নিয়েছেন। আউট করেছেন ২০১৪ সলের অগ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সূত্র ধরে দলের সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত জিয়াউদ্দীন বাবলুকে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার আপাতদৃষ্টিতে রওশনকেই তার নিকট বিস্বস্ত বলে বেছে নিয়েছেন। তবে এরশাদ সাহেব মনে করেন, তিনি নিজে ৮৯ এবং রওশন ৭৯ বছরে। তাদের কারোপক্ষেই দলের দায়িত্ব পালন সম্ভব নয় বলেই তার ভাইকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি বা অন্যরা যাই বলুন না কেন রাজনৈতিক ভাষ্যকররা মনে করেন এ বিবাদ যেহেতু জাতীয় পার্টির অস্তিত্বের প্রশ্ন তাই হয়তো মিটে যাবে। প্রশ্ন অন্য জায়গায়। ২০১৪ সালের নির্বাচনে এবং সরকারের পার্টনার হিসেবে জাতীয় পার্টির উপর হয়তো সরকারের এক ধরনের ‘অধিকার’ রয়েছে। তাই ঠিক কোন দিকে কোন কাজে কিভাবে জাতীয় পার্টি ব্যবহৃত হবে বা হতে পারে এটা পরিষ্কার নয়।
এরশাদ সাহেব নিজেই বলেছেন, তার দল বিএনপির বিকল্প হতে চায়। এ চাওয়াকে কল্পনা বিলাস না বললেও এর মধ্যে রাজনৈতিক অদূরদর্শিতার ছাপ রয়েছে। তিনি বা তার দল কেন নিজেদের সক্ষমতার প্রশ্ন না তুলে বিএনপির সাথে নিজেদের তুলনা করছেন। এ থেকে বোঝা যায়, বিএনপিই ফ্যাক্টর। অন্যভাবে বলা যায় বিএনপিকে ঘায়েল করাই যেন মূল লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। সে অর্থে বিগত কয়েক বছর ধরে যারা সরকারে রয়েছেন তারা যা করেছেন বা করতে চেয়েছেন তার চেয়ে ভিন্নকিছু বলেননি এরশাদ। এর ফলে সরকারের যে মহল বিএনপিকে মোকাবিলা করতে চাচ্ছে মূলত তাদের সাথেই থাকার কমিটমেন্ট করেছেন জাতীয় পার্টি প্রধান। সে যাই হোক বাতাসে থাকা প্রসঙ্গগুলো হলো প্রকাশ্যত একটি নির্বাচনের জন্য যেমনি কথাবার্তা চলছে তেমনি বিএনপি যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে তার নানা আয়োজনও চলছে। এ প্রসঙ্গে অনেকেই সদ্যসমাপ্ত পৌরসভা নির্বাচনের কথা বলে থাকেন। তারা বলছেন, সরকারের যা করার তা করেছে। বিএনপি এ নিয়ে কার্যত কোন রাও-চাও করেনি। যদিও নির্বাচনী পর্যবেক্ষকরা স্পষ্টতই বলেছেন, পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থাই কার্যত ভেঙ্গে পড়েছে। যে যাই বলুক তাতে কিছু আসে যায় না। সরকারের যা করার তা ঠিকই করে নিয়েছে। এহেন বাস্তবতায় সরকারের কোন কোন মহল মনে করছে প্রকাশ্যত আলোচনার মাধ্যমে বিএনপিকে রাজি করিয়ে একটি কথিত গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করানো গেলে তার পুরো সুফল সরকারের ঘরেই থাকবে। অনেকে মন করেন, ইতোমধ্যে ২০ দলীয় জোট থেকে বেরিয়ে গিয়ে কোন কোন ইসলামী দলের নেতারা যা বলেছে তারমধ্যেও এসব প্রসঙ্গ রয়েছে। তারা মনে করে নিজেরা সংঘটিত হবেন। ৩শ’ আসনে প্রার্থী দিবেন। একদিক দিয়ে হয়তো মন্দ নয়। তাদের চলে যাওয়া প্রসঙ্গে তারা যেমনি বিএনপির প্রতি প্রকাশ্যত কোন দোষারোপ করেনি তেমনি বেগম জিয়াও বলেছেন কেউ থাকতে না চাইলে রাখা যাবে কি করে? এই যে থাকতে না চাওয়া বোধকরি এ প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। জোটের মূল সূত্র ছিল নির্বাচন। বিগত কয়েক বছর ধরে জোট একটি গ্রহণযোগ্য সরকারের অধীনে সকল দলের অংশগ্রহণভিত্তিক নির্বাচনের দাবি করে আসছে। এ দাবির সাথে তারাও সম্পৃক্ত ছিলেন। তারা তখনো বলেননি যে ঐ অন্দোলন ভুল ছিল। তাহলে নির্বাচনের আভাস পাওয়ার পর তারা জোট থেকে বেরিয়ে গিয়ে নিজেদের সংগঠিত করতে গেলেন কেন? ভোটের ক্ষেত্রে ইতিবাচক-নেতিবাচকতার যে বিবেচ্য বিষয় রয়েছে তাকে অবশ্যই বিবেচনায় নেয়া প্রয়োজন। তাদের অনেকেই বলছেন, শুধু তারা নন জেটের সাথে থাকা আরো অনেকেই হয়তো একই অবস্থান নিতে পারেন। বিএনপি থেকে ইতোপূর্বে বহিষ্কৃত ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা একটি জোট করেছিলেন। সম্প্রতি তার জোটের সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন সরকারের একজন মন্ত্রী। তিনিও নাকি জাতীয়তাবাদী জোট করেছিলেন। তার জাতীয়তাবাদ মূলত আওয়ামী বোধের সাথে একাত্ম। ভাববার রয়েছে, যারা ২০ দলীয়জোটে রয়েছেন তাদের বিশেষ কদর রয়েছে সরকারে। বিএনপি দাওয়াত না পেলেও বিভিন্ন দাওয়াতে তারা আমন্ত্রিত হন। মূলত তাদের এই লোক দেখানো সম্মান বিএনপির সাথেই সম্পৃক্ত। যাই হোক একথাই বাস্তব যে, এযাবৎকাল বিএনপিই গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন চালিয়ে আসছে। আর এটা নস্যাৎ করার প্রবণতার একটি বড় দিক হচ্ছে বিএনপি অফিস দখলের চেষ্টা।
বিএনপির অফিস দখল করতে আসা তথাকথিত ‘আসল বিএনপি’র দাবিদার কামরুল হাসান নাসিমের কর্মী সমর্থকরা দ্বিতীয়বারের মত ধোলাই খেয়েছে। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, দলীয় বিপ্লবের মহড়া দিতে গিয়ে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হামলার মুখে পালিয়ে যায় তারা। এর আগেও অনুরূপ অপকর্ম করতে গিয়ে পিটুনি খেয়ে পালিয়েছিল নাসিমের বাহিনী। এ প্রসঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুর কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, বস্তির কিছু টোকাই দিয়ে সরকার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। প্রাসঙ্গিক আলোচনায় দখল করতে আসা কামরুল হাসান নাসিম একটি পত্রিকায় নিজেকে বিএনপির পুনর্গঠনের একজন উদ্যোক্তা বলে দাবি করেছেন। এঘটনা এমন সময়ে ঘটল যখন মাত্র কদিন আগেই সরকারের কোন কোন মহল থেকে সুস্পষ্ট করে বলা হয়েছে বিএনপি ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। এর রাজনৈতিক বিশ্লেষণে যাবার আগে দেশের রাজা বলে দাবিদার পুলিশ বাহিনীর দিকে একটু দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। বিএনপি একটি স্বীকৃত রাজনৈতিক দল। দলটির প্রতিষ্ঠাতা দেশের জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট মরহুম জিয়াউর রহমান। দলের বর্তমান চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বহুদিন ধরে বিএনপি অফিস আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। সেখানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের প্রবেশ করতে হয় নানা বাধা পেরিয়ে। অথচ বিএনপি অফিস দখল করতে আসাদের তো কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি। তারা কি আগের থেকে সংশ্লিষ্ট কোন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ছিলেন না কি কেউ কেউ এটা জানতেন? ইতোমধ্যেই নিজেদের রাজা বলে দাবি করার প্রেক্ষিতে দেশের বোদ্ধামহলের সমালোচনার মুখে পড়েছে পুলিশ বাহিনী। কারণ দেশের রাজা বলে মূলত দেশের শাসন কর্তৃত্বকেই চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। বাস্তবত এ আলোচনাও উঠেছে, ২০১৪ সালের অগ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্যদিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর অধিকতর নির্ভরশীলতাই হয়তো পুলিশ বাহিনীর কাউকে কাউকে এতটা দম্ভোক্তি করার সাহস যুগিয়েছে। পুলিশের এই কর্তৃত্ববাদিতার কথা প্রকারান্তরে সুপ্রীম কোর্টের একজন বিদায়ী বিচারপতি শফি চাকলাদারও বলেছেন। কারণ বর্তমান সময়ে পুলিশ তথা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ক্ষমতা কার্যত চ্যালেঞ্জের ঊর্ধ্বে। এহেন পুলিশ বিএনপি অফিস দখল করতে আসাদের নিবৃত্ত না করে অন্যের সাংবিধানিক অধিকারকে বেতোয়াক্কা করেছে। এই নিবৃত্ত না করার প্রবণতার মধ্যে ভিন্ন ইঙ্গিতও অস্বীকার করা যাবে না। প্রশ্ন হচ্ছে, বিএনপি পুনর্গঠনের দাবিদার এই কামরুল হাসান নাসিম কে? কোন অধিকারে তিনি একাজ করতে উদ্যোগী হয়েছেন। একথা ঠিক যে যদি নামফাটানোর কোন ‘মহৎ’ উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি একাজ করে থাকেন তাহলে কিছুটা হলেও সফল হয়েছেন। তাকে যারা চেনেন-জানেন তারা ভিন্ন কথা বলছেন।
বলার অপেক্ষা রাখে না বিএনপি পুনর্গঠন তথা বিএনপি ভাঙ্গার একটাই লক্ষ্য তাহল বিএনপি থেকে বেগম জিয়া ও তারেক জিয়াকে সরিয়ে দেয়া। এ উদ্যোগ সর্বপ্রথম নিয়েছিল ১/১১-এর সরকার। বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতেই তারা মিশন শুরু করেছিল। কোন সুনির্দিষ্ট কারণ অথবা অথরিটি ছাড়াই তারা তারেক জিয়ার কোমর ভেঙ্গে দিয়ে কার্যত বিএনপিকেই ভেঙ্গে দিতে চেয়েছিল। দেশকে রাজনৈতিক নেতৃত্বহীন করার প্রবণতার অংশ হিসেবে দুই নেতা বেগম খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করলেও তাদের কর্মকা-ের বৈধতা প্রদানের শর্তে আওয়ামী লীগের সাথে যে আপোষ করেছিল তার ফলশ্রুতিতেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়ে তারাও পূর্বসূরীদের মতই বিএনপি নিধন অব্যাহত রাখে। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, সবকিছু জেনেও সেদিনও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চালু রাখার প্রয়োজনেই বেগম জিয়া ১/১১-এর সরকারকে মেনে নেননি। তার আপোষহীনতার জন্যই কার্যত আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এটি ছিল স্বাধীনতার পর গণতন্ত্র হত্যা প্রক্রিয়ার বড় বিপর্যয়। বেগম জিয়ার ঐকান্তিক ও আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং ত্যাগে দেশে গণতন্ত্র খানিকটা বেঁচে গেলেও দুর্যোগ-দুর্বিপাকের হাত থেকে রক্ষা পাননি বেগম জিয়া এবং তার দল বিএনপি। ঐ আমলে করা মামলায় এখনো তিনি ভুগছেন। দলের কথা বলাই বাহুল্য। ২০১৪ সালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বড় বিপর্যয় নেমে আসে। এটি বাকশালের চেয়েও ভয়াবহ। এই বিপর্যয় থেকে দেশকে রক্ষা করতে ২০১৫ সালের প্রথম তিন মাস বেগম জিয়া কার্যত বন্দি থেকেছেন। গণতন্ত্র রক্ষার কথা বলতে গিয়ে তার ব্যক্তিগত জীবন পর্যন্ত বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছিল। তার গুলশান কার্যালয়ে হামলা হয়েছে। সেখান থেকে তাকে সরিয়ে দেয়ার হুমকি পর্যন্ত দেয়া হয়েছে। এই বাস্তবতাকে সামনে রেখে কথিত পুনর্গঠনকারী বা কারিদের যদি বিশ্লেষণ করা যায় হলে একটাই সমাধান তাহলো- দেশ থেকে গণতন্ত্রকে যারা উচ্ছেদ করতে চায় এরা তারাই।
বলার অপেক্ষা রাখে না, শত বিপর্যয়ের মধ্যেও গণতন্ত্রের আলো যতটুকু দেখা যাচ্ছে তার সবটুকু ক্রেডিট বেগম জিয়ার তথা বিএনপি ও ইসলামী মূল্যবোধভিত্তিক দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তির। এই আলো আরো খানিকা বেগ পেয়েছে প্রধান বিচারপতির কথায়। অবসরে যাবার পর রায় লেখা সংবিধান পরিপন্থী, প্রধান বিচারপতির এমন বিবৃতির পর সুপ্রিমকোর্টে বার অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুর হক নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধান পরিপন্থী বলে যে রায় দিয়েছেন তা তিনি স্বাক্ষর করেছেন অবসরে যাবার ১৬ মাস পর। তাই প্রধানবিচারপতির বিবেচনা অনুযায়ী, ওই রায়ের কোন সাংবিধানিক ভিত্তি নেই এবং তা অবৈধ। এর অর্থ দাঁড়াবে ২০১৪ সালে যে সরকার নির্বাচন করেছে তাদের এখতিয়ারই প্রশ্নবিদ্ধ হবে। সে ক্ষেত্রে একটি সাংবিধানিক শূণ্যতা সৃষ্টি হতে পারে। সে বিবেচনায় অবিলম্বে গ্রহণযোগ্য সরকারের অধীনে নির্বাচন জরুরি হয়ে উঠতে পারে। কে ক্ষমতায় আসবেন কে আসবেন না কে হালুয়া রুটি পাবেন কে পাবেন না সেটা তো নির্ধারণ করবে নির্বাচন। বেগম জিয়া সেই নির্বাচনেরই দাবি করছেন। যারা অফিস দখল করতে চান তারা তো নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের জন্য দল খুলতে পারেন। যে অর্থ ও সময় ব্যয় করে অপকর্ম করছেন তার চেয়ে অনেক কম খরচে একটা অফিসও নিতে পারেন। বোধকরি এর জন্য অর্থেরও কোন অভাব তাদের হবে না। একটি গ্রহণযোগ্য সরকারের অধীনে সকলদলের অংশগ্রহণভিত্তিক নির্বাচনের দাবিকে নস্যাৎ করতে আগ বাড়িয়ে নাক গলিয়ে পানি ঘোলা করার চেষ্টা না করে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ পরিষ্কারের জন্য সমন্বিত চেষ্টা চালানোই সময়ের দাবি।
awalthakur@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন