গত বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরে গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ব্যক্তির পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। গত শুক্রবার পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল নিহত ওই ব্যক্তি টঙ্গী এরশাদ নগর এলাকার ২২ মামলার আসামি কামরুল ইসলাম কামু (৩২)। খবর নিয়ে জানা গেছে, টঙ্গীর একটি ডাবল মার্ডার মামলার আসামি কামরুল ইসলাম কামু ২০১৬ সাল থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছে। কামুর আইনজীবী মো. শহিদুল ইসলামও বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তার আসামির জামিন না হওয়ায় দুই বছর ধরে কারাগারে বন্দি রয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে কামরুল ইসলাম কামুর স্ত্রী কাশিমপুর কারাগারে গিয়েও তার স্বামীর সঙ্গে দেখা করে এসেছেন বলে জানান। কাশিমপুর কারাগার-২ এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গতকাল গাজীপুর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে বিষয়টির ব্যাখ্যা জানতে চাইলে বলা হয় নিহত ব্যক্তির নাম কামাল খান ওরফে কামু। তার বাড়ি টঙ্গীর আরিচপুরে। তবে আরিচপুরে খবর নিলে কামু নামে কোনো ব্যক্তির সন্ধান দিতে পারেনি স্থানীয়রা। গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক ডেরিক স্টিফেন কুইয়া জানান, নিহত কামুর পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র তার কাছে রয়েছে। সেখানে কামাল খান কামু, পিতা মৃত সিরাজ খান ও ঠিকানা টঙ্গীর আরিচপুর লেখা আছে। সে কালীগঞ্জের উলুখোলা নগরভেলা এলাকায় বসবাস করে। তার নামে মাদকসহ তিনটি মামলা রয়েছে। পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ কালীগঞ্জের উলুখোলা এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় দিকে অভিযান চালায়। পুলিশ উলুখোলা মসজিদের পাশের রাস্তা থেকে মাদক বিক্রির সময় কামুকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে চার হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার ও একটি এলিয়ন প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়। তাকে নিয়ে কালীগঞ্জ থানায় যাওয়ার পথে তার সহযোগীরা মহানগরের ভাদুন এলাকায় পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। এ সময় কামরুল গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন