শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

হাতে পুনর্গণনার আদেশ পার্লামেন্টের

ইরাকে ১২ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ভোট

| প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

আল জাজিরা : ইরাকের পার্লামেন্ট গত ১২ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ভোট পূর্ণ পুনর্গণনার নির্দেশ দিয়েছে। এ নির্বাচনে মার্কিন ও ইরান বিরোধী শিয়া নেতা মুক্তাদা আল সদরের নেতৃত্বাধীন জোট সবাইকে বিস্মিত করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। ১ কোটি ১০ লাখ ভোটার এ নির্বাচনে ভোট দেয়। দেশের ৩২৮ সদস্যের বিদায়ী পার্লামেন্ট সকল ভোট হাত দিয়ে পুনর্গণনার নির্দেশ প্রদান সহ নির্বাচন প্রক্রিয়া তত্ত¡াবধানকারী ৯ সদস্যের স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের সকল সদস্যকে বাদ দিয়ে তাদের জায়গায় বিচারপতিদের নিয়োগ করেছে। বাগদাদ থেকে আল জাজিরার সংবাদদাতা জানান, ১২ ও ১৩ মে ভোট গণনায় হেরফের হওয়ার প্রেক্ষিতে বেশ কয়েকটি জেলা ভোটের ফলাফল সম্পর্কে অভিযোগ করে।
তিনি বলেন, ভোটের পর দেশব্যাপী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কর্তৃক অভিযোগ উত্থাপিত হয়। আমরা কুর্দি আঞ্চলিক সরকার (কেআরজি) এবং সুন্নী প্রধান আনবার, সারাহ আল দীন ও দিয়ালা প্রদেশ থেকে অসন্তোষের খবর পেয়েছি। তবে এ ব্যাপারে বুধবার একটি পরিণতি ঘটে যখন প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল এবাদি এ বিষয়ে মন্ত্রীদের নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুমোদন করেন এবং অভিযোগ করেন যে নির্বাচনে ভয়াবহ লঙ্ঘন ঘটেছে।
আল এবাদি এ জন্য ইলেক্ট্রনিক ভোট গণনা যন্ত্রকে দায়ী করেন যেগুলোর ভুলের বিষয় পূর্ব পরীক্ষা ছাড়াই ব্যবহার করা হয়।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মতে, ইরাকের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ যন্ত্রগুলো পরীক্ষার পর ভিন্ন ভিন্ন ফল পাওয়া গেছে যাতে অভিযোগের সত্যতার বিশ^াসযোগ্যতা তৈরি হয়েছে।
১২ মের নির্বাচনে মুক্তাদা সদরের নেতৃত্বাধীন সাইরুন জোট ইরাকি পার্লামেন্টের ৩২৮ আসনের মধ্যে ৫৪টি আসন লাভ করেছে। অন্যদিকে নির্বাচনে সম্ভাব্য বিজয়ের আশাবাদ নিয়ে অংশ নিলেও প্রধানমন্ত্রী আল এবাদির নেতৃত্বাধীন আল নাসর জোট রয়েছে তৃতীয় স্থানে। তারা পেয়েছে ৪২টি আসন। ৪৭টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ইরানপন্থী হাদি আল আমিরির ফাতাহ জোট। পার্লামেন্টে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৬৫ আসন। কিন্তু কোনো জোটই সরকার গঠনের মত একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠন বিলম্বিত হবে ধারণা করা হচ্ছিল। এখন নতুন করে ভোট গণনা ফলাফলে পরিবর্তন আনবে কিনা তা সুস্পষ্ট নয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সাইরুন জোটের তুলনামূলক ভাবে বেশি আসন পাওয়ার কারণ হচ্ছে দরিদ্রদের সাহায্য করা এবং স্কুল ও হাসপাতাল নির্মাণের অঙ্গীকার। তারা যুক্তরাষ্ট্র বা ইরান যেই হোক, ইরাকে সকল বিদেশী হস্তক্ষেপের ঘোর বিরোধী। নির্বাচনের আগে ইরান প্রকাশে ঘোষণা করেছিল যে তারা আল সদর জোটের ইরাক শাসন বরদাস্ত করবে না। নয়া সরকার গঠিত না হওয়া পর্যন্ত হায়দার আল এবাদিই ক্ষমতায় থাকবেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন